অবকাঠামো উন্নয়ন, মজুদ ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন সরবরাহ পদ্ধতিতে বিমানে তেল সরবরাহে বেসরকারী খাতকে এগিয়ে আনতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার
লিখেছেন লিখেছেন আমি অরন্য ১৬ আগস্ট, ২০১৫, ০৫:৩২:৫০ বিকাল
উড়োজাহাজে তেল সরবরাহ কাজে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী খাতও এগিয়ে আসতে চাইছে। এ ব্যাপারে দেশের আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরগুলোতে ৪শ’ থেকে ৫শ’ কোটি টাকা বিনিয়োগে জ্বালানি তেল সরবরাহের আধুনিক অবকাঠামো গড়ে তোলার প্রস্তাব দিয়েছে একটি বেসরকারী কোম্পানি। এ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারলে বিদেশী এয়ারলাইন্সগুলোকে আর প্রতিবেশী দেশে গিয়ে রি-ফুয়েলিং করতে হবে না। এতে দেশের এ্যাভিয়েশন ফুয়েলের চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পাবে এবং বেড়ে যাবে সরকারের রাজস্ব আয়ও। পৃথিবীর অনেক দেশেই সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী খাত উড়োজাহাজে তেল সরবরাহ কাজে নিয়োজিত রয়েছে। যদি একটি সঠিক নীতিমালার অধীনে বেসরকারী খাতকে অনুমতি দেয়া হয়। তবে এক্ষেত্রে মান ও মূল্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা সরকারের হাতে থাকতে হবে। বর্তমানে এ ব্যবস্থা না থাকায় বাংলাদেশ এ খাতে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সুযোগ হারাচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে একটি মাত্র সরকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি দেশী ও বিদেশী উড়োজাহাজে জ্বালানি তেল সরবরাহ করে আসছে। উন্নত প্রযুক্তির অভাব ও অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতার কারণে এ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সব ধরনের বিদেশী উড়োজাহাজে তাদের চাহিদা মতো জ্বালানি তেল, লুব্রিকেটিং অয়েল ও গ্রিজ সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী খাতে বিনিয়োগের সুযোগ থাকায় একদিকে যেমন প্রতিযোগিতামূলক সরবরাহ নিশ্চিত হয়েছে, অন্যদিকে দেশের চাহিদা অনুযায়ী ‘ক্যাপাসিটি বিল্ড-আপ’ সম্ভব হয়েছে। কিন্তু উড়োজাহাজে জ্বালানি তেল সরবরাহ কার্যক্রমের ক্ষেত্রে বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগের প্রস্তাব গুরুত্ব পাচ্ছে না। বর্তমানে কিছু সংখ্যক এয়ারলাইন্স ছাড়া স্বনামধন্য বড় বড় এয়ারলাইন্সগুলো বাংলাদেশ থেকে জ্বালানি তেলের সরবরাহ নিচ্ছে না। বাংলাদেশের বিমান বন্দরগুলোতে আন্তর্জাতিক মানের আধুনিক তেল সরবরাহের অবকাঠামো, মজুদ ও সঠিক মান সম্পন্ন ব্যবস্থা গড়ে উঠেনি। ফলে বাংলাদেশের বিমান বন্দরগুলো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মেজর অয়েল কোম্পানিগুলো তাদের গ্লোবাল তেল সরবরাহ নেটওয়ার্কের আওতার বাইরে রয়েছে। সাধারণত বড় বড় এয়ারলাইন্সগুলো তার তেল সরবরাহ চুক্তি আন্তর্জাতিকভাবে নির্ধারণ করে থাকে এবং সে চুক্তিগুলোর মাধ্যমে মেজর অয়েল কোম্পানিগুলো তাদের অনুমোদিত বিমানবন্দর থেকে সঠিক মানের জ্বালানি তেল সরবরাহ নিশ্চিত করে। এ ধরনের অনুমোদনের জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন, মজুদ ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন সরবরাহ পদ্ধতি ও ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হয়। এ ব্যবস্থা গড়ে তুললে বাংলাদেশের বিমান বন্দরগুলোও ‘এ্যাভিয়েশন ব্যাঙ্কার সাপ্লাই’ এয়ারপোর্ট হিসেবে স্বীকৃতি পাবে এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে দেশের এ্যাভিয়েশন ফুয়েলের চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকাররের রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পাবে।
বিষয়: বিবিধ
৭৩৫ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন