পদার্পণ.................(পর্ব ২)
লিখেছেন লিখেছেন পুস্পগন্ধা ০৪ ডিসেম্বর, ২০১৪, ১১:১১:০৭ সকাল
এভাবে যখন দিন গুলি কেটে যাচ্ছিল তখন তার ই ডিপার্টমেন্ট এর এক বড় ভাই হাসিব কে নতুন করে আবিস্কার করল মারিয়া
মারিয়া বিবিএ ফাইনাল দিয়ে ইন্টার্নশীপ Report করছে যে টিচারের আন্ডারে সে একই টিচারের আন্ডারে হাসিব এমবিএ ফাইনাল দিয়ে ইন্টার্নশীপ Report করছে ।
নিজের রাজ্যে অবাধ বিচরণ করে, আপন প্রজা - প্রজাপতিদের নিয়ে খেলা করে যে তৃপ্ত তার তো অন্যের রাজ্যে হানা দেয়ার কোন দরকার নেই।
তাই বলে অন্য কেউ যে সে রাজ্যে হানা দিবে না এমনটা ও তো কোথাও লিখা নেই ।
আর তাই তো হাসিবের সাথে কয়েকবার দৃস্টি বিনিমইয়ের পর আপন রাজ্যে হানা না আসলেও কিছু একটা ঘটেছে যা মারিয়া এখন বুঝতে না পারলেও বঝেছিল কয়েক দিন পর।
অন্যদিকে হাসিব যে কিনা "আমার আপনার চেয়ে আপন যে জন খুজি তারে আমি আপনায় " করে বেড়াচ্ছিল, মারিয়া কে দেখার পর মারিয়ার রাজ্যে হানা দেয়ার পরিবর্তে আপন রাজ্যে মারিয়াকে রাণীর আসনে বসিয়ে বিনা হামলায় আত্ম্যসমর্পন করে দেউলীয়া হয়ে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে মারিয়াকে আরেকবার দেখার আশায়।
এভাবেই দি গুলি কেটে যাচ্ছিল, হাসিব প্রায় ই ক্যাম্পাসে আসে মারিয়াকে দেখার জন্যে, আর পনের দিন নিরাশ হয়ে ফিরে যাবার পর একদিন সকাল ১১ট সময় স্যারের রুমের গ্লাসের ফাকা দিয়ে একটি পিঙ্ক কালারের স্কার্ফ দেখতে পায় হাসিব।
হার্টবিট কতটা গতি পেয়েছিল তা বুঝতে না পারলেও হার্টবিট এর শব্দটা নেজের কানেই শুনতে পাচ্ছিল হাসিব।
কয়েক মুহুর্তের জন্য পা দুইটা এক জায়গাতেই আটকে গিয়েছিল তার।
তারপর দ্রুত কয়েক পা এগিয়ে গিয়ে থমকে দাড়াল হাসিব, রুমে ঢুকবে কিনা বুঝতে পারছিল না।
নার্ভাসনেস এর কারণে হাতের তালু ঘেমে যাচ্ছিল, গলাটা শুকিয়ে যাওয়ায় কয়েকবার ঢুক গিলে নিল হাসিব।
কয়েকটা দীর্ঘ নিশ্বাস ছেড়ে দরজায় নক করে স্যার কে সালাম দিল, কি ব্যাপার হাসিব তুমি আজকে? স্যারের এমন প্রশ্ন হাসিবের কানে প্রবেশ করতে পারলেও জবাব দেয়ার মত কোন আওয়াজ মুখ দিয়ে বেড় করতে পারল না।
কয়েক মুহুর্ত মারিয়ার দিকে তাকিয়ে থেকে কিছুটা নরমাল হয়ে একটু কাঁপা কাঁপা গলায় বলল, ইয়ে মানি স্যার এদিক দিয়ে যাচ্ছিলাম আপনি রুমে আছেন শুনে দেখা করতে আসলাম।
তারপর অনিচ্ছা সত্তেও কিছু অপ্রাসঙ্গিক কথা বলে বাইরে বেড়িয়ে এসে অপরাধীর মত দাঁড়িয়ে রইল।
অপেক্ষার মুহুর্তের তিক্ততা যত বেশী ই হউক না কেন হাসিবের কাছে তা ভয়ঙ্কর পদ্ম মধুর মত মনে হচ্ছিল, যেখানে রয়েছে ভয় আর দুর্লভ কোন কিছু পাওয়া না পাওয়ার শঙ্কা ।
এমনি করে প্রায় ত্রিশ মিনিট কেটে যাওয়ার পর জুতার হাল্কা শব্দে হাসিবের হৃদকম্পনে আর একটু হাওয়া লেগে দোলনে কম্পনে দম বন্ধ হওয়ার যখন উপক্রম হল ঠিক তখন ই মারিয়াকে তার সামনে দেখতে পেয়ে গড়্গড় করে বলতে লাগল - আমি হাসিব, এম বি এ ফাইনাল দিয়েছি, স্যারের আন্ডারে রিপোর্ট করছি, ইত্যাদি ইত্যাদি.....
মারিয়া কি বলবে বুঝতে পারছে না শুধু বলল ও আচ্ছা, কিছুক্ষন চুপ করে থেকে মারিয়া বলল আমি মারিয়া।
কয়েক মুহুর্ত দুজনের শ্বাস প্রশ্বাস এর ক্ষীন শব্দ ছাড়া আর কিছু শো্না যাচ্ছিল না, তারপর মারিয়া ই হঠাত করে বলে উঠল ঠিক আছে ভাইয়া আসি তাহলে, আল্লাহ হাফেজ বলে মারিয়া হাটা ধরল।
হাসিব কিছক্ষণ নিজ জায়গায় দাঁড়িয়ে থেকে এবার দৌড় দিল মারিয়ার পিছে, মারিয়া এক মিনিট, মারিয়া ঘুরে দাড়াতেই হাসিব বলে উঠল তোমার কি কোন হেল্প লাগবে রিপোর্ট করতে? মারিয়া কিছুটা অবাক হয়ে কি বলবে বুঝতে না পেরে বলল না তেমন কোন হেল্প লাগবে না, লাগলে বলব।
মারিয়ার পরের এই কথাটাতে হাসিব তার সাহসে একটু পানি পেল, বলল ঠিক আছে তোমাকে আমার নম্বরটা দিয়ে মিস কল দিচ্ছি
সেভ করে রাখো প্রয়োজন হলে ফোন দিয়ো।
তোমার নম্বরটা একটু বল মিস কল দিচ্ছি, যাহক নম্বর আদান প্রদান হয়ে গেলো।
মারিয়া কিন্তু বঝতেই পারল না যে এই পাঁচ মিনিটের কথোপকথন মারিয়ার জীবনে কি পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে, কোন নতুন এক অধ্যায়ে পদার্পন করতে যাচ্ছে মারিয়া …......... চলবে
বিষয়: সাহিত্য
১৩৫৬ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
দেখাযাক শেষ মেষ কি হয়।
পরের পর্বে ওদের বিয়ে দিয়েন আপু তাহলে বেস্ট হবে
মন্তব্য করতে লগইন করুন