দেশের ব্যাংকিং খাত বর্তমানে সুদৃঢ় ভিত্তি অর্জনে সক্ষম হওয়ায় বাংলাদেশের রেটিং পঞ্চমবারের মতো বিএথ্রি
লিখেছেন লিখেছেন মশা০০৭ ১০ মার্চ, ২০১৫, ০৩:৫৩:৫৫ দুপুর
দেশের ব্যাংকিং খাত বর্তমানে সুদৃঢ় ভিত্তি অর্জনে সক্ষম হয়েছে। বৈশ্বিক মন্দা পরবর্তী প্রভাব এবং দেশীয় রাজনৈতিক অস্থিরতার ক্ষতিকর প্রভাব কাটিয়ে বর্তমান সরকার এ অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সময়োচিত পদক্ষেপ এবং সরকারের সার্বিক সহযোগিতার ফলে সৃষ্ট নেতিবাচক প্রভাব কাটিয়ে উঠে অভ্যন্তরীণ ও বহিঃখাতের আঘাত সহনে উল্লেখযোগ্য সক্ষমতা অর্জন করেছে। আন্তর্জাতিক রেটিং সংস্থা মুডি’স এবং এসএ্যান্ডপি কর্তৃক সম্পাদিত সর্বশেষ রেটিং অনুসারে বাংলাদেশ একাদিক্রমে পঞ্চমবারের মতো (২০১০ হতে ২০১৪ পর্যন্ত) যথাক্রমে বিএথ্রি স্ট্যাবল রেটিং এবং বিবি সভরেন রেটিং উইথ স্ট্যাবল আউটলুক অর্জন করেছে। ব্যাংকিং খাতের শৃঙ্খলা এবং স্থিতিশীলতা এই রেটিংয়ের অন্যতম প্রধান নিয়ামক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। ব্যাংকগুলোর আর্থিক সুস্থতা এবং স্থিতিশীলতার অন্যতম পরিমাপক হচ্ছে মূলধন পর্যাপ্ততা। মূলধন পর্যাপ্ততা সংক্রান্ত ব্যাসেল-২ নীতিমালার সফল বাস্তবায়নের পাশাপাশি ব্যাসেল-৩ বাস্তবায়ন করার জন্যও ইতোমধ্যে রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে এবং বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। ব্যাসেল-২ নীতিমালা মোতাবেক ব্যাংকগুলো ডিসেম্বর ’১৪ শেষে ব্যাংকগুলোর মূলধন পর্যাপ্ততার হার দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এ হার ব্যাংকগুলোর ঝুঁকি সহনের সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে। ঋণ শ্রেণীকরণ ও প্রভিশনিং নীতিমালা আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করায় বর্তমানে ব্যাংকগুলোকে আগের তুলনায় অধিক হারে প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হচ্ছে। এরপরও ব্যাংকগুলোর মুনাফা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বর্তমানে ব্যাংকগুলোর তারল্যের ক্ষেত্রেও কোন ঘাটতি নেই। তারল্য সঙ্কট না থাকায় ব্যাংকগুলো এখন প্রকৃত ঋণ গ্রহীতা নির্বাচন করে ঋণ বিতরণ করতে পারছে। বর্তমানে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কার্যক্রমের মাধ্যমে নতুন নতুন খাতে ঋণ প্রবাহকে উৎসাহিত করা হচ্ছে যা দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখার পাশাপাশি দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতা আনয়নেও ভূমিকা রাখছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের ফলে খাদ্য আমদানি ব্যয় ব্যাপক হ্রাস পেয়েছে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হচ্ছে।
বিষয়: বিবিধ
৬৮৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন