আগুনে পুড়ে যাওয়া রোগীদের চিকিৎসায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে আসছে আধুনিক যন্ত্রপাতি বাড়ছে সেবার মান
লিখেছেন লিখেছেন মশা০০৭ ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৪:৪৫:৫৩ বিকাল
আগুনে পুড়ে যাওয়া রোগীদের চিকিৎসায় দেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য স্থান ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (ঢামেক) বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট। ২০০৩ সালে এ ইউনিটের যাত্রা শুরু। এর মাঝে সাধারণ ঘটনায় পুড়ে যাওয়া রোগী ছাড়াও নিমতলী ট্র্যাজেডি ও হরতাল-অবরোধে পুড়ে যাওয়া মানুষের চাপ সামলাতে দেখা যায় এ হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের। এ প্রতিষ্ঠানটিকে ইউনিট থেকে ইনস্টিটিউটে পরিণত করার জন্য সংশ্লিষ্টরা দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। একই সঙ্গে উন্নত চিকিৎসা প্রদানে হাসপাতালে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাব থাকায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা কেনার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে আসছে। শেষ পর্যন্ত বার্ন ইউনিট কর্তৃপক্ষের আবেদনে সাড়া দিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে বেশকিছু বেসরকারি ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান আধুনিক যন্ত্রপাতি কেনার জন্য বার্ন ইউনিটকে আর্থিক অনুদান দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এ হাসপাতালে আসা অগ্নিদগ্ধদের ড্রেসিংয়ের সময় মৃত চামড়া তোলার জন্য যে প্রক্রিয়া চলে আসছে তা অত্যন্ত কষ্টদায়ক। এ ক্ষেত্রে রোগীকে হাসপাতালের তিন-চার জন কর্মচারী বেড থেকে ট্রলিতে উঠিয়ে টয়লেটে নিয়ে গিয়ে হাত দিয়ে মৃত চামড়া তুলতেন। এ সময় ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করা হতো। পুরো প্রক্রিয়াটি ছিল রোগীর জন্য অত্যন্ত কষ্টদায়ক। রোগীদের এ কষ্ট থেকে রেহাই দিতে বার্ন ইউনিটে যুক্ত করা হচ্ছে স্বয়ংক্রিয় ‘বার্ন ট্যাংক’, যা রোগীকে লিফটের সাহায্যে তুলে নিয়ে গরম পানিতে স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির মাধ্যমে মৃত চামড়া তুলতে সাহায্য করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি বার্ন ইউনিটের জন্য তিনটি ‘বার্ন ট্যাংক’ কেনার জন্য ৩ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন। এগুলো কেনার প্রক্রিয়াও ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। সব মিলিয়ে বার্ন ইউনিটকে আরও আধুনিক ও উন্নত করার লক্ষ্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গত বছরই বাংলাদেশ ব্যাংককে একটি পরিকল্পনার প্রস্তাব প্রদান করে। গত এক মাসের অধিক সময়ে রাজনৈতিক অস্থিরতায় পেট্রলবোমায় দগ্ধ ও ককটেল বোমায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মানুষ বার্ন ইউনিটে ভর্তি হয়। অগ্নিদগ্ধদের চাপে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যখন হিমশিম খাচ্ছে সে সময় সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বার্ন ইউনিটকে আধুনিকায়নের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এতে দীর্ঘদিন ধরে বার্ন ইউনিটের পুঞ্জীভূত নানান অভাব ও অপ্রাপ্তি দূর হবে বলে দেশবাসী আশা করছে।
বিষয়: বিবিধ
৭৫৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন