চোখের পানি মুছে দিতে এসেছি !!!! আমরা আর একা নই
লিখেছেন লিখেছেন মশা০০৭ ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৫:০০:২৯ বিকাল
দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে অবরোধ-হরতালের নামে চলছে লাগামহীন নাশকতা। ককটেল, পেট্রলবোমা প্রতিদিন নিরীহ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। রাজনীতি যেন মানুষের প্রতিপক্ষ হয়ে দেখা দিয়েছে। অবরোধ-হরতালের নামে যা হচ্ছে তা যে চূড়ান্ত রকমের নাশকতা, তা নিয়ে কোনো মহলেরই দ্বিমত নেই। শনিবার ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে অবরোধ সমর্থকরা রাজধানীতে চার গাড়িতে আগুন দিয়েছে। বোমা হামলায় আহত হয়েছে ইডেন কলেজের তিন ছাত্রীসহ বেশ কয়েকজন। গাজীপুরে বাসে পেট্রলবোমা হামলায় দগ্ধ হয়েছে দুই যাত্রী। দেশের যেকোনো রাজনৈতিক দলের যেকোনো গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পালনের অধিকার আছে। হরতাল-অবরোধ এখনো গণতান্ত্রিক কর্মসূচি হিসেবেই স্বীকৃত। কিন্তু কোনো রাজনৈতিক দল হরতাল ডাকলে দেশের সব মানুষ কি তা পালনে বাধ্য? কর্মসূচি নিয়ে জনগণের কাছে যাওয়ার, জনগণকে কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত করার অধিকার সব রাজনৈতিক দলের আছে। সংসদের বাইরে থাকা রাজনৈতিক দলগুলো যে কর্মসূচি পালন করতে চাইবে বা করবে, তার মধ্যে দেশের সব মানুষ একাত্ম হবে না। গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিরুদ্ধ মত থাকাটাই স্বাভাবিক। কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি কেউ মানতে না চাইলে তাকে বোমা মেরে পুড়িয়ে মারতে হবে? এটা কোন ধরনের রাজনীতি। ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ দল বিএনপি বরাবরই বলে এসেছে, এ ধরনের নাশকতার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তাহলে নাশকতা করছে কারা? টানা হরতাল-অবরোধে জিম্মি হয়ে পড়েছে পুরো দেশ। পেটের দায়ে যারা দিনমজুরের কাজ করে, তাদের পেটে লাথি পড়েছে। আয় না হওয়ায় ঠিকমতো চুলায় আগুন জ্বলছে না। ব্যক্তি মানুষের ক্ষতির কারণে দেশের অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যাদের ব্যাংক ঋণ আছে, তারা ঠিকমতো ঋণ পরিশোধ করতে পারছে না। শিশুরা আজ ঘরে আবদ্ধ হয়ে পড়েছে। শিক্ষাব্যবস্থা নষ্ট হচ্ছে। পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে দেওয়া হচ্ছে না। কৃষকরা পাচ্ছে না ন্যায্যমূল্য। আমদানি-রপ্তানি কমে গেছে। গাড়ি পোড়ানো আর পেট্রলবোমার আতঙ্ক চারদিকে। বার্ন ইউনিট ভরপুর হয়ে গেছে। কত মায়ের বুক খালি হয়েছে। চোখের পানি ঝরছে। গুমরে কাঁদছে সবাই। শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে, অর্থনীতি ধ্বংস করে, সাধারণ মানুষ পুড়িয়ে মেরে, ছাত্রদের ভবিষৎ ধ্বংস করে কিসের রাজনীতি? কিসের আন্দোলন? সহিংসতার মুখোমুখি হওয়ার জন্য আমি, আমরা প্রত্যেকে এগিয়ে আসি। আমি একা, আপনি একা। সবাই একত্র হলে একটা দল। আমরা যদি অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই, তাহলে আর অন্যায় হবে না। সবাই এগিয়ে এলে চোখের জল মুছে দিতে পারব বেদনার্তদের। অশ্রু মুছে দিতে পারব অবুঝ শিশুর। আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারি। সংঘবদ্ধ শক্তির জানান দিতে হবে। আজ চোখের পানি মুছে দিতে এসেছি।
বিষয়: বিবিধ
৮০৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন