আধুনিক বিশ্বের মোকাবেলায় ধর্মান্তরিত মুসলিমরা ইসলামের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন
লিখেছেন লিখেছেন রাজ্পুত্র ০৪ জুন, ২০১৬, ১০:৫৩:৪০ রাত
সমগ্র পৃথিবী আজ এক রহস্যময় ইঙ্গ-ইসরাঈলি-মার্কিন ইউরো-রাশিয়ান কালো শক্তির অক্টোপাস-বন্ধনে আবদ্ধ। মুসলিম বিশ্বও এর ব্যতিক্রম নয়। এক সময় ইউরোপীয় সভ্যতা রােমের চার্চ বা গির্জা দ্বারা শাসিত ছিল, অর্থাৎ ধর্ম ও রাজনীতি একই সাথে পরিচালিত হতো। কিন্তু ডারউইনবাদ, ফরাসী বিপ্লব এবং নানা পরিবর্তনের মাধ্যমে গির্জার সেই কর্তৃত্ব শেষ হয়ে গেল, এবং আবির্ভূত হলো নতুন এক মতবাদ:
ধর্ম, রাজনীতি, অর্থনীতি এসব পরস্পর আলাদা, এদের মাঝে কোন সম্পর্ক নেই।
কট্টর খ্রিস্টান ইউরোপের মাঝে সংগঠিত আজব বিপ্লবের পরিণতিতে ধর্ম ও সমাজ এক ঈশ্বরহীন তথা ধর্মনিরপেক্ষ সভ্যতাতে রূপান্তরিত হলো। এই সভ্যতা আবির্ভূত হলো সীমাহীন বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, সৃজনশীলতা এবং অজেয় ক্ষমতা নিয়ে। এরা রাষ্ট্র, সামাজিক মূল্যবোধ, নীতি-নৈতিকতা, দর্শন, চিন্তা-চেতনা এমনকি ধর্মকেও তাদের নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিল এবং এসবকে নিজেদের পছন্দ মতো সাজিয়ে তুললো, আর
এটা আজও অব্যাহত রয়েছে।
অন্যদিকে মুসলিমরা নিজেদের আরাম-আয়েশ, অলসতার কারণে জ্ঞানবিজ্ঞান, সৃজনশীল কর্মকান্ডে এমনিতেই পিছিয়ে ছিল। তদুপরি ঔপনিবেশিক কালো শক্তির ষড়যন্ত্রে এসব একেবারেই বন্ধ হয়ে গেল। মুসলিমরা আরো অজ্ঞতার অন্ধকারে ডুবে গেল। অতঃপর ইংরেজরা এদেরকে উদ্ধারের নামে নকল দ্বিমুখী শিক্ষার প্রচলন করলো। তাতে অবশ্য অক্ষর জ্ঞান হলো ঠিকই কিন্তু একদিকে সৃষ্টি হলো নিজ ঐতিহ্য
ও আদর্শ বিস্মৃত, নিজ কৃষ্টি ও ধর্ম সম্পর্কে অজ্ঞ বা বৈরী ভাবাপন্ন ইংরেজি শিক্ষিত সংখ্যাগরিষ্টের দল। অপরদিকে সৃষ্টি হলো হত দরিদ্র দুনিয়া সম্পর্কে বেখবর, পরকালের
নকল স্বপ্নে বিভোর মাদ্রাসা শিক্ষিত সংখ্যালঘুর দল। একদল মিস্টার আর একদল মােল্লা। কােন দলের কাছেই প্রকৃত জ্ঞান নেই এবং কোন দলই স্বাধীনভাবে নিজেদেরকে গড়তে শিখছে না।
পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত এই মিস্টার আকার আকৃতিতে মুসলিম ছদ্মবেশ থাকলেও তার মনমানসিকতা পুরোপুরি ইউরোপীয়। এরা ইউরোপীয় স্বপ্ন দেখে, ইউরোপীয়দের জীবন যাপন করে। তাদের এই ইউরোপীয় জীবন যাত্রা আজ চরমে
পৌঁছেছে। আর সেই দল থেকে বেরিয়ে আসছে সালমান রুশদি, ফাতিমা মেরনিসি, তসলিমা (আত্মস্বীকৃত বেশ্যা) নাসরীন, হুমায়ুন আজাদ সহ আরো অনেক আত্মস্বীকৃত নাস্তিকের দল। এরাই হচ্ছে আজকের যুগের প্রগতি ও আলোকপ্রাপ্তির ঝান্ডাবাহী।
অপরদিকে ইসলামের খুঁটিনাটি বিষয়ে তর্ক-বাহাস, মসজিদের ইমামতি, মাদ্রাসায় তালিম, ইত্যাদি কাজে ব্যস্ত রইল মােল্লার দল। শতকরা নব্বই ভাগের বেশি জনতা গুরুত্বপূর্ণ সকল শিক্ষার স্পর্শ থেকে বঞ্চিত রইল। ফলস্বরূপ, বাপ-দাদাদের কাছ
থেকে শােনা রূপকাহিনীর আড়ালে এক প্রাণহীন ইসলামের খােলস অবহেলায় পড়ে রইল।
উপরন্তু আরব বিশ্বে তথাকথিত তৌহিদের নামে এমন এক ইসলাম প্রচার করা হলো, যেটা ইসলামকে আরো প্রাণহীন বানিয়ে ছাড়লো। র্শিক উচ্ছেদের নামে সাহাবা কিরামদের কবরকে ধ্বংস করা হলো ... সবচেয়ে বড় যে বিশ্বাসঘাতকতা করা হলো তা হচ্ছে, মিথ্যা র্শিকের ধুয়া তুলে ব্রিটিশদের মদদে উসমানি ইসলামি খিলাফতকে বিলুপ্ত করা হলো। এবং মহান নবী (সা)-এর প্রতিষ্ঠিত দারুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা হলো। এই কাজ করতে গিয়ে বহু মুসলিমদেরকে নির্বিচারে হত্যা
করা হলো, বহু মুসলিম মা বােনদের ইজ্জত লুটে নেওয়া হলো আর এটাই নাকি তৌহিদ।
এই সমস্ত নানাবিধ ষড়যন্ত্রের কারণে, কাফিরদের মিডিয়া, প্রচারণা ও তথ্য সন্ত্রাসের আন্তর্জাতিক আয়োজনের মুখে বর্তমানে মুসলিমেদের অবস্থা পুরোপুরি সিংহের মােকাবেলায় ছাগ শিশুর মতো। তা মােকাবেলা করার জন্যে মুসলিম জনগোষ্ঠি কর্তৃক রচিত পুস্তকের কােন উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি নেই বললেই চলে। কাফিরদের রণসজ্জার মুখোমুখি কােনরকমে দাঁড়াতে পারে, এরূপ বইপুস্তকের বেশির ভাগই নব্য মুসলিমদের লেখা। [এর উল্লেখযোগ্য ব্যতিক্রম হলো, মাওলানা ড. মুহাম্মাদ ফজলুর রহমান আনসারী (রঃ), শায়খ ইমরান হােসেন, হারুন ইয়াহিয়া Harun Yahya প্রমুখ]।
Hamza Yousuf, Gai Eaton, Frithjof Schuon, Murad Hofmann,T.B.Irving, Maryam Jameelah, Jeffery Lang, Michael Wolfe, Martin Lings,
Gary Miller, Abdul Hakim Murad, Ahmad Thomson, Leopold Weiss, Abdullah Hakim Quick এরা সবাই ধর্মান্তরিত মুসলিম!
অবাক করা হলেও সত্য, পশ্চিমা কাফিরতন্ত্রের আগ্রাসী তথ্য সন্ত্রাস এবং কলম যুদ্ধের মােকাবেলায় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গত শতাব্দিতে সবচেয়ে কার্যকর লেখা বইপত্র এসেছে দু‘জন জন্মগতভাবে খ্রিস্টান লেখকদের কাছ থেকে। এদের একজন হলেন Edward Said এবং অপর জন হলেন Maurice Bucaille| Edward Said-এর Orientalism এবং Covering Islam মুসলিমদের বিরুদ্ধে ইহুদি, খ্রিস্টান, পশ্চিমা সবার পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের তথা প্রচারযন্ত্রের মুখোশ খুলে দিয়েছে, তেমনি অনেক Orientalist-কে চিরতরে স্তবদ্ধ করে দিয়েছে। Maurice Bucaille-এর The Bible,
The Qur’an and Science.
এবং What is the Origin of Man দুটো সাহিত্য কর্মই,
একদিকে যেমন, জোর করে যারা Bible-কে ঐশী বাণী বলে চালাতে চেষ্টা করে, তাদের প্রচেষ্টাকে একেবারে সমাহিত করে দিয়েছে, তেমনি অপরদিকে হতাশাগ্রস্থ বা বস্তুত কাফির হয়ে যাওয়া মুসলিমদের মাঝে নিজেদের ধর্ম নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা করার একটা উদ্যম এনে দিয়েছে।
কিন্তু দুঃখের বিষয়, এ ব্যাপারে সমস্ত ঘটনা ছাপিয়ে যে অসঙ্গতিটা সবার নজরে পড়বে, তা হচ্ছে জন্মগত মুসলিমদের প্রচেষ্টা এক্ষেত্রে একেবারে শুন্যের কোঠায়।প্রকৃতপক্ষে মুসলিম আলিমদের মাঝে আজ এক বিরাট ভ্রান্তি রয়ে গেছে। তা না হলে এ ক্ষেত্রে মুসলিমদের এমন দূরবস্থা কেন? আমাদের আলিম সমাজ আজ পর্যন্ত তাদের ভ্রান্তি উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়নি। যে নীতি ও দৃষ্টিভঙ্গির কারণে প্রথমদিকে আলিম সমাজ ব্যর্থতার গ্লানি বরণ করে নিয়েছিল, আজো প্রায় প্রতিটি মুসলিম দেশেই তারা সেই একই দৃষ্টিভঙ্গির উপর অবিচল রয়েছে।
কতিপয় ব্যতিক্রমি ব্যক্তিত্বকে বাদ দিলে আলিম সমাজের সাধারণ অবস্থা হলো, আজকের যুগের ভয়ংকর গতিপ্রকৃতি এবং মানসিকতার নতু ন গড়নকে উপলব্ধি করার কােনো চেষ্টাই তারা করেন না। আধুনিক পরিস্থিতি মুসলিমদের জন্যে যে ভয়ানক চ্যালেঞ্জ উপস্থাপন করেছে তার মােকাবেলা করতে এরা একেবারেই অক্ষম ও অসমর্থ।
কিন্তু দাড়ি-গোঁপ, টুপি-পাগড়ি, মেসওয়াক, ঢিলা-কুলুপ আর বিবি তালাকের মতো নিতান্ত গুরুত্বহীন ব্যাপারে তারা কিনা সিদ্ধহস্ত। মূলত এসব চ্যালেঞ্জ মােকাবেলার জন্যে যে উদ্যম, মনমানসিকতা ও ইজতিহাদ লাগে, সেগুলিকে এরা নিজেদের জন্যে হারাম করে নিয়েছে। বস্তুত আজকে আমাদের আলিম সমাজ ইসলামের শিক্ষা এবং তার বিধিবিধান প্রচারের জন্যে যে পন্থা অবলম্বন করেছেন তা আধুনিক শিক্ষিত লােকদেরকে
ইসলামের সাথে পরিচিত করানোর পরিবর্তে উল্টো তাদেরকে বীতশ্রদ্ধ করে দিচ্ছে।এমনকি কখনো কখনো তাদের ওয়াজ নসীহত শুনে কিংবা তাদের রচনাবলি পড়ে স্বতস্ফূর্তভাবেই মন থেকে বলে উঠে: খােদা যেন কোন অমুসলিম বা পথভ্রষ্ট মুসলিমের কানে এই অর্থহীন প্রলাপ না পৌঁছায়।
মােটকথা আমাদের এই আলিম সমাজ তাদের চারিদিকে ৩০০ বছরের পুরনো পরিবেশ তৈরী করে রেখেছেন। সেই পরিবেশেই তারা চিন্তা করেন, ভাবেন, তার ভেতরেই তারা বসবাস করেন, তার উপযোগী কথাবার্তাই তাদের মুখ থকে বের হয়।
আজ ২০১৩ সালে তারা নিজেদের গন্ডির সীমাবদ্ধতা থেকে বরিয়ে কিছুই দেখতে চান না। এরা কােন চ্যালেঞ্জের মােকাবেলা করবেন? এ জন্যেই আমাদের নবী (সাঃ) বলে
গেছেন যে: শেষ সময়ে পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট জানোয়ার হবে এই সব আলিমরা।
ইউরোপীয় সভ্যতার মতো আজকের মুসলিম এমনকি আলিমরাও বিশ্বাসকরেন যে: ধর্ম রাজনীতি ও অর্থনীতি পরস্পর আলাদা, এদের মাঝে কােন সম্পর্ক নেই।
অনেকেই হয়তো বলতে পারেন এটাই তাে ইসলামের শিক্ষা।
আমি তাদেরকে বলবো আপনারা কি আপনাদের পূর্বপুরুষদের ইতিহাস ঐতিহ্যের কােন খােঁজখবর রাখেন? তা নাহলে এই প্রশ্ন কােনো মুসলিমের মুখে শােভাপেত না। খ্রিস্টাব্দ ৬২৩ সাল থেকে ১৯২৪ সাল পর্যন্ত ইসলামি খিলাফত প্রতিষ্ঠিত ছিল।
আজকের মুসলিমপ্রধান দেশগুলি ছিল এর অন্তর্ভূত। কােনো সীমানা ছিল না, ছিল না কােনো ভিসা, যেকোন মুসলিম এই খিলাফতের ভিতর স্বাধীনভাবে বসবাস করতে
পারতো, নিজেদের ইচ্ছামত পেশা নিজের পছন্দের দেশে বেছে নিতে পারতো। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, এই বিশাল খিলাফতে রাষ্ট্র পরিচালিত হতো কুর’আন ও সুন্নাহর
মাধ্যমে, এর অর্থনীতি ছিল সুদবিহীন। রাজনীতি ছিল গণতন্ত্র তথা সমাজতন্ত্রের র্শিক মুক্ত।
কিন্তু ব্রিটিশ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এই খিলাফত ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়, মুসলিমদেরকে পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ করা হয়, তাদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয় রাজনৈতিক র্শিক এবং অর্থনৈতিক র্শিক। কিছু সচেতন মুসলিমরা এগুলির বিরোধিতা
করে, কিন্তু তাদেরকে নির্মমভাবে দমন করা হয়, বাকিরা এই পরাধীনতার শৃঙ্খল মেনে নিতে থাকে এবং একেই তাদের স্বাভাবিক পরিণতি ভাবতে আরম্ভ করে। আস্তে আস্তে
মুসলিমরা পাশ্চাত্যের কালো শক্তির জীবনযাত্রাকে গ্রহণ করতে শুরু করে।
তখন থেকেই মুসলিম বিশ্বে প্রবেশ করলো গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, পুজিবাদের আড়ালে সুদ, ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষা ব্যবস্থা, আরো নানান কিছু। মূলত তখন থেকেই এই সব উদ্ভট চিন্তা চেতনা মুসলিমদেরকে গ্রাস করে নিয়েছে, কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো আমাদের আলিম সমাজও এই একই রকম চিন্তাচেতনায় বিশ্বাসী (কিছু বাদে, ইল্লামাশাআল্লাহ)।
এই ধ্যানধারণায় বিশ্বাসী মুসলিমদের ব্যাপারে ইঙ্গ-ইসরাঈলি-মার্কিন ইউরো-রাশিয়ান কালো শক্তি একেবারে নিশ্চিন্ত হয়ে গেছে। কারণ, এরূপ মুসলমানেরা
(যতই নামায, রােযা পালন করুক, লম্বা দাড়ি রাখুক, পরুক না কাের্তা জােব্বা আর কতকি) তাদের ধর্মহীনতার বিরুদ্ধে কখনো প্রতিবাদ করবে না, করবে না তাদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। এই সমস্ত কাফিররাও জানে কােন্টা প্রকৃত ইসলাম আর কােন্টা বাতিল, ভন্ড ইসলাম। তাই তারা এরূপ মুসলিমদের পৃষ্ঠপোষকতা করে, তাদের প্রচারিত ইসলামকে সম্মান করে।
কিন্তু আল্লাহ্র জমিন কখনো মুহসিন শূন্য ছিল না এবং আজও তারব্যতিক্রম নয়। আর এ কারণেই পৃথিবীতে আজও এমন কিছু আলিম রয়েছেন যারা মহা সত্যের জন্যে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। এরাই হচ্ছেন আজকের যুগের আউলিয়া কেরাম।
আল্লাহ্ আমাদেরকে মহা সত্যকে বুঝার তৌফিক দান করুন। তারপরেও এদের সংখ্যা নিতান্তই কম হবে। নবী (সাঃ) তাে বলেই গেছেন,
'ইসলাম আরম্ভ হয়েছে অপরিচিত (গরীব) অবস্থায় এবং শীঘ্রই তা অপরিচিত হয়ে যাবে অতএব অপরিচিতদের জন্যে রয়েছে সুসংবাদ।-[সহীহ মুসলিম]
আল্লাহ্ তা’আলা আমাদেরকে এই অপরিচিতদের দলভুক্ত করুন। আমিন!
ইয়াজুজ ও মাজুজ, দাজ্জাল, শেষ সময়ের আলামত, ইত্যাদি বিষয়গুলিকে তাে আমাদের
আলিমরা আলিফ লায়লার গল্পের মতো বানিয়ে রেখেছেন। এই বইটিতে সেসব জঞ্জাল পরিষ্কার করা হয়েছে। প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল আজকের আজব বিশ্বের ঘটনাপঞ্জি এই
বইটিতে উপস্থাপিত তথ্যের সত্যতা প্রমাণ করতে আরম্ভ করে দিয়েছে।
এর ভাল দিক হলো, এই উপস্থাপনার মাধ্যমে আজকের বিশ্বে চলমান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সর্বোপুরি আজকের যুগের ভয়াবহ বাস্তবতাকে খুব সহজেই ব্যাখ্যা করা যায়। এটা সত্যিই আল্লাহ্র রহমত। আশা করি আল্লাহ্ আমাদের
হৃদয়কে সত্য বুঝার জন্যে আগ্রহী করে দিবেন। আমিন!
আমার অনুবাদে ভুল থাকাটাই স্বাভাবিক। আশা করি তা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে মূল্যায়ন করা হবে। এই ক?িন কাজে আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করেছি।
সূত্র: ইসলামের দৃষ্টিতে আধুনিক বিশ্বে ইয়াজুজ ও মাজুজ (অনুবাদ: আহমাদ মুহাম্মদ হোসেন)
বিষয়: বিবিধ
১৫৫৯ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
-ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন