ডোনাল্ড ট্রাম্পের পারিবারিক জীবন

লিখেছেন লিখেছেন রাজ্পুত্র ০৯ নভেম্বর, ২০১৬, ১০:১০:৩৪ রাত



ট্রাম্পের পারিবারিক জীবন নিয়ে অনেক কৌতুক আছে। এ কৌতুক সৃষ্টির জন্য তিনি নিজেই দায়ী। কারণ দাম্পত্যজীবন নিয়ে তিনি বিভিন্ন সময় হাস্যরস করেছেন, যা গণমাধ্যমে আলোচিত হয়েছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর তার পারিবারিক জীবন নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হচ্ছে। তবে এসব খবরের অধিকাংশই ‘ওপেন সিক্রেট’। তিনবার বিয়ে করেছেন ট্রাম্প। স্ত্রীদের প্রত্যেকেই কখনো না কখনো মডেল বা অভিনেত্রী ছিলেন। এ থেকে অন্তত এ কথা বুঝে নিতে কষ্ট হয় না যে, সুন্দরী নারীদের প্রতি ট্রাম্পের আকর্ষণ সব সময়ই ছিল।

ট্রাম্পের প্রথম স্ত্রী ইভানা জেলনিকোভা। তিনি চেকোশ্লাভিয়ার নাগরিক। ছিলেন চেক অ্যাথলেট এবং জনপ্রিয় মডেল। ফ্যাশন মডেল হিসেবে নিউ ইয়র্কে ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয় তার। তিন স্ত্রীর মধ্যে ইভানাই ছিলেন ট্রাম্পের সবচেয়ে প্রিয়। এ কথা গণমাধ্যমে স্বীকারও করেছেন তিনি। ট্রাম্প ও ইভানার সংসারে আসে তিন সন্তান। তারা হলেন ট্রাম্প জুনিয়র, ইভাঙ্কা, এরিক। ১৯৯০ সালে ট্রাম্প ও ইভানার সংসার ভেঙে যায়।

তাদের বিচ্ছেদ নিয়ে পশ্চিমা গণমাধ্যমে রমরমা খবর প্রকাশিত হয়। ইভানা সে সময় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন, ট্রাম্প তাকে যৌন নির্যাতন করেছেন। তা ছাড়া সুনাম ক্ষুণ্নেরও অভিযোগ আনেন তিনি। যদিও ইভানা এসব অভিযোগ পরে অস্বীকার করে বলেছিলেন, গণমাধ্যমের খবর ভুয়া ও ভিত্তিহীন। তবে ট্রাম্পের জীবনে দারুণ প্রভাব ছিল বড় বউ ইভানা জেলনিকোভার। ট্রাম্পের প্রতিষ্ঠান ‘ট্রাম্প অরগানাইজেশন’-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে ট্রাম্পকে প্রভাবিত করতেন।

ট্রাম্পের অর্জিত সম্পদের বড় একটি অংশ ব্যয় হয়েছে তার প্রথম দুই স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটাতে। নিউ ইয়র্কে অর্থশালী হিসেবে নামডাক ছিল ট্রাম্পের। বিয়েতে যেমন খরচ করেছেন, সম্পর্ক ভাঙতেও তাকে তেমনি অর্থ গুনতে হয়েছে। জেলনিকোভার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ১৯৯৩ সালে আবার বিয়ে করেন ট্রাম্প। আগের বারের মতো দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করেন আরেক জনপ্রিয় মডেলকে। মডেল মার্লা ম্যাপলসের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন ট্রাম্প। তাদের ঘর আলোকিত করে আসে কন্যাসন্তান টিফানি ট্রাম্প। কিন্তু ছয় বছর যেতে না যেতেই অন্য নারীর প্রেমে মজেন ট্রাম্প। এর মধ্যে ছয় বছরের মাথায় ম্যাপলসের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় ট্রাম্পের। তবে এ জন্য দ্বিতীয় স্ত্রীকে দিতে ২০ লাখ ডলার।

প্রথম স্ত্রীকে প্রিয় হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও তৃতীয় স্ত্রী মেলানিয়া নাউসের সঙ্গে দারুণ সময় পার করছেন ট্রাম্প। সাড়া জাগানো মডেল মেলানিয়া নাউস। বেশ কিছু দিন প্রেম করার পর ২০১৫ সালে বিয়ে হয় তাদের। ট্রাম্প ও মেলানিয়ার বয়সের ব্যবধান ২০ বছর। তবু তাদের সংসার চলছে বহাল তবিয়তে। তাদের সংসারে এক সন্তান। নাম ব্যারন ট্রাম্প উইলিয়াম।

মজার ব্যাপার হলো ট্রাম্প ও মেলানিয়ার বিয়েতে অতিথি ছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ও তার স্ত্রী ফার্স্ট লেডি হিলারি ক্লিনটন। ট্রাম্পের মতো তার সন্তানরাও ব্যবসা করে যাচ্ছেন। ট্রাম্প জুনিয়র, ইভাঙ্কা ও এরিক ট্রাম্প অরগানাইজেশনে সহ-সভাপতি হিসেবে কাজ করেন। তবে মূল দায়িত্ব নিজের কাঁধেই রেখেছেন ট্রাম্প।

ধনকুবের ট্রাম্প এখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। আগামী চার বছরের জন্য ট্রাম্পের পরিবার হবে প্রেসিডেন্ট পরিবার। হোয়াইট হাউসের বাসিন্দা হবেন ট্রাম্পের ছেলেমেয়েরা। ফার্স্ট লেডি হচ্ছেন মেলানিয়া নাউস। কারণ, তিনিই এখন ট্রাম্পের সঙ্গে আছেন।

বিষয়: বিবিধ

১৪৬৮ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

379607
১০ নভেম্বর ২০১৬ রাত ১২:১৩
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ইতিহাসে হোয়াইট হাউস প্রথম তালাক দেখার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছেনা!
০৩ ডিসেম্বর ২০১৬ রাত ০৮:৫২
314817
রাজ্পুত্র লিখেছেন : আরো যে কত কিছূ দেখতে হবে ভাই?
379632
১১ নভেম্বর ২০১৬ সকাল ১১:১৫
হতভাগা লিখেছেন : পুরুষকে আকর্ষণ করে নারীর দেহ ও সৌন্দর্য্য আর নারীকে আকর্ষণ করে পুরুষের টাকা । আর ট্রাম্প তো হ্যান্ডসাও ছিল ।






একাধিক বিবাহ ও নারী কেলেংকারির ঘটনার পরও নারীরা ট্রাম্পকে অপছন্দ করে নি ।
০৩ ডিসেম্বর ২০১৬ রাত ০৮:৫০
314816
রাজ্পুত্র লিখেছেন : আপনার কথার সত্যতা আছে। আর এটাই মনেহয় আমেরিকার সংস্কৃতি।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File