বাঙ্গালীর একুশে বিশ্বাস নেই বেগম জিয়ার তাই শহীদ মিনারে গেলেন না
লিখেছেন লিখেছেন মশা০০৭ ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৪:১৮:৪৯ বিকাল
রক্তে আমার আবার প্রলয় দোলা, ফাল্গুনে আজ চিত্ত আত্ম ভোলা, আমি কি ভুলিতে পারি, একুশে ফেব্রুয়ারি...। একুশ বাঙালীর আত্মপরিচয়। বিপ্লবী চেতনার বহ্নিশিখা। প্রতিবাদ প্রতিরোধের বায়ান্ন। পুনঃ পুনঃ তাই উচ্চারিত হলো একুশ মানে মাথানত না করা। একুশের মর্মবাণী প্রতিধ্বনিত হলো বুকের গভীরে। শহীদ মিনারের চারপাশ ঘিরে থাকা জনসমুদ্র জানিয়ে দিল বাঙালী পরাভব মানে না। সব রকমের অন্যায় পাপ ও পিশাচের বিরুদ্ধে লড়ে যাওয়ার অঙ্গীকারে, একুশের চেতনায় এগিয়ে যাওয়া অব্যাহত রাখার দৃঢ় প্রত্যয়ে শনিবার পালিত হলো শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০১৫। একুশের প্রথম প্রহর, প্রভাতফেরি, বইমেলা, শহর ঘুরে বেড়ানো, সর্বত্রই বিপ্লবী চেতনার বহ্নিশিখা জ্বালিয়ে রেখেছিল বাঙালী। প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শুরু। ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ভারতবর্ষ বিভক্ত হয়। জন্ম নেয় পৃথক দুই রাষ্ট্র ভারত ও পাকিস্তান। পাকিস্তানের দুই অংশ পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান। সংখ্যাগরিষ্ঠ পূর্বাঞ্চলের মানুষ বাঙালী। মাতৃভাষা বাংলা। অপরদিকে পশ্চিমাঞ্চলে প্রচলিত ছিল সিন্ধী, পুষত, বেলুচ, উর্দুসহ আরও কয়েকটি ভাষা। এ অবস্থায় পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন মুসলীম লীগ নেতৃত্ব সমগ্র পাকিস্তানের আনুমানিক পাঁচ শতাংশের ভাষা উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার চক্রান্ত শুরু করে। অথচ তারও অনেক আগে পূর্ব পাকিস্তানে ভাষাচেতনার উন্মেষ ঘটেছিল। মায়ের ভাষার প্রতি বাঙালীর অনুভূতি কত তীব্র ছিল তা জানিয়ে মধ্যযুগের কবি আবদুল হাকিম লিখেছিলেন যে সব বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী, সে সব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি...। কিন্তু পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী এই অনুভূতি স্পর্শ করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়। বাঙ্গালীর একুশে বিশ্বাস নেই বেগম জিয়ার তাই শহীদ মিনারে গেলেন না। একই ভাবে সাবেক বিরোধী দলীয় নেতা এবং তার সাথে থাকা পাকি পন্থিরা দেশের মানুষের অনুভুতিকে বুঝতে হয়ে পেট্রোল বোমা ছুড়ে মারছে দেশের মানুষের উপর । তাদের স্বপ্ন পুড়িয়ে দিয়ে উল্লাস নৃত্ত করছেন বেগম জিয়া এবং তার সহযোগী জামাত শিবির। এই নরপিচাশ দের বিচার বাংলার মাটিতে হবে। এই অপেক্ষায় প্রহর গুনছে বাংলার মানুষ।
বিষয়: বিবিধ
৯২০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন