বহুল আলোচিত দক্ষিণবঙ্গ তথা বাংলাদেশের মানুষের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের পদ্মাসেতু স্বপ্নের বাধ ভেঙ্গে ২০১৮ সালের মধ্যেই খুলে দেওয়ার জন্য সকল কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সরকার (পর্ব-২)

লিখেছেন লিখেছেন আমি অরন্য ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৫:৩১:১৩ বিকাল





বর্তমান সরকারের কঠোর পদক্ষেপ এবং সুদক্ষ নেতৃত্বের ফলে এগিয়ে চলছে পদ্মা সেতুর কাজ। প্রথম ধাপে মাটি পরীক্ষা বা সয়েল টেস্টের কাজ অনেক দূর এগিয়ে চলছে। এরপর দ্বিতীয় ধাপে মূলত ১২টি ট্রায়াল পাইলিং বা পরীক্ষামূলক মূল ভিত্তির কাজ করা হবে। এ কাজটির জন্যই মাটি পরীক্ষা করা হয়েছে।। একই সঙ্গে চ্যানেলও লাগবে। যেসব স্থানে ট্রায়াল পাইলিং বা মূল ভিত্তি হবে সেগুলোয় পানি থাকতে হবে। এজন্য ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে চ্যানেল করা হচ্ছে। দুটি ট্রায়াল পাইলের মাটি পরীক্ষার কাজ এরই মধ্যে শেষ। ১২টি ট্রায়াল পাইলিং হ্যামারও তৈরি করা হচ্ছে সিঙ্গাপুরে। মাটি পরীক্ষা ও চ্যানেল তৈরির কাজ শেষ হওয়ার আগেই এসব হ্যামার পদ্মাপাড়ে পৌঁছে যাবে। ট্রায়াল পাইলিং বা পরীক্ষামূলক মূল ভিত্তির কাজ শেষ হওয়ার পর পরই শুরু হবে পদ্মা সেতুর মূল পাইলিং বা মূল ভিত্তির কাজ। স্টিলের তৈরি ১০ ফুট ব্যাসার্ধের এই পাইলিং করা হবে হ্যামারের সাহায্যে। তিন হাজার টন ওজনের এই হ্যামার তৈরি হচ্ছে জার্মানিতে। তৈরিতে সময় লাগে ১০ মাস। শিগ্রই এই হ্যামার আসবে পদ্মাপাড়ে। তার পরই শুরু হবে মূল ভিত্তি নির্মাণ। অর্থাৎ সাব-স্ট্রাকচার (পানির নিচের স্ট্রাকচার) তৈরির কাজ। নির্মাণ হবে ৪১টি কলাম। থাকবে ২৪০টি স্টিল পাইল। আর নদীর দুই পাড় মাওয়া ও জাজিরা অংশে থাকবে ২৪টি কংক্রিটের পাইল বা মূল ভিত্তি, যার ওপর দাঁড়িয়ে থাকবে প্রায় সাড়ে ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুটি। এরপর তৃতীয় ধাপে শুরু হবে সেতুর ওপরের মূল কাঠামো তৈরির কাজ। একে বলা হয় সুপার স্ট্রাকচার। তৃতীয় ধাপের এই কাজের জন্য সব যন্ত্রাংশ তৈরি হচ্ছে চীনে। স্টিলের এই যন্ত্রাংশ দিয়ে পদ্মা সেতু কনস্ট্রাকশন এলাকায় তৈরি করা হবে জালি। নাট-বল্টু লাগিয়ে এখানে ফিটিং করা হবে। তারপর বসানো হবে সেতুর ওপরের অংশে। বর্তমান সরকার ও জনগনের এটাই প্রত্যাশা নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরেই পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া যাবে।

বিষয়: বিবিধ

৯০৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File