বর্তমান সরকারের সার্বিক সহযোগিতায় হতাশা কাটিয়ে লোকসান থেকে লাভে ঘুরে দাঁড়িয়েছে মংলাবন্দর

লিখেছেন লিখেছেন মশা০০৭ ১১ মার্চ, ২০১৫, ০৪:২২:২৫ বিকাল

লোকসানের অপবাদ ঘুচিয়ে মংলাবন্দর এখন লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। গত ৫ বছরে এ সমুদ্রবন্দরটি রাজস্ব আয় করেছে ৫৪০ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে নীট লাভ হয়েছে ১৪৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা। প্রতিবছর রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। দক্ষ ব্যবস্থাপনা ও সর্বোপরি সরকারের সদিচ্ছার কারণে মৃত প্রায় মংলাবন্দর সচল হয়েছে। অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বর্তমান সরকার ঘোষিত ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নে মংলাবন্দরের উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও পদ্মা সেতু নির্মিত হলে মংলাবন্দরের চিত্র সম্পূর্ণ পাল্টে যাবে এবং মংলাবন্দর জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর মংলাবন্দরকে নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চক্রান্ত শুরু হয়। বন্দর ব্যবহারকারীদের একাংশের চক্রান্ত ও তৎকালীন সরকারের উদাসীনতার কারণে মংলাবন্দরের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। মংলাবন্দরে আমদানি ও রফতানিমুখী জাহাজ আগমন আশঙ্কাজনকভাবে কমে যায়। কখনও কখনও দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্দর জাহাজ শূন্য অবস্থায় থাকে। আমদানি ও রফতানি পণ্য খালাশ ও বোঝাই কার্যক্রম তেমন না থাকায় বন্দরটির রাজস্ব আয় হ্রাস পায়। এতে মংলাবন্দর লোকসানের কবলে পড়ে। লোকসান দিতে দিতে বন্দরটি লোকসানি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। বন্দরের ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পদক্ষেপের কারণে মংলাবন্দর লাভের ধারায় ফিরলেও তা আশাব্যঞ্জক ছিল না। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় এসে মংলাবন্দরের ড্রেজিংসহ বন্দরকে গতিশীল করার জন্য নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। বর্তমান সরকারের সার্বিক সহযোগিতায় হতাশা কাটিয়ে এবং লোকসানের অপবাদ ঘুচিয়ে মংলাবন্দর এখন একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান।

বিষয়: বিবিধ

৬৯৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File