যারা পেট্রোলবোমা দিয়ে মানুষ পুরিয়ে মারে তারা নাকি গণতান্ত্রিক রাজনীতি করেন এবং নির্বাচনে ভোট চান?

লিখেছেন লিখেছেন আমি অরন্য ১৬ এপ্রিল, ২০১৫, ০৩:৪৪:৩৫ দুপুর

১৫ সালের আন্দোলনে মানুষ মরেছে অনেক। এই মানুষগুলো রাজনৈতিক মানুষ ছিল না। এরা দিনে এনে দিনে খায়। কাজে না গেলে পরিবারসহ উপোস করতে হয়। কাজের খোঁজে ওরা বেরিয়ে ছিল আর তারপর না ফেরার দেশে তাদের পাঠানো হয়েছে। ক্ষমতার যূপকাষ্ঠে তাদের বলি দেয়া হয়েছে। পুড়ে গিয়ে অত্যন্ত বেদনাদায়ক মৃত্যু তাদের বরণ করতে হয়েছে। যারা তাদের বলি দিয়েছেন তারা নাকি গণতান্ত্রিক রাজনীতি করেন? তারা নির্বাচনের সময় ভোট চান। ভোট দেয় ঐ সব মানুষ যাদের অনেকে পুড়ে মরেছে। অনেক টাকার উৎপাদন নষ্ট হয়েছে। উৎপাদিত দ্রব্য যানবাহনের অভাবে পচে গেছে। পড়াশোনার ক্ষতি হয়েছে। অফিস-আদালতের কাজ চলেনি। এসব ক্ষতির মাসুল বহুদিন ধরে জাতিকে দিতে হবে। যানবাহন ভাঙ্গা আর পোড়ানো হয়েছে। রেললাইন উপড়ে ফেলা হয়েছে। হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এই বিপুল ক্ষতি কাদের হয়েছে? ক্ষতি হয়েছে জাতির। এ কথা অনেকে বুঝেও বুঝেন না। কারা চালালো এই তাণ্ডব? এই তাণ্ডব সৃষ্টি করে তাণ্ডব সৃষ্টিকারীরা কী পেয়েছেন? এ কথা তারা ভেবেছেন কিনা জানি না। বাড়ি ছেড়ে কার্যালয়ে এসে ‘অবরোধের ডাক দিলেন। কিন্তু অবরোধকারীরা কোথায়? দলের কর্মীরা নেই, নেতারাও নেই। এর বদলে শুরু হলো অগ্নিকান্ড। পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ। ৩ মাসে দের শ’ মানুষ পুড়ে মরলো। এর মধ্যে ছিল শিশু ও নারী। বার্ন ইউনিটের ভয়াবহ দৃশ্য যারা দেখেছেন তাঁরা কি জীবনে এই নৃশংসতা ভুলতে পারবেন? বাড়ী ফেরার আগে আদালত ঘুরে গেলেন। তার অনুসারীরা কোথায় জানি না। তারা উনার বাড়ি ফেরাকে কিভাবে নিলেন জানি না। দের শতাধিক মানুষের মৃত্যুর জন্য কেউ না কেউ অবশ্যই দায়ী। এই মৃত্যু আর ধ্বংস রাজনৈতিক কর্মকান্ড নয়। এটা নির্জলা অপরাধ। এতবড় অপরাধে যারা অপরাধী তারা যদি শাস্তি না পায়, তবে তারা উৎসাহিত হবে নিশ্চয়ই আবার এসব অপরাধ সংঘটিত করতে। এসব বিশাল অপরাধ প্রতিরোধ না করলে সমাজ বিশৃঙ্খল হয়ে পড়বে।

বিষয়: বিবিধ

৭৪০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File