ইসলামে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সমর্থন করে কী ??
লিখেছেন লিখেছেন আমি অরন্য ০২ জুলাই, ২০১৫, ০৪:২৪:৪০ বিকাল
ইসলাম শান্তির ধর্ম।ইসলামের অনুসারী হবে শান্তিকামী, সুস্থ-সুন্দর ও সহজ-সরল ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী। মানুষের প্রতি দয়া-মায়া-মমতা ও শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় সিক্ত হওয়ার সুমহান শিক্ষা তো ইসলামেরই। প্রত্যেক ধর্মানুরাগী মানুষের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শন করাই ইসলামের মূল শিক্ষা। পক্ষান্তরে ইসলাম সন্ত্রাস, বোমাবাজি, আত্মঘাতী হামলা, হত্যাকাণ্ড, মারামারি, হানাহানি পছন্দ করে না। ইসলামী জীবনবিধানে এসব বিশৃঙ্খলার কোনো স্থান নেই। ইসলামের অনুশাসন হলো, দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন। অথচ বিশ্বমানবতা জঙ্গিবাদের তাণ্ডবলীলায় ভীতসন্ত্রস্ত ও হতাশাগ্রস্ত। আসুন জেনে নেই! জঙ্গিবাদ ও চরম পন্থা কী? ফারসি ‘জঙ্গ’ শব্দের অর্থ যুদ্ধবিগ্রহ, তুমুল কলহ আর জঙ্গি অর্থ যোদ্ধা বা কুস্তিগীর। তাই ‘জঙ্গ’ বা জঙ্গিদের তৎপরতাকে বলা হয় জঙ্গিবাদ। চরম পন্থা হলো দীনের মধ্যে বাড়াবাড়ি করা, কঠোরতা অবলম্বন করা, সীমা অতিক্রম করা, নিজ মত বা দলকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য গোঁড়া বা কঠোর মনোভাব পোষণ করা।এদের কোনো গোত্রীয়, জাতীয় ও ধর্মীয় পরিচয় নেই।মন্দ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়, তাদের হূদয় ভালোবাসাহীন। এরা মানবতাবর্জিত, মায়া-মমতাহীন, দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য, সভ্য মানবসমাজের শত্রু। পবিত্র কোরআনে ঘোষিত হয়েছে, ‘নরহত্যা বা পৃথিবীতে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি ছাড়া কেউ কাউকে হত্যা করলে সে যেন দুনিয়ার সমগ্র মানবগোষ্ঠীকে হত্যা করল; আর কেউ কারও প্রাণ রক্ষা করলে সে যেন পৃথিবীর সমগ্র মানবগোষ্ঠীকে প্রাণে রক্ষা করল।’ (সূরা: আল-মায়িদা, আয়াত-৩২)। তাই আসুন দেশ, জাতি ও ধর্ম রক্ষায় আমরা জঙ্গিবাদ ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলি।
বিষয়: বিবিধ
৯৭৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন