জীবনটাকে ছুটি দিলেই বুঝি সমাধান হত!
লিখেছেন লিখেছেন অবাক মুসাফীর ২২ ডিসেম্বর, ২০১৪, ১০:৫২:৫২ রাত
শেষ বিকেলে নরম রোদ ছুঁয়ে
একাকী ভাবছো তোমার অবহেলার সময়?
অথচ তোমার বইয়ের তাকে এখনও শিব খেরা-কার্ণেগীরা হাসে।
অস্ফুট শালুকগুলোর সাথে ভেসে যেতে ইচ্ছে করে?
তারাও একদিন পাঁপড়ি মেলবে, নরম রোদ ছোঁবে।
তুমি হারাবে কৃষ্ণ-গহবরে।
তখনও সন্ধ্যে নামবে, তোমার সুরে আর রবীন্দ্র ভাসবে না ...
ছাদের কার্নিসে জমা কষ্টগুলোর যত্ন কেউ করবে না ...
ডায়েরীর পাতায় মুখ গুজে কেউ অশ্রু ঝরাবে না ...
অভিমানী মেঘগুলো আর তোমায় বারান্দায় ডাকবে না ...
কেউ তখন ভারী গলায় বলবে না, খেতে আয়।
তোমারই পোষা শালিক ভুলে যাবে তোমায়,
অকারণে জ্বালাতন করার মানুষগুলোর যন্ত্রণা থেকে তুমি মুক্তি পাবে।
দীর্ঘশ্বাসে স্মৃতির পৃষ্টাগুলো উল্টোবে, শ্বাসগুলো ভারী হতে থাকবে, ভিজে উঠবে।
তোমার পাঠানো ক্ষুদে বার্তাগুলো আর কেউ খুলে দেখবে না ...
মধ্যরাতে তোমার সাথে গল্প করার মানুষটা সঙ্গী হারাবে।
ভেবে দেখোতো প্রিয়দের কথা, যারা তোমার সাথে হেসেছে,
কেমন হবে সেদিন?
হয়তো কেউ কাঁদেনি তোমার সাথে; দুঃখগুলো একান্তই নিজের, শুধুই তোমার।
তাকে আগলে রাখতে শেখো, সস্তা করে দিয়ো না।
যারা বলেছে, তুমি ভেসে গেছো মেকী আবেগের স্রোতে
তাদের দাঁত ভাঙতে পারবে তো একদিন?
বলতে পারবে তো, আবেগগুলো মেকী ছিলো না, আমিই একটু ছোট ছিলাম।
তোমরা বড়রা কেন উটপাখির মত মাথা গুজেছিলে সেদিন?
কোথায় ছিলে যখন একটু প্রয়োজন ছিলো?
টিনের চালের ফাঁক দিয়ে বৃষ্টিতে ঘর একাকার হবেই, তাতে দুঃখ করো না।
ত্রয়োদশীতে জোছনারাও আসবে দল বেঁধে।
বিষয়: সাহিত্য
১০৯৭ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
(sorry, ager reply ta delete hoye gese..... )
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
মন্তব্য করতে লগইন করুন