আপনার শিশুর বিষয়ে সতর্ক হোন
লিখেছেন লিখেছেন রাজ্পুত্র ২৪ জুলাই, ২০১৫, ১০:৫৩:৩৩ রাত
বিষয়গুলো আমরা সবাই জানি হয়ত, তারপরেও সচেতনতা ও সঠিক মুল্যবোধের অভাবেই আমাদের আশে পাশে ঘটছে নানারকম বিব্রতকর ঘটনা।
অথচ একটু সতর্ক থেকে চোখ কান খোলা রাখলেই এসব বিষয় এড়িয়ে নিজেকে এবং প্রিয়জনকে অনাকাংখিত বিপদ থেকে রক্ষা করা সম্ভব।
সবার আগে সন্তানকে ধর্মিয় অনুশাসনে গড়ে তুলুন। ধর্মিয় মুল্যবোধ সারাজীবন তাকে ভাল রাখতে সহায়ক হবে।
আপনি নিজেও জানুন, একইসাথে খুব ছোটবেলা থেকেই আপনার শিশুকে শিক্ষা দিতে পারেন যেসব বিষয়ে :
১. আপনার শিশুকে কারো কোলে বসতে দিবেন না। এমনকি আপনার পরিচিত কোন আত্মিয় স্বজনের কোলেও না।
২. সন্তানের বয়স দু’বছরের বেশী হলেই তার সামনে আর আপনি কাপড়চোপড় পাল্টাবেন না।
৩. প্রাপ্ত বয়স্ক কেউ আপনার শিশুকে উদ্দেশ্য করে বলছে: ‘আমার বৌ’, ‘আমার স্বামী’- এটা অ্যালাউ করবেন না।
৪. আপনার শিশু যখন বলছে সে খেলতে যাচ্ছে, কোন্ ধরণের খেলা সে খেলছে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন, উঠতি বয়সি বাচ্চাদের মধ্যে অ্যাবিউজিং প্রবণতা পাওয়া যাচ্ছে।
৫. স্বাচ্ছন্দবোধ করছে না এমন কারো সাথে কোথাও যেতে আপনার শিশুকে জোরাজুরি করবেন না। পাশাপাশি লক্ষ্য রাখুন, আপনার শিশু বিশেষ কোন প্রাপ্ত বয়স্কের ভক্ত হয়ে উঠেছে কিনা।
৬. দারুণ প্রাণচ্ছল কোন শিশু হঠাৎ নির্জিব হয়ে গেলে, তাকে প্রশ্ন করুণ। তার মনের অবস্থাটা পড়তে চেষ্টা করুণ।
৭. বয়:সন্ধি পেরোচ্ছে এমন বাচ্চাকে যৌনমূল্যবোধ সম্পর্কে শিক্ষা দিন। আপনি যদি এ কাজ না করেন, তবে সমাজ তাকে ভুল টা শিখিয়ে দেবে।
৮. কোন ছবি, কার্টুন ইত্যাদি বাচ্চাদের জন্য আনলে আগে তা নিজে দেখুন। কোন বই সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তবেই তা কোমলমতি সন্তানের হাতে দিন।
৯. আপনি নিশ্চিত হন যে আপনি প্যারেন্টাল কন্ট্রোল অপশন অ্যাক্টিভেট করে রেখেছেন কেবল নেটওয়ার্কে, বিশেষ করে সেই সমস্ত নেটওয়ার্কে যেখানে আপনার শিশু প্রায়শই ভিজিট করে।
১০. তিন বছর বয়স হয়েছে এমন সন্তানকে তাদের ব্যক্তিগত গোপন স্থানসমূহ কিভাবে পরিস্কারপরিচ্ছন্ন রাখতে হয় তা শেখান। সতর্ক করে দিন যেন সেসব এলাকা কেউ স্পর্শ করতে না পারে- নিষিদ্ধদের মধ্যে আপনিও আছেন (মনে রাখবেন চ্যারিটি বিগিনস অ্যাট হোম এ্যান্ড উইথ ইউ)।
১১. কালো তালিকাভুক্ত করুণ সেই সব বই, গান, মুভি, পরিবার বা ব্যক্তিকে- আপনি মনে করেন যে বা যা আপনার শিশুর মনের সৌন্দর্য নষ্ট করতে পারে।
১২. আপনার শিশুকে ভিড়ের বাইরে গিয়ে দাড়ানোর মূল্যবোধ শেখান।
১৩. আপনার শিশু যদি কারো সম্পর্কে অভিযোগ করে তবে দয়া করে বিষয়টি নিয়ে মুখ বুজে থাকবেন না।
মনে রাখবেন আপনি হয় বাবা- মা না হয় বাবা -মা হবেন দু’দিন বাদে, যে কোন ব্যথা কিন্তু সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হয়।
সচেতনতা ছড়িয়ে পড়ুক সবার মাঝে, ভালো থাকুক নিরাপদ থাকুক প্রতিটি শিশু।
বিষয়: বিবিধ
১২৩৫ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন