অর্জনকে অর্জন হিসাবে দেখা উচিত। খাটো করে দেখার কোনই সুযোগ নেই
লিখেছেন লিখেছেন আমি অরন্য ২৪ মে, ২০১৫, ০৬:২৩:২০ সন্ধ্যা
ছিটমহলবাসী এখন আনন্দে আত্মহারা। ৬৫ বছর সীমাহীন দুর্ভোগের অবসানান্তে তারা আজ গর্বিত। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার যুগান্তকারী সাফল্যের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী যখন আনন্দে আপ্লুত হয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে ফোনালাপে তার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন, ঠিক সে মুহূর্তে টেলিভিশনে ২০ দলীয় জোট নেত্রী বললেন- এটা এমন কি? এটা কী আমাদের প্রাপ্য? তিনি মোদী সরকারকে ধন্যবাদ জানালেন। কিন্তু তিনি শেখ হাসিনার সরকারকে ধন্যবাদ জানালেন না। তিনি আরো বলেছেন যে আওয়ামী লীগ কংগ্রেস সরকারের দালালি করেছে। কংগ্রেস আমাদেরকে কিছুই দেয়নি। কংগ্রেস আমাদের কাছ থেকে শুধু নিয়েছে। এখানে আমার একটি প্রশ্ন- খালেদা জিয়া বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানালেন না কেন? বিদ্বেষ? এত বিদ্বেষ কেন? একটা যুগান্তকারী অর্জনের জন্য কি বাংলাদেশ সরকার ধন্যবাদ পাবার যোগ্য নন? শেখ হাসিনার সরকার বার্মার সঙ্গে সমুদ্রসীমা জয় করলেন। তার কিছুদিন পর ভারতের সঙ্গেও বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা জয় করলেন। সে বিশাল অর্জনের সময়ও বিরোধী দলীয় নেত্রী বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানাননি। সমুদ্রের যে বিশাল আয়তন বাংলাদেশ অর্জন করেছে তা আমাদের এক গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। তবে তাকে খাটো করে দেখার কোনই সুযোগ নেই। বরং অর্জনকে অর্জন হিসাবে দেখা উচিত। ওখানে রাজনীতি খোঁজা কারো ঠিক নয়। এ অর্জনে যদি কারো আঁতে ঘা লাগে তা সত্যিই দুঃখজনক। আজ ছিটমহলবাসী কেউ বাংলাদেশের নাগরিক, আর কেউ ভারতের নাগরিক হচ্ছেন। ছিটমহলবাসী এখন মানুষের মত জীবন-যাপনের সুযোগ পেলেন। এখন তারা বলতে পারবেন আমার একটি দেশ আছে, আমার একটি পতাকা আছে, আমার একটি জাতীয় সংগীত আছে। সারা পৃথিবীকে তারা বলতে পারবেন- আমি বাংলাদেশি, আবার কেউ বলবেন আমি ভারতীয়। আমি ভারতের নাগরিক। ছিটমহলবাসীদের এই অবস্থানটা যদি বঙ্গবন্ধু দেখে যেতে পারতেন তাহলে তিনি সবচেয়ে বেশি খুশি হতেন। যাহোক, আমরা ১৬ কোটি বাঙালি আজ অত্যন্ত আনন্দিত। আমরা ছিটমহলবাসীদের স্বাগত জানাই।
বিষয়: বিবিধ
৭৩৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন