ভোগ্যপণ্য বাজার অবরোধ হরতালের প্রভাবমুক্ত রাখার উদ্যোগ সরকারের

লিখেছেন লিখেছেন মশা০০৭ ২৮ জানুয়ারি, ২০১৫, ০৩:৩৮:৪০ দুপুর



ভোগ্যপণ্যের বাজার অবরোধ-হরতালের প্রভাবমুক্ত রাখতে অত্যাবশ্যকীয় ১৭টি পণ্যের দাম ও সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে দ্রব্যমূল্য পূর্বাভাস ও মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে এ সেল সারাবছর কাজ করবে। প্রধান খাদ্যপণ্য চালের দাম নিয়ন্ত্রণ ও সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখার কৌশল গ্রহণ করা হচ্ছে। আগামী রোজার সময় যাতে ভোগ্যপণ্যের বাজার স্বাভাবিক থাকে সে লক্ষ্যে আমদানি বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শীঘ্রই আমদানিকারকদের সঙ্গে জরুরী বৈঠক করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। রমজানে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, পেঁয়াজ, ডাল ও খেজুর। এ ছয়টি পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে ব্যবসায়ীদের আমদানির প্রস্তুতি নেয়ার জন্য ইতোমধ্যে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের টানা হরতাল-অবরোধের মধ্যেও যাতে বাজারে পণ্যমূল্য ও সরবরাহ স্বাভাবিক থাকে সে জন্য ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা দেয়া হবে। যদিও সরকার নিয়ন্ত্রিত সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ টিসিবিও ইতোমধ্যে আমদানি এবং পণ্য মজুদ বাড়ানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। শুধু রোজা নয়, সারাবছর যাতে পণ্যমূল্য স্বাভাবিক থাকে সে লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। এখন নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক রয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বাজার তদারকি নিয়ে আগে থেকে কাজ করছে। তবে বাজার স্বাভাবিক রাখতে এখন আনুষ্ঠানিকভাবে দ্রব্যমূল্য পর্যবেক্ষণ ও পূর্বাভাস সেল গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বাজার পর্যালোচনা করতে কাজ শুরু করেছে সেল।যাতে দ্রব্যমূল্য যৌক্তিক ও সহনীয় রাখা যায়। এখন থেকে প্রত্যেকটি নিত্যপণ্যের চাহিদা ও সরবরাহ পর্যবেক্ষণ করা হবে। তাছাড়া যে দেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে সে দেশের রফতানি, উৎপাদন পরিস্থিতি ও তাদের নিজস্ব চাহিদার জন্য সংরক্ষণ করা পণ্য পরিস্থিতি যাচাই করে মতামত দেবে। সে অনুযায়ী পরবর্তী এক বছরের বাজার পরিস্থিতি নিয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। এদিকে ভোগ্যপণ্যের বাজার হরতাল-অবরোধের প্রভাবমুক্ত রাখতে বেসরকারী খাতের আমদানি বাড়াতে ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।

বিষয়: বিবিধ

৬২২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File