আমাদের বিরুদ্ধে যে স্রোত
লিখেছেন লিখেছেন আরিফিন আল ইমরান ১৮ মার্চ, ২০১৫, ০১:৪৪:৩২ দুপুর
তুমি পারবেনা, তোমাকে দিয়ে হবেনা, এই কাজ তোমার জন্য নয়। এই কথাগুলোর সাথে আমাদের পরিচয়-অনেক ছোটবেলা থেকে। শুরুটা করেন অভিভাবকরা। আমরা যেদিকেই যাই, সেদিকেই তাদের-না, না এবং না। আমাদের লাল-নীল ইচ্ছে, স্বপ্ন দেখার সাহস এবং আত্নবিশ্বাসী হবার প্রত্যয়, তখন থেকেই একপ্রকার ফ্যাকাসে হয়ে যায়। তারপর স্কুল শিক্ষকদের বেতের বাড়ি, ধমকের আঘাত; আমাদের আরো নির্জীব করে তোলে। কলেজ-ভার্সিটিতে এসে, আমরা একটু বড় পরিবেশ পাই। স্বাধীনতা পাই। কিন্তু এখানে শুরু হয় নতুন ক্রাইসিস। প্রথমে ভাল প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া চাই আর তারপর একটা ভাল চাকরি চাই। এই দুই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে, জীবন হারাতে থাকে তার রূপ-রস-মাধুর্য। মাঝখান দিয়ে চলে যায় তারুন্য ও যৌবনের সোনালী সময়। প্রেমকে পদাঘাত করে-অর্থনীতির যাঁতাকল। বিয়ে হয়ে পড়ে-এভারেস্ট আরোহনের মত কঠিন। তারপর যেদিন সব মিলে যায়, সেদিন আর সময় থাকেনা। নারী, স্ট্যাটাস,অর্থ, প্রাচুর্য সবই আসে; তবে বড় বিলম্বে। ততদিনে বুকে অনেক নিকোটিন। রক্তে উচ্চচাপ । চর্বিযুক্ত শরীরে ডায়াবেটিসের বাসা। বাড়ি থেকে কর্মক্ষেত্র, সেখান থেকে আবার বাড়ি। নক্ষত্রের জায়গায় আসে নতুন নক্ষত্র। প্রজাপতির জায়গায় নতুন প্রজাপতি। কিন্তু আমরা থাকি একই জায়গায়। ওরা যে অনেক আগেই বলেছিল, আমাদের দিয়ে হবেনা। আসলেই হয়না । স্বপ্ন, ইচ্ছে, কামনা, প্রেম, তৃপ্তি, সবই অপূর্ণ থাকে। অপূর্ণ থাকি আমরা। বেদনার সন্তান হয়ে এগিয়ে চলি মৃত্যুর পানে।
বিষয়: বিবিধ
১১৭৬ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনি যা বলেছেন এটাই গতানুগতিক জীবন । আসলে আমরা নিজের অবস্থানে তৃপ্ত হই না ।তাই মনে শুধুই হতাশা ।
ধন্যবাদ।
প্রেমকে পদাঘাত করে-অর্থনীতির যাঁতাকল। এইটুকুর প্রয়োজনীয়তা কে অস্বীকার করেও আমরা চলতে পারি!
শুকরিয়া!
লেখাটা তার চেয়েও বেশী কিছু।
মন্তব্য করতে লগইন করুন