ত্রিমাত্রিক ও শক্তিশালী নৌবাহিনী গঠনের উদ্দেশ্যে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার
লিখেছেন লিখেছেন মশা০০৭ ২২ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৫:৩৮:২৬ বিকাল
সময়ের পরিক্রমায় ছোট্ট নৌবাহিনী আজ একটি মর্যাদাশীল নৌবাহিনীতে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের বর্ধিত সমুদ্রসীমা ও সমুদ্র সম্পদ রক্ষায় এ বাহিনীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। ইতোমধ্যেই নৌবাহিনীকে একটি কার্যকর ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, যা ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে। বাংলাদেশ এখন আধুনিক যুদ্ধজাহাজ নির্মাণে স্বনির্ভরতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী এখন ‘বায়ার নেভি’ থেকে ‘বিল্ডার নেভিতে পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর আন্তরিক প্রচেষ্টায় ভারত থেকে সংগৃহীত দুটি পেট্রোলক্রাফট ‘পদ্মা’ ও ‘পলাশ’ এবং ৪৯ জন নাবিক নিয়ে যাত্রা শুরু হয় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ঘাঁটিসমূহ একযোগে কমিশন্ড করেন এবং বিএনএস ঈশা খাঁকে প্রথম ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড প্রদান করেন। নৌবাহিনী এখন একটি মর্যাদাশীল বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ নৌবাহিনী সুপরিচিতি লাভ করেছে। মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ সমুদ্র এলাকার বিষয়টি আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে সুরাহা হয়েছে। ন্যায্যতার ভিত্তিতে আমরা ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটারে সার্বভৌমত্ব অর্জন করেছি। বর্তমান সরকারের আমলে অতি স্বল্প সময়ে ১৬টি জাহাজ সংযোজিত হয়েছে। দুটি হেলিকপ্টার ও দুটি মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট সংযোজনের মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনী একটি নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। ইতোমধ্যে দুটি সাবমেরিন সংযোজনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়েছে। আগামী ২০১৬ সালের মধ্যেই নৌবাহিনীতে সাবমেরিন সংযোজিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। একটি শক্তিশালী নৌবাহিনী গঠনের উদ্দেশ্যে অত্যাধুনিক দুটি করভেট গণচীনে নির্মাণাধীন রয়েছে। আগামী বছর এগুলো নৌবহরে যুক্ত হবে। নৌবাহিনীর দক্ষ ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত খুলনা শিপইয়ার্ড ও নারায়ণগঞ্জ ডক ইয়ার্ড এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসে নিজস্ব প্রযুক্তিতে নির্মাণ করা হচ্ছে অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ।
বিষয়: বিবিধ
৯৫৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন