ফসল আবাদে নতুন পথের দিশা বিনা পয়সার তাৎক্ষণিক সমাধান “কৃষি কল সেন্টার”
লিখেছেন লিখেছেন মশা০০৭ ০১ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৩:৫৯:১৬ দুপুর
ফসল আবাদে কৃষককে নতুন পথের দিশা দিয়েছে কৃষি কল সেন্টার। দিন দিন কল সেন্টারের প্রতি কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। নানান ধরনের ফসল আবাদে কৃষকের তথ্য জানার আগ্রহের শেষ নেই। প্রতিদিন দেড় থেকে ২শ’ কল আসছে কৃষি কল সেন্টারে। আলু ও সবজি আবাদের বিষয়ে সবচেয়ে বেশি জানতে চায় কৃষকরা। এছাড়া ধান, পাট, গম, মাছ চাষ ও হাঁস-মুরগি পালন বিষয়ে নিয়মিত কল আসে কৃষি কল সেন্টারে। আর বিনা পয়সায় এ তথ্য জানার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আছে দেশের প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকরা। বিনা পয়সায় তৎক্ষণাৎ সমস্যার সমাধান পেয়ে কৃষকরাও খুব খুশি। কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন সেবা দিতে সরকার চলতি বছর চালু করে এ কৃষি কল সেন্টার, যা দেশের কৃষি উন্নয়নে এক নতুন সংযোজন। সরকারীভাবে এটিই বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম জায়গা করে নিয়েছে। এই কল সেন্টারের নম্বর হচ্ছে ১৬১২৩, যা থেকে কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। কৃষি মন্ত্রণালয়াধীন কৃষি তথ্য সার্ভিস ও প্র্যাকটিক্যাল এ্যাকশন বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে ঢাকার ফার্মগেটের খামারবাড়ির কৃষি তথ্য সার্ভিসে চালু করা হয়েছে এটি। চলতি বছরের মাঝামাঝি ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে কৃষি কল সেন্টারের নতুন আলোকিত পথের যাত্রা শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন এ কল সেন্টারের। সেই সঙ্গে রাষ্ট্রীয়ভাবে বরাদ্দ পায় বিনা পয়সায় কৃষি তথ্য সেবা প্রযুক্তি জেনে নেয়ার নির্দিষ্ট ডিজিট ১৬১২৩। যে কেউ তার মোবাইল বা টেলিফোন নম্বর থেকে ১৬১২৩ নম্বরে ফোন দিলেই কল সেন্টার থেকে জানতে চাওয়া হবে কৃষি, মৎস্য বা প্রাণী কোন বিষয় জানতে চাওয়া হচ্ছে। নির্দিষ্ট তথ্যের জন্য নির্দিষ্ট নম্বরে প্লেস করতে হবে। এরপর কৃষকের কাছ থেকে সমস্যার কথা শুনে প্রয়োজনীয় তথ্য সেবা দেয়া হবে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ সেবা প্রদান করা হচ্ছে। কৃষি কল সেন্টারের ৫ অপারেটরের মধ্যে ৩ জন স্নাতক কৃষি, পশুচিকিৎসক এবং মৎস্যবিদ; বাকি ২ জন মাঠপর্যায়ের কৃষিসংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে বিশেষজ্ঞ। এছাড়াও যুক্ত রয়েছেন ৬ এক্সাটার্নাল বিশেষজ্ঞ, যাদের সঙ্গে প্রয়োজনে কল সেন্টার গ্রাহককে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সরাসরি যোগাযোগ করিয়ে দেয়া হয়। কল সেন্টারে দুটি স্ট্যান্ডবাই সার্ভার, ফোনকল পরিচালনার জন্য আইভিআর এবং কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এ্যান্ড ক্ল্যায়েন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমসহ একটি অত্যাধুনিক সফটওয়্যার রয়েছে। বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ থাকলেও অন্তত ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্নভাবে চালাতে বিদ্যুতের ব্যাকআপ রয়েছে। কলসার্ভারটি একসঙ্গে ত্রিশটি কল রিসিভ করে সেবা দিতে পারে।
কৃষি তথ্য সার্ভিস কল সেন্টারের মাধ্যমে কৃষি সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ৩ বছরের জন্য ৪ কোটি টাকার একটি কর্মসূচী প্রণয়ন করেছে। এর ফলে কৃষি কল সেন্টারের পরিধি আরও বৃদ্ধি পাবে পাশাপাশি কৃষকও এখান থেকে পরামর্শ নিয়ে তা কাজে লাগিয়ে ফসলের উন্নতি ঘটাতে পারবে।
বিষয়: বিবিধ
৯৩২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন