বিশ্বের প্রায় পঞ্চাশটি দেশে সবজি রপ্তানি করছে সরকার, তা থেকে বছরে আয় হচ্ছে প্রায় ৬৫০ কোটি টাকা। এ আয় বাড়ানোর উদ্যোগ সরকারের

লিখেছেন লিখেছেন আমি অরন্য ০৯ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৬:০০:৩২ সন্ধ্যা

বিশ্বের প্রায় পঞ্চাশটি দেশে বাংলাদেশের ৫০ জাতের সবজি ও ফলমুল রপ্তানি করছে সরকার। আর এই রপ্তানি থেকে বছরে আয় হচ্ছে ৬৫০ কোটি টাকা। তবে এ খাত থেকে রপ্তানি আয় বাড়াতে সরকার বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করতে যাচ্ছে। সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে বছরে সবজি রপ্তানি থেকে আয় হবে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া ইউরোপের ২৭টি দেশে শতভাগ স্যালমোনিলা মুক্ত পান ও ব্যাকটেরিয়ামুক্ত শাকসবজি রপ্তানির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বিদেশে বাংলাদেশের শাকসবজির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কিন্তু চাহিদার মাত্র ২ থেকে ৫ শতাংশ রপ্তানি করতে পারছেন উদ্যোক্তারা। এ কারণে রপ্তানি বৃদ্ধিতে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া, রোগবালাই ও পোকামাকড় দূর করে সবজির উৎপাদন বৃদ্ধি, উপযুক্ত ল্যাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে গ্রহণযোগ্য সার্টিফিকেটসহ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে রপ্তানির পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ২০১১-১২ অর্থবছরে ৬৫০ কোটি ৪১ লাখ ২০ হাজার টাকার সবজি রপ্তানি হয়েছে। রপ্তানির পরিমাণ প্রতিবছর বাড়ছে। যেসব দেশে বাংলা ভাষাভাষীরা বসবাস করছে সেসব দেশে বাংলাদেশের সবজি রপ্তানির চাহিদা বেশি। প্রবৃদ্ধির এ হার বজায় থাকলে আগামীতে সবজি রপ্তানি খাতে আয় ১ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। দেশের রপ্তানিকৃত সবজির প্রায় ৬০ শতাংশই মধ্যপ্রাচ্যে এবং বাকি ৪০ শতাংশ ইউরোপসহ অন্যান্য দেশে যায়। এসব সবজির মধ্যে করলা, কাকরোল, টমেটো, পেঁপে, বেগুন, ঢেঁড়স, লাউ, কচুরলতি, কচুর মুখী, মিষ্টি কুমড়া, বরবটি, কাঁঠাল, শসা, চিচিঙ্গা, লালশাক, পুঁইশাক, ফুলকপি, বাঁধাকপি, কাঁচামরিচ, পটল, ঝিঙা উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও প্রক্রিয়াজাত সবজির মধ্যে রয়েছে-ডাটা, কচুর লতি, শিমের বিচি, কাঁচকলা, কলার ফুল, কচুশাক ও কাঁঠাল বিচি রপ্তানি হচ্ছে। রপ্তানির এ বিশাল সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারলে দেশে প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবে। বিশেষ করে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বাজারে বাংলাদেশের শাকসবজি ও ফলমুলের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। রপ্তানি বহুমুখীকরণে শাকসবজি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।



বিষয়: বিবিধ

৯৯০ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

292806
০৯ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:১৩
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : ঘুষ দুনীতি, হত্যা, লুন্ঠন, ঘূম, খুন আর মামলাবাজিতে ইতিহাসের সব রেকর্ড ভংগকারী এ সরকারের হয়ে সবজি আর ভাংগী নিয়ে আপনার লিখা সত্যিই হাস্যকর। যে সরকার এদেশের সুর্য সন্তান আর্মিকে হত্যা করতে পারে, যে সরকার, ২৮ শে অক্টোবার ফিল্মি ষ্টাইলে মানুষ হত্যা করে লগী বৈঠার ডাক দিতে পারে, সে সরকার প্রহসনের ট্রাইবুনাল বানিয়ে বিচার ব্যবস্থাকে নিজের মত করে নিতে পারে, খুন করতে পারে দেশের শ্রেস্ঠ আলেমদের, সে সরকারের পক্ষ হয়ে এসব গান দালালী বৈ আর কি হতে পারে?

এ কেমন রাজ্য রাজার
---------------------
এ কেমন রাজ্য, প্রজার নেই চোখে ঘূম
নিত্য যেখায় প্রতিবাদী যায় হয়ে গুম।

এ কেমন অন্ধ রাজার ভ্রষ্ট নীতি
রাজ্য জুড়ে প্রজার চোখে রিমান্ড ভীতি।

এ কেমন সভ্য রাজার কোন সে কানুন
কার ইশারায় নিত্য রাজ্য মানুষ হয় খুন।

এ কেমন মন্ত্রী রাজার নেই কোন লাজ,
রাজ্য আজি ঘুষ বিহীন হয়না কোন কাজ।

এ কেমন বিচারালয় নেইকো বিচার,
ফাসীদন্ডেও হয়না ফাসী হুকুম রাজার।

বুকফাটা মা'র আর্তনাদে বাতাস ভারী
উলঙ্গ সভ্যতায় কেবল পন্য নারী।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File