তৈরি পোশাক শিল্পে স্বচ্ছতা আনতে সাব-কন্ট্রাক্টিং নীতিমালা তৈরি করছে সরকার

লিখেছেন লিখেছেন মশা০০৭ ১৭ জানুয়ারি, ২০১৫, ০৫:৫৬:১৯ বিকাল

তৈরি পোশাক শিল্পের সাব-কন্ট্রাক্টিংয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ‘সাব-কন্ট্রাক্টিং নীতিমালা-২০১৪’এর খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ খসড়া নীতিমালা চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। চূড়ান্ত খসড়া নীতিমালা অনুযায়ী, সাব-কন্ট্রাক্ট পেতে কারখানা কর্তৃপক্ষকে শ্রমিকদের সরকার ঘোষিত ন্যূনতম মজুরি দিতেই হবে। থাকতে হবে শ্রমিকদের জন্য গ্রুপ বীমাও। সরকারের গেজেট প্রজ্ঞাপন দিয়ে নির্ধারিত তারিখ থেকে নীতিমালার শর্ত কার্যকর হবে। সাব-কন্ট্রাক্ট প্রতিষ্ঠান বা কারখানা বলতে বোঝাবে রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান বা কারখানা থেকে পোশাক তৈরির কাজ পাওয়া প্রতিষ্ঠান বা কারখানাকে। চূড়ান্ত খসড়া অনুযায়ী, নীতিমালার শর্ত পালনে সক্ষম কারখানা সাব-কন্ট্রাক্টিং কাজে অংশ নিতে পারবে। সাব-কন্ট্রাক্ট কার্যক্রমের জন্য একটা চুক্তিপত্র থাকতে হবে। এ চুক্তিপত্রের একটি কপি সংশ্লিষ্ট সংগঠনকে (বিজিএমইএ অথবা বিকেএমইএ) দিতে হবে। সাব-কন্ট্রাক্টিং কাজে নিয়োজিত কারখানা ভবনের স্ট্রাকচারাল ডিজাইন বা লে-আউট প্ল্যানে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন থাকতে হবে। সাব-কন্ট্রাক্ট পাওয়া কারখানার শ্রমিকদের সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী গ্রুপ বীমার আওতায় আনতে হবে এবং নিয়মিত প্রিমিয়াম পরিশোধ করে হাল-নাগাদ থাকতে হবে। তৈরি পোশাক রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ও সাব-কন্ট্রাক্ট পাওয়া কারখানার মধ্যে কোনো বিরোধ দেখা দিলে তা মীমাংসার জন্য যে কোনো পক্ষ সংগঠনের (বিজিএমইএ অথবা বিকেএমইএ) আরবিট্রেশন কমিটিতে আবেদন করবে। যা প্রচলিত আরবিট্রেশন বিধি মোতাবেক চার সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে। এছাড়া বিজিএমইএ অথবা বিকেএমইএ এ দুই সংগঠনের মধ্যে কারখানা যেই সংগঠনের সদস্য সেই সংগঠনকে প্রতি তিন মাস অন্তর সাব-কন্ট্রাক্ট প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের তথ্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বস্ত্র সেলে পাঠাতে হবে। সাব-কন্ট্রাটিংয়ের ক্ষেত্রে কোনো পক্ষ নীতিমালা বা নীতিমালার কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে তার উৎপাদন বা রফতানি কাজে দেয়া সেবা সাময়িক বা স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া হবে। আইন, বিধি ও নির্বাহী আদেশ বলে সরকার ও সংগঠনের মাধ্যমে এ সেবা বন্ধ করা হবে। সঠিকভাবে নীতিমালা পরিপালন করা হলে শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ এবং নিরাপত্তার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হবে। এই নীতিমালাটি সম্পূর্ণভাবে পালিত হলে কিছুদিন পর পর মালিক এবং শ্রমিক পক্ষ নিয়ে যে মতবিরোধ দেখা দেয় তা অনেকাংশে হ্রাস পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিষয়: বিবিধ

১১৬৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File