থাইল্যান্ডের গনকবরে বাংলাদেশীদের লাশ ও একজন কাজিমকে যেভাবে হত্যা করা হলো
লিখেছেন লিখেছেন রাজ্পুত্র ০৫ মে, ২০১৫, ১১:৪৭:৩৯ সকাল
ভ্যাগ্যের কি নির্মম পরিহাস! থাইল্যান্ডে বাংলাদেশীদের লাশ পাওয়া যাচ্ছে গনকবরে। বড়ই দূর্ভাগ্যজনক খবর। ওরাতো কারো ক্ষতি করতে সেখানে যায়নি। হলাল রুজির সন্ধানে তারা বিদেশে পাড়ি জমিয়েছিল। দেশে কিছু করার অবস্থা ছিলনা বলেইতো তারা আজ বিদেশে। দেশেতো শুধু অপরাজনীতি চলে । জনগনের দূর্দশা দেখার কি কেউ আছে? বিদেশে বাংলাদেশীদের লাশ পাওয়া যাচ্ছে তা নিয়ে কারো কোন মাথা ব্যাথা নেই।
কাজিম নামের একজন দূর্ভাগা যেভাবে নিহত হলেন:
থাইল্যান্ডের শংখলা প্রদেশের সাদাও এলাকার গভীর জঙ্গলে গণকবর থেকে সম্প্রতি যে ২৬ জন বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা অভিবাসীর দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে, তাঁদের একজনের নাম কাজিম।
কুরামিয়া তার ভাগনে কাজিমকে ছাড়াতে ৯৫ হাজার বাথ (থাই মুদ্রা) মুক্তিপণ দিয়েছিলেন । তার পরও কাজিমকে জীবিত ফিরে পাননি। মিলেছে তাঁর দেহাবশেষ। কুরামিয়া নিজেও ভাগ্যান্বেষণে একইভাবে দেশ ছেড়েছিলেন। কুরামিয়া বলেন অরনুয়া নামের এক পাচারকারী ও তার সহযোগীরা মিলে কাজিমকে নিষ্ঠুরভাবে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে।
তিনি আরো বলেন অরনুয়া নামের এক পাচারকারী যখন আমার সঙ্গে প্রথম যোগাযোগ করে, তখন তাকে কাজিমের মুক্তিপণ বাবদ ৯৫ হাজার বাথ দিই। ১৫ দিন পর সে আরও ১ লাখ ২০ হাজার বাথ চায়।
আর টাকা না থাকায় আমি থাই পুলিশের কাছে অভিযোগ করি। এরপর কাজিমকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়।’
গনকবরে আরো বাংলাদেশী আছেন:
এছাড়াও প্রথম গণকবর থেকে তাঁরা ২০ জনের কঙ্কাল ও ছয়জনের গলিত দেহাবশেষ পেয়েছেন। একই দিন শংখলার গভীর জঙ্গলে আরেকটি গণকবরের সন্ধান পাওয়ার খবর শোনা যায়। গত শুক্র ও শনিবার প্রথম গণকবরটি থেকে যাঁদের দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়, তাঁদের মধ্যে অন্তত ১০ জন বাংলাদেশি ছিলেন বলে জানিয়েছেন সেখানকার শিবির থেকে জীবিত উদ্ধার হওয়া এক বাংলাদেশি।
অপহরণের শিকার হওয়া পাঁচ শতাধিক অভিবাসীকে মেরে ফেলা হয়ে থাকতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে:
বন্দিশিবিরের পাঁচ শতাধিক লোককে মেরে ফেলার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন যিনি, সেই অভিবাসী তাঁর নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, ওই ঘাঁটিগুলোতে হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলিমকে চাকরির আশ্বাস দিয়ে বা মুক্তিপণ আদায়ের জন্য আটক রাখা হতো। মালয়েশিয়ায় চাকরির লোভ দেখিয়ে ছয় মাস আগে তাঁকেও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে থাইল্যান্ডে নেয় পাচারকারীরা। তিনি যে শিবিরে ছিলেন সেখানে ৭০০ থেকে ৮০০ অভিবাসীকে আটকে রাখা হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, ‘মা জমি বিক্রি করে মুক্তিপণ শোধ করায় আমি বেঁচে গেছি।’-Click this link
বিষয়: বিবিধ
১০৫৭ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমাদের সরকারগুলো চলে প্রবাসীদের পয়সায়। সেই প্রবাসীদের খবর নেবার সময় হয় না তাদের।
না জানা মানুষগুলোর জন্য দোয়া করা ছাড়া আমাদের কোন উপায় নেই।
মন্তব্য করতে লগইন করুন