পোশাক শিল্পের জন্য পুরাতন বাজারের পাশাপাশি নতুন বাজার খুঁজতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ সরকারের
লিখেছেন লিখেছেন মশা০০৭ ১১ এপ্রিল, ২০১৫, ০৮:০০:৪৬ রাত
পোশাকশিল্পের প্রচলিত বা মূল বাজারের বাইরে এবার নতুন বাজারে পোশাক রপ্তানি সম্প্রসারণ করছে বাংলাদেশ। এতদিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও কানাডাতে রপ্তানি হলেও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এর তথ্যে নতুন বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি মূল্য ক্রমেই বাড়ছে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে দুই হাজার ৪৪৯ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করে বাংলাদেশ। এর মধ্যে নতুন বাজারে পোশাক রপ্তানি হয় ৩৬১ কোটি ডলারের। অথচ এর আগের অর্থবছরে ২০১২-১৩-তে নতুন বাজারে রপ্তানি হয় ২৯৫ কোটি ডলারের পোশাক। পোশাক রপ্তানির জন্য নতুন বাজারের মধ্যে তুরস্ক, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, চীন, কোরিয়া, মেক্সিকো, রাশিয়া, আফ্রিকা, ব্রাজিল, মধ্যপ্রাচ্য, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, আর্জেন্টিনা, চিলি, উরুগুয়ে, পর্তুগাল ও ভারতসহ অন্তত ২৫টি দেশকে বিবেচনায় রাখছে সরকার ও সংশ্লিষ্টরা। যুক্তরাষ্ট্র জিএসপি সুবিধা প্রত্যাহার ও চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ক্রেতাবিমুখ হওয়ায় এবং ইউরোপে পোশাক রপ্তানিতে তীব্র প্রতিযোগিতা থাকায় নতুন বাজারের দিকে মনোযোগ দিতে শুরু করেছেন পোশাকশিল্প মালিকরা। অন্যদিকে গত বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানির প্রবৃদ্ধিও কমে যায়। এক্ষেত্রে পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য নতুন বাজারের দিকে ঝুঁকছেন বিক্রেতারা। সরকারও নতুন বাজারে পোশাক রপ্তানির জন্য বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। এ জন্য কানাডা, জাপান, চীন ও ভারত সরকারের সঙ্গে শুল্কমুক্ত পণ্য রপ্তানি চুক্তি করেছে। এ ছাড়া উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে নতুন বাজারে ৩ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। অন্যান্য দেশের সঙ্গেও শুল্কমুক্ত পণ্য রপ্তানির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পোশাকশিল্পের জন্য নতুন বাজার খুঁজতে প্রতিবছরই বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ বিভিন্ন দেশে প্রতিনিধি দল পাঠায়। এ জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সম্ভাবনাময় বিভিন্ন দেশে দূতাবাস খোলা হচ্ছে। সরকারের এ পদক্ষেপের ফলে রপ্তানির দিক থেকে দেশ আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়।
বিষয়: বিবিধ
৭৭৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন