ফিরে দেখি-কাদের ইন্দনে দেশে জঙ্গীবাদের উত্থান ঘটেছিল
লিখেছেন লিখেছেন আমি অরন্য ১৯ জুন, ২০১৫, ০২:৪৬:১৫ দুপুর
দেশে জঙ্গীবাদের উত্থান ঘটিয়েছে কে বা কারা এটা শুধু বাংলাদেশ নয়, আন্তর্জাতিকভাবে সবাই জানে। বিএনপি হচ্ছে জামায়াতের মুদ্রার ওপিঠ-ওপিট। কারণ জামায়াত-শিবির যে প্রক্রিয়ায় সন্ত্রাস ও নাশকতা চালায়, বিএনপিও এখন সেই পথেই কার্যক্রম চালাচ্ছে। খালেদা জিয়ার ব্যর্থতা ও ভুল সিদ্ধান্তের কারণে বিএনপির মধ্যে থেকে তাকে বাদ দেয়ার আওয়াজ উঠছে। এ কারণে খালেদা জিয়া বিরাগভাজন হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলে আলোচনায় থাকতে চান। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের আগে বিএনপি স্বপ্রণোদিত হয়েই বলেছে, তারা ভারতবিরোধী নয়। মূলত খালেদা জিয়া মোদির সঙ্গে সাক্ষাত পাওয়ার জন্যই এ ধরনের কথা বলেছেন। কিন্তু তারা যে আদর্শ লালন করে তার সবই ভারত বিরোধী। ভারত বিরোধিতাকে বিশ্বাস করেই তারা ধর্মকে ব্যবহার করে। নরেন্দ্র মোদি তাঁর বাংলাদেশ সফরে এসে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। তিনি (মোদি) বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গেও সাক্ষাত করেছেন। কিন্তু অন্য কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ নিয়ে আলোচনা না করলেও খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতে এ বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এ থেকেই প্রমাণ হয় খালেদা জিয়ার জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড নিয়ে ভারতও উদ্বিগ্ন। বিএনপি এখন ‘লাইফ সাপোর্টে’ আছে। বিএনপিকে বাঁচাতে দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে অবসর নিয়ে রাজনীতির পাঠশালায় ভর্তি হতে হবে। কেননা খালেদা জিয়ার নেতৃত্ব এখন বিএনপিতেই চ্যালেঞ্জের মুখে। বিএনপির দিন শেষ। মিডিয়াই বিএনপিকে বাঁচিয়ে রেখেছে। খালেদা জিয়া নেতাকর্মীদের যতই উজ্জীবিত করার চেষ্টা করুক না কেন, বিএনপি আর শিরদাঁড়া সোজা করে দাঁড়াতে পারবে না। ক্ষমতায় থাকাকালীন বিএনপি ছিল জঙ্গীদের সবচেয়ে বড় সহায়ক শক্তি। তাদের আমালে বাংলা ভাইয়ের আবির্ভাব, সিরিজ বোমা হামলা এবং ২১ আগস্ট বোমা হামলা হয়েছিল। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় খালেদা জিয়া নরেন্দ্র মোদির এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি।
বিষয়: বিবিধ
৭৭০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন