জনগণের কাছে কমিউনিটি ক্লিনিকের চাহিদা বেড়েই চলেছে। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে সেবা পাচ্ছে প্রায় ৯০ লাখ মানুষ
লিখেছেন লিখেছেন আমি অরন্য ২২ জুন, ২০১৫, ০৩:৩৪:০৪ দুপুর
কমিউনিটি ক্লিনিক বর্তমান সরকারের অগ্রাধিকার ভিত্তিক একটি কার্যক্রম। এটি গ্রামীণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৩৫ কোটির বেশি মানুষ সেবা গ্রহণ করেছে এবং ৭০ লাখের বেশি জরুরী ও জটিল রোগী উচ্চতর পর্যায়ে রেফার করা হয়েছে। স্বাস্থ্য শিক্ষা, স্বাস্থ্যের উন্নয়ন, সাধারণ সমস্যা ও জখমের চিকিৎসা, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, নির্ণয় ও রেফার ইত্যাদি কমিউনিটি ক্লিনিকের উল্লেখযোগ্য সেবা। প্রায় ৯শ’ ক্লিনিকে স্বাভাবিক প্রসব পরিচালিত হচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিক আজ জনগণের নিকট একটি নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান। জনগণের কাছে কমিউনিটি ক্লিনিকের চাহিদা বেড়েই চলেছে। প্রয়োজনীয় মেরামত, ওষুধপত্র ও অন্যান্য দ্রব্যাদি সরবরাহ, জনবল পদায়ন করে পুরাতন এবং নবনির্মিত কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো পর্যায়ক্রমে চালু করা হয়। বর্তমানে সারাদেশে মোট ১২ হাজার ৮১৫টি ক্লিনিক চালু আছে এবং এ সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। কোথাও মা বা শিশু মৃত্যু বা জটিলতা দেখা দেয়নি। আর নিয়োগকৃত সিএইচসিপিদের ১২ সপ্তাহব্যাপী মৌলিক প্রশিক্ষণ (৬ সপ্তাহ তাত্ত্বিক ও ৬ সপ্তাহ ব্যবহারিক) প্রদান করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় ব্যাচে মোট ১৩ হাজার ২২৫ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। কমিউনিটি গ্রুপের মোট দু’লাখের বেশি সদস্যকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। আর কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপের প্রায় সাড়ে ৬ লাখ সদস্যকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। ৪০টি জেলার ১শ’টি উপজেলার ৮০২টি ক্লিনিকের ভবন মেরামতের জন্য ইতোমধ্যে ২ কোটি ৩৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে বিনামূল্যে দেয়া হচ্ছে ৩০ প্রকারের ওষুধ। দেশের মফস্বল এলাকায় পরিচালিত হচ্ছে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্প। এই প্রকল্পের সঙ্গে গ্রামের মানুষের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। আর তাই এই প্রকল্পের চলমান কর্মকান্ড অব্যাহত রাখতে এবং চিকিৎসাসেবার মান বাড়াতে স্থানীয় সরকারের সহযোগিতার দরকার রয়েছে। প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকের সুপারভিশন ও মনিটরিং জোরদার করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
বিষয়: বিবিধ
৭৪৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন