কৃষকদের ন্যায্যমূল্য প্রদানে সমবায় বাজার স্থাপন করছে সরকার। তাই সমবায় ভিত্তিতে কৃষকের পণ্য বাজারজাত করার উদ্যেগ নিয়েছে সরকার (পর্ব -২)
লিখেছেন লিখেছেন আমি অরন্য ১০ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৪:৫৮:৩০ বিকাল
সরকার ইতিমধ্যে সারা দেশে ৩৭১টি সমবায় বাজার স্থাপন করা হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে এমন আরো বাজার স্থাপনে নেওয়া হচ্ছে শত কোটি টাকার প্রকল্প। এতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য বিমোচনের পাশাপাশি গ্রামীণ কৃষি অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। পণ্য বিক্রির মাধ্যমে ভোক্তা ও উৎপাদনকারীর স্বার্থ রক্ষা এবং মুনাফালোভী চক্রের তৎপরতা বন্ধে সমবায়ভিত্তিক বাজারের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সমবায় বাজার নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য সরবরাহ করে পণ্যমূল্য নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের সামর্থ্যের মধ্যে রাখতে ভূমিকা রাখবে। সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি সঠিক নেতৃত্বে পরিচালিত দক্ষ সমবায় সমিতিগুলোকে সর্বাত্মক সহায়তা দেবে সরকার। সমবায় বাজারের পণ্য চলমান বাজার থেকে কম মূল্যে পাওয়া যাবে এবং তা হবে ফরমালিন বা ভেজালমুক্ত। এসব সমিতির মাধ্যমে বিভিন্ন পেশাজীবী স্বপ্রণোদিত হয়ে সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে। একই প্রক্রিয়ার সারা বাংলাদেশের গ্রামগঞ্জে-শহরে পরিচালিত হচ্ছে সমবায়ের কার্যক্রম। বর্তমানে বাংলাদেশে সমবায়ে বিনিয়োগের পরিমাণ এক হাজার ২০০ কোটি টাকারও বেশি। এ জন্য সরকার চলমান সমবায় আইনের পরিবর্তন করেছে ২০১৩ সালে। সমিতির সদস্যরা যাতে তাদের সম্পদের সুফল ভোগ করতে পারে সেটা আইনে নিশ্চিত করা হয়েছে। বিশ্বের যাবতীয় কৃষিপণ্যের অর্ধেক সমবায়ের মাধ্যমে বাজারজাত হয়। গ্রামীণ জনপদে কৃষিজীবী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সংগঠিত করে বৃহৎ সমবায়ী উৎপাদনকারীদের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে পারলে বাজারজাতকরণ প্রক্রিয়ায় যেকোনো সিন্ডিকেটকে মোকাবিলা করা সহজ হবে। বাংলাদেশে সমবায় বাজার কার্যকর করতে পারলে শহরের মানুষ যেমন ভেজালমুক্ত পণ্য পাবে, তেমনি কৃষকও পাবে ন্যায্য মুনাফা। এতে করে কৃষিতে বিনিয়োগও বাড়বে। এবং দেশ হবে কৃষিতে সমৃদ্ধিশীল।
বিষয়: বিবিধ
৮৪১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন