হে বাঙ্গালী জাতি জেগে ওঠো; এগিয়ে এসো হায়ানের ছোবল থেকে দেশ কে বাচাতে…
লিখেছেন লিখেছেন nirvik sottobadi ০২ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৬:৫৭:২৫ সন্ধ্যা
আমাদের সবুজ শ্যামল প্রিয় বাংলাদেশ যেন আজ রক্তে ভেজা এক চাদর।
স্বাধীনতার যুদ্ধেও যেন এত রক্ত এত হতাশা ছিলনা! বরং সেখানে ছিল আশার আলো!
কেননা আশা ছিল, দেশ স্বাধীন হবে সবাই স্বস্তি পাবে, পাবে শান্তিময় এক নিবিড় বাংলাদেশ।
অনেক রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা পেয়েছিল ঠীকই, পেয়েছিলো লালসবুজ এক পতাকা!
কিন্তু বাস্তবে কি পেয়েছিল? সেই সবুজের ভিতর লাল রক্তগুলো যেন থামছেইনা, চাপ চাপ রক্তগুলো আজও গড়িয়ে পড়ছে যা ছড়িয়ে দিচ্ছে গ্রাম থেকে শহর,শহর থেকে পুরা বাংলাদেশ!
মানচিত্রটা যেন গুমড়ে কাদছে!
স্বাধীনতার শুরু থেকে একের পর এক বুদ্ধিজীবি হত্যা, গুম, ক্ষুধা, ত্স্না, ক্ষরা, রাজনৈতিক চাল এ যেন ফেনার মত বুদবুদি দিয়ে বাড়ছে ত বাড়ছেই। কোনভাবেই তা দমানো যাচ্ছেনা।
আর যাবেই বা কিভাবে?
স্বাধীনতার পর থেকে যারাই এগিয়ে আসতে চায় তদেরকেই কোন না কোন ভাবে দমিয়ে রাখছে যেন এক অদ্শ্য হাত।
যার দরুন একটা দেশ সবাধীনতার ৪০ বছর পরেও এ অশান্ত অবস্থা হতে রেহাই পাচ্ছেনা। আর তা পৌছে গেছে এখন এক চড়ম পর্যায়ে।
এ দেশে কিসের অভাব?
উর্বর মাটি, জনবল, খনিজ সম্পদ সবই তো আছে দেশটীতে। তাহলে কেন সবুজ বাংলদেশ আগাতে পারছেনা?
কেউ কি ভেবে দেখেছেন কোন সে অদ্শ্য হাত? কেউ কি দেখেছেন তাদের চোখের আড়ালের সেই হিংস্র থাবা কে ?
হুম কেউ কেউ দেখেছেন, অনেকেই উপলব্ধি করেছেন সেই রক্ত চক্ষু ও বন্যহিংস্রতার সরুপ!
কিন্তু দুঃখজক্ষজনক; যে বা যারাই এটা উপলব্ধি করেছেন তাদেরকেই কোন না কোনভাবে মুখ বন্ধ করে দিয়েছেন, কাউকে জীবিত রেখে আর কাউকে দুনিয়া থেকে নিশ্চীহ্ন করে।
এক অদ্শ্য শক্তি যেন সবুজ শ্যামল মাটিকে রক্তাক্ত ও উত্তপ্ত করে রাখতে বদ্ধ পরিপুরক, যেন এটা উন্নতির শিখরে পৌছতে না পারে।
প্রথমেই ছিল ইন্টারনাল প্লান, আর তা বাস্তবায়নের পরে এবার এসেছে আউটার প্লান এ।
এতদিন ছিল পর্দার আড়ালে আর তা বেরিয়ে এসেছে উম্মুক্ত হয়ে।
হায়েনার পক্ষ শক্তি আজ প্রতিহিংসার নেশায় উম্মুখ ।
কোন কিছুর ই পরওয়া নেই তাদের। একটাই লক্ষ্য হিংসার আগুনে জালিয়ে পুড়িয়ে ধ্বংসিয়ে দিতে হবে, এই সবুজ বাংলাকে।
তাইতো তারা হাত দিয়েছে যুব সমাজের উপর, তাদেরকে বিজাতীয় অপসংস্কৃতির নেশায় ডুবিয়ে রেখেছে চড়মভাবে। একে একে হাতে নিয়েছে দেশের সবচেয়ে গুরুতবপুর্ন সমরবীদ, বুদ্ধিজীবি, অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ, বড় বড় আলেমগন, দেশের ভবিষ্যৎ নির্মাতাদের উপর।
প্রথমেই তারা হত্যা করেছে ৫৭ জন প্রথম সারির আর্মি অফিসারগনদের,বাকি যারা সম্ভাবনাময়ী দেশপ্রেমী অফিসার তাদের অনেককেই বিচারের নামে করেছে কারাগারে বন্দী।
তারপর শুরু হলো বিরোধী দল নিধন কর্মসুচী। যারাই বুদ্ধিমান দেশপ্রেমী স্পষ্টভাষী সকলকেই একে একে বন্দী করা হলো। মানবতাবিরধীর বিচার নামে শুরু হলো ফাসির মহড়া !
হত্যা করা হলো আব্দুল কাদের মোল্লা, মোহাম্মাদ কামারুজ্জামান, সালাহুদ্দিন কাদের চৌধুরী, আলী আহসান মুজাহিদের মত সুক্ষ ব্রেইনীদের।
প্থীবির ইতিহাসএ এটা বিরল যে মন্ত্রী থাকার পরও কাউকে বিতর্কিত আইনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তী ফাসির রায় কার্যকরকরন।
কোন উপযুক্ত কারন ছাড়াই দেশের একমাত্র নোবল বিজয়ী ডঃ ইউনুস কে দেশ ছাড়া করা,
সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানের মত ব্যক্তি কে বছরের পর বছর জেলের অন্ধকার কুঠরিতে বন্দী রাখা!
তাছাড়া প্রতিটি গ্রাম, নগর ও শহরের বিশিষ্ট এবং সম্মানিত ব্যক্তিদের বাড়ী বাড়ী যেয়ে হত্যা, গুম, ইয়ং জেনারেশন কে পিটিয়ে মারা, জেল, জুলুম, ঘর ছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করে পংগু করে দেয়া!
শত শত হাফেয ও মাদ্রাসা ছাত্র হত্যা! এ যেন এক অসহনীয় অবস্থা!
নাটক সিনেমাকেও যেন হাড় মানায়! এ যেন হায়েনার হিংস্রতাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে!
একটি স্বাধীনজাতি হিসেবে এটা সত্যিই দুঃখজনক।
আসলেই আমরা এক হতভাগা জাতি।
তাই আসুন আর ঘুমিয়ে থাকা নয়, নয় আর বিজাতীয় অপসংস্ক্তির নেশায় বুদ হয়ে থাকা।
আর ভয় নয় হায়েনার রক্তচক্ষুকে!
বরং সকল ভয় উপেক্ষা করে, কোন দল বা নেতার অপেক্ষায় না থেকে আবারো ঝাপিয়ে পড়তে হবে; সকল ছাত্র শিক্ষক, শ্রমিক, ক্ষক, ব্যবসায়ী সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে, থামিয়ে দিতে হবে এই হায়েনার উল্লাস।
তাহলেই আবারো দেশ এগিয়ে যাবে সবুজ শ্যমল কোমলতার দিকে!
উড়বে লাল সবুজ পতাকা বিরামহীন,বিরাজ করবে শান্তি ও সুখের সোনালী সূর্যদয়!!
বিষয়: বিবিধ
৯৭২ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন