এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। নিম্ন আয়ের গণ্ডি পেরোনো জাতিকে এ ব্যাপারে আরো আত্মবিশ্বাসী ও আশাবাদী করে তুলছে তাতে সন্দেহ নেই
লিখেছেন লিখেছেন আমি অরন্য ০৬ জুলাই, ২০১৫, ০৩:৩৭:৪০ দুপুর
নিম্ন আয়ের গণ্ডি পেরিয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বব্যাংক তাদের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। কোনো দেশের মাথাপিছু জাতীয় আয় ১ হাজার ৪৫ মার্কিন ডলার বা তার নিচে থাকলে সে দেশ নিম্ন আয়ের দেশ। বাংলাদেশের মাথাপিছু জাতীয় আয় এ সীমা অতিক্রম করার মাধ্যমে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে।স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের পরিচিতি ছিল নিম্ন আয়ের দেশ হিসেবে, সেই গণ্ডি অতিক্রম করা আমাদের জন্য একটি মাইলফলক অর্জন। মাথাপিছু আয়ের এই বৃদ্ধি নিশ্চিতভাবেই প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছানোর আমাদের যে লক্ষ্যমাত্রা তা আর দূর স্বপ্ন নয়।বাংলাদেশে গড় মাথাপিছু আয় এখন ১ হাজার ৩১৪ মার্কিন ডলার। মাথাপিছু আয়ের এই হিসাবে (নমিনাল) বাংলাদেশের অর্থনীতি পৃথিবীতে ৫৮তম। আর ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে (পারচেজিং পাওয়ার প্যারিটি) আমাদের মাথাপিছু আয় ৩ হাজার ১৯০ ডলার। ক্রয় ক্ষমতার ভিত্তিতে আমাদের অর্থনীতি পৃথিবীর ৩৬তম। ৬ বছর ধরে ৬ শতাংশের বেশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখায় বিশ্ব অঙ্গনে প্রশংসিত বাংলাদেশ। ২০২১ সালের লক্ষ্য ঠিক করা হলেও তার দুবছর আগেই মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যেই নিম্ন আয়ের গণ্ডি পেরোনো জাতিকে এ ব্যাপারে আরো আত্মবিশ্বাসী ও আশাবাদী করে তুলছে তাতে সন্দেহ নেই।শুধু বিশ্বব্যাংকের হিসাব কেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার ও গতি দেখেও আমাদের অগ্রগতি স্পষ্ট বোঝা যায়। ২০১০-১১ অর্থবছর থেকে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের গড় প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ শতাংশের ওপরে। মাথাপিছু জাতীয় আয় ২০০০-০১ অর্থবছরে ছিল ৩৭৭ মার্কিন ডলার, যা ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এসে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩১৪ মার্কিন ডলার। তিন লাখ কোটি টাকার বাজেট বাস্তবায়ন এখন আর কোনো স্বপ্ন নয়,সরকার যদি ধারাবাহিকভাবে এ ধরনের বড় বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারে, তবে দেশ নির্ধারিত সময়ের আগেই উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। মাথাপিছু জাতীয় আয় বৃদ্ধি মোট জাতীয় আয় বৃদ্ধিকেই নির্দেশ করে, যা দেশকে আজ নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে শামিল করেছে। তবে আমাদের এই অগ্রগতি নির্ণিত হয়েছে মাথাপিছু গড় আয়ের হিসেবে। আমাদের প্রত্যাশা, অর্থনৈতিক অগ্রগতির ধারাবাহিকতা বজায় থাকুক। আয় বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে জীবনধারণের জন্য মৌলিক প্রয়োজন মেটানোর ক্ষমতা, শিক্ষা, চিকিৎসার সুযোগ, নাগরিক মর্যাদা সর্বক্ষেত্রে কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জিত হোক। জাতীয় স্বার্থে সরকারসহ দেশের সব মহলকেই শান্তি-স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ভূমিকা রাখতে হবে।
বিষয়: বিবিধ
৭৭৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন