জাতীয় এই শোকের মাস স্মরণ করিয়ে দেয়, কেন হত্যা করা হয়েছিল শুদ্ধতম জাতীয়তাবাদী শ্রেষ্ঠতম বাঙালিকে?

লিখেছেন লিখেছেন আমি অরন্য ১২ আগস্ট, ২০১৫, ০৩:৩৯:০৫ দুপুর



আজকের এই জাতীয় শোকের মাসে, অনেক কাল পরও সবাইকে প্রশ্ন করতে হবে, কেন হত্যা করা হয়েছিল বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জনককে? যাঁরা ওই হত্যায় নীরব ছিলেন, যাঁরা সাময়িক স্বার্থসিদ্ধির জন্য প্রতিবাদ করেননি, আমার বিশ্বাস, তাঁরাও আজ বুঝতে সক্ষম যে ১৯৭৫-এর নির্মম হত্যাকাণ্ড তাঁদের প্রিয় জন্মভূমিকে, জাতীয় মুক্তিযুদ্ধকে, অসাম্প্রদায়িক জাতীয় চেতনাকে, লাখো শহীদের রক্তকে, সর্বোপরি বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও তার সংস্কৃতিকে কতটা বিপন্ন করেছে! আমার বিশ্বাস, শেখ মুজিবের হত্যা পাকিস্তানকে দ্বিখণ্ডিত করে সহনশীল গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রথম প্রত্যক্ষ প্রতিশোধ। এই হত্যা রাজনৈতিক ইসলামবাদী ও ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদীদের ঐতিহাসিক পরাজয়ের পাল্টা আঘাত। ওরা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিল, নিয়েছিলও। ফলে একাত্তরের ঘাতক-দালাল, উগ্র ইসলামবাদী সন্ত্রাসীরা রাষ্ট্রের ক্ষমতায় এসেছে, জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীতের অশ্রদ্ধা হয়েছে; শহীদের আত্মা বিক্ষত হয়েছে। ইত্যাকার ব্যর্থতার পরও আমার বিশ্বাস, শেখ মুজিব কিংবা বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের মৃত্যু হয়নি। এ নাম দুটিকে হত্যা করা যায়নি; যাবেও না কখনো। আত্মসম্মান ও আত্মরক্ষার তাগিদেই মুক্তিযুদ্ধকে যেমন আঁকড়ে ধরতে হবে, জঙ্গিদের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে হবে এবং আজ হোক, কাল হোক, সসম্মানে সেই আসনেই বসাবেন শেখ মুজিবকে, যে আসন তাঁরই একমাত্র প্রাপ্য।বাংলাদেশের মাটিতে মৌলবাদী বা পাকিস্তানপন্থীদের তৎপরতা যত বাড়বে, যত ওরা শক্তি সঞ্চয় করবে, যত আধুনিক বাংলাদেশকে ওরা গ্রাস করতে চাইবে, তত দ্রুত আশ্রয় খুঁজতে হবে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের কাছে, একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কাছে। কারণ তিনি জাতীয় অস্তিত্ব ও আত্মবিশ্বাসের প্রতীক, বাঙালির জাতীয় অহংকারের প্রতীক।

বিষয়: বিবিধ

৭৪৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File