পাহাড়ে শান্তিচুক্তি বনাম স্বায়ত্তশাসন
লিখেছেন লিখেছেন আমি অরন্য ১৮ আগস্ট, ২০১৫, ০৪:১৯:১৩ বিকাল
শান্তি চুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সশস্ত্র শাখার আনুষ্ঠানিক বিলুপ্তি ঘটলেও দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে পাহাড়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপের অপতৎপরতা সকল মহলকে নতুন করে ভাবিয়ে তুলছে। সবুজের সমারোহে পাহাড় যেন পরিণত হয়েছে অবৈধ অস্ত্রের পাহাড়ে। গোটা পাহাড়কে বিভিন্ন জোনে ভাগ করে সন্ত্রাসী গ্রুপের সশস্ত্র সদস্যরা মাঠে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এ পর্যন্ত তারা চাঁদাবাজির মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে। কিন্তু নেপথ্যে এদের চিন্তাধারা মূলত স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা করা। মহলবিশেষ নিজেদের স্বার্থ হাসিল ও তাদের গুরুত্ব অনুধাবনের জন্য পাহাড়ে সশস্ত্র গ্রুপগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা দিতে শুরু করে, যা আজও অব্যাহত রয়েছে। পাহাড়ে সর্বশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের যে ঘটনা ঘটেছে তা শান্তি চুক্তি পরবর্তী সময়ে বৃহত্তম একটি ঘটনা। ঘটনাটি ঘটেছে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে ৫ সন্ত্রাসী। এরা সবাই ছিল সেনা সদৃশ পোশাক পরিহিত। এদের কাছে ছিল ভারি অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ। এ ঘটনায় একজন সেনাসদস্য গুরুতর আহত হয়েছে। গত ১৫ আগস্ট বাঘাইছড়ির রূপকারী ইউনিয়নের দোখাইয়া নামক এলাকায় সংঘবদ্ধ পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের অবস্থানে অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। এতে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর উদ্ধার হয় একে-৪৭ রাইফেলসহ বিভিন্ন ধরনের ভারি অস্ত্র ও প্রায় সাড়ে ৫শ’ রাউন্ড গুলি। গত পাঁচ মাসে বাঘাইছড়িতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলির এটি দ্বিতীয় ঘটনা। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে নিহত যুবকদের শরীরে ছিল সেনাবাহিনীর সদৃশ্য ইউনিফর্ম (পোশাক)। আগে এ ধরনের পোশাক সন্ত্রাসীদের শরীরে দেখা যায়নি। অস্ত্র হাতে নেয়ার পর নতুন ইউনিফর্ম প্রমাণ করছে এরা ইতোপূর্বেকার চেয়ে অনেক বেশি গুণে সংঘবদ্ধ এবং সংগঠিত। যা একটি স্বাধীন দেশ ও জাতির জন্য হুমকিস্বরুপ। এরুপ হুমকি প্রতিহত করে পাহাড়ি অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে সমগ্র দেশবাসীকে এগিয়ে এসে যথাযথ কতৃপক্ষকে সহায়তা করতে হবে।
বিষয়: বিবিধ
৭৬৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন