স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের শত্রু

লিখেছেন লিখেছেন আমি অরন্য ২৮ জুন, ২০১৫, ০৪:১৯:০২ বিকাল

গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচন গণতন্ত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই নির্বাচন নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এ নির্বাচন দিয়ে গণতন্ত্রের সুষ্ঠু ভিত তৈরি হয়েছে। নির্বাচন বাঞ্চালের জন্য বিএনপি-জামায়াত অনেক সন্ত্রাস করেছে। অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তারা নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নাহলে দেশে গণতন্ত্র থাকত না, দেশ মুখ থুবড়ে পড়ত। বিএনপি-জামায়াত মনে করেছিল জনগণ তাদের সঙ্গে আছে। কিন্তু জনগণ তাদের সন্ত্রাসী কমর্কান্ড প্রত্যাখ্যান করেছে। এরমধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ প্রমাণ করেছে তারা এদেশের ধ্বংসাত্মক রাজনীতির স্থান দেবে না। এজন্য সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। বাজেট বাস্তবায়ন, অর্থনীতির অগ্রগতি, সুশাসন, স্থিতিশীলতা, শান্তি ও গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার পূর্ব শর্ত হচ্ছে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। কিন্তু রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার প্রধান অন্তরায় গুলশান ২ নম্বরে অবস্থিত নাইট ক্লাবের মালিক বেগম খালেদা জিয়া। তিনি (খালেদা) স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের শত্রু। তিনি মানবতা, শান্তি, উন্নয়ন, প্রগতি, সভ্যতা ও দেশের জনগণের শত্রু। উনি (খালেদা) হত্যা, সন্ত্রাস, জ্বালাও-পোড়াও, অগ্নিসংযোগ ও নৈরাজ্যের মাস্টার মাইন্ড। পেট্রোলবোমা কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক খালেদা জিয়া। জঙ্গীবাদের প্রজনন কেন্দ্র, আইএসআই’র এজেন্ট এবং আন্তর্জাতিক সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের পৃষ্ঠপোষক। তাকে মুক্ত দুনিয়ায় অবাধ বিচরণ করতে দেয়ার অর্থ দাঁড়ায় লোকালয় বা বসত ঘরে কালনাগিনী বিষাক্ত গোখরা সাপ পোষা বৈ আর কিছুই হতে পারে না। বিষাক্ত কালনাগিনীকে বিশ্বাস করা যায়, তবে খালেদাকে বিশ্বাস করা যায় না।

বিষয়: বিবিধ

৬৮২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File