আসছে হাইস্পীড ট্রেন! রেল পরিবহনে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের উদ্যোগ বর্তমান সরকারের। ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ডিজেল ও বৈদ্যুতিক উভয় পদ্ধতিতে চলা ফোরডি গতি হবে ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার
লিখেছেন লিখেছেন আমি অরন্য ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৩:২৩:৩৮ দুপুর
দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে চায় বাংলাদেশ রেলওয়ে। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রেল যোগাযোগ আরও আধুনিক করতে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে চালু করতে চায় হাইস্পীড ট্রেন বা দ্রুতগতিসম্পন্ন ট্রেন। বিশ্বের উন্নত দেশের ন্যায় দেশের দ্বিতীয় রাজধানী বা বাণিজ্যিক রাজধানী বলে খ্যাত অতি গুরুত্বপূর্ণ এ রুটে ট্রেনটি চলবে ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার গতিতে। ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের মোট ২৩২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সময় লাগবে ১ ঘণ্টার চেয়ে কিছু বেশি। দেশে প্রথমবারের মতো চালু হওয়া এ ট্রেনের রুটটি চালু করতে নির্মাণ করা হবে আলাদা এলিভেটেড (উড়াল) বৈদ্যুতিক রেলপথ। এতে চলাচল করবে হাইস্পীড (দ্রুতগতি) ট্রেন। ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ, দাউদকান্দি, মোহনপুর, ময়নামতি, লাকসাম, ফেনী, চিনকি আস্তানা, সীতাকুন্ড হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত এ রেলপথ নির্মাণ করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রেলকে আধুনিক, যুগোপযোগী ও উন্নত সেবামূলক বাহনে পরিণত করতে এ বিশেষ উদ্যোগ বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
সাধারণ রেললাইনের চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা বিশেষ পদ্ধতির এ রেললাইন তৈরিতে ব্যয় হবে প্রায় ৩৮৭ কোটি ডলার বা ৩১ হাজার কোটি টাকা। নতুন পদ্ধতির এ ট্রেনটি চালু করা গেলে বাংলাদেশের পরিবহন ব্যবস্থায় এক ব্যতিক্রমী উদাহরণ সৃষ্টি করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এটি চালু হলে সময় সাশ্রয় তো হবেই পাশাপাশি ঢাকা ও চট্টগ্রামের দূরত্ব কমবে প্রায় ৮০ কিলোমিটার। স্বপ্নের এ প্রকল্প বাস্তবায়নে এরই মধ্যে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে চায়না রেলওয়ে এরিউয়ান ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি (সিআরইইজিসি)। আধুনিক পদ্ধতির দ্রুতগতিসম্পন্ন এসব ট্রেন চালু করা গেলে বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন বিপ্লব সাধিত হবে ও অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার হবে। পাশাপাশি রেলের বর্তমান চেহারা পাল্টে যাবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের জন্য আধুনিক প্রযুক্তির এসব ট্রেন চালু করা জরুরী।
বিষয়: বিবিধ
৫৯৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন