"আমরা ফেরেশতারা তাকে তৃতীয় আসমানে এনে জমজমের পানি দিয়ে গোসল করিয়েছি"

লিখেছেন লিখেছেন রাজ্পুত্র ১৭ মার্চ, ২০১৫, ১১:১০:১২ সকাল

যতবার শুনি ততবার চোখে পানি এসে যায়। ইসলামের ইতিহাস কত সুন্দর কত মধুর। কিন্তু আমরা আজ কি করছি?দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে আমরা আজ সত্যিকর ইসলাম থেকে অনেক দূরে। আমাদের ভিতর ইসলাম চর্চা কমে গেছে।

আসুন ইসলামের একটি সুন্দর ঘটনা দেখি।

উহুদের যুদ্ধে ৭০ জন শহীদ হয়েছে! একেক জনের লাশ এনে এক জায়গায় রাখা হচ্ছে। নবীজি গুনে দেখেলেন ৬৮ টা লাশ। ২ টা নাই...

একজন তার চাচা হামজা (রাঃ) আরেকজন হানজালা (রাঃ)। অস্থির হয়ে পড়েছেন নবীজি। সব সাহাবাদের পাঠাইলেন লাশ খোজার জন্য।... হঠাৎ বোরকা পরা এক মহিলা এসে দাঁড়ালেন

নবীজির কাছে। নবী তাকে চিনলেন না।- মহিলা বললেন; ইয়া রাসুলুল্লাহ গতকাল আপনি একটা বিয়ে পড়িয়েছিলেন মনে আছে?

নবীজি বলেন; হা আমি তো হানজালার বিয়ে পড়িয়েছি। যার বিয়ের খুশিতে আমি খুরমা খেজুর ছিটিয়ে ছিলাম। -

মহিলা বললেন; ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমার হাতটা দেখেন। হাতের মেহেদী এখনও শুকায় নাই। কাল বিকেলে বিয়ে হয়েছিল আর রাত ২ টা বাজে উহুদের যুদ্ধের জন্য বের হয়ে গেছে হানজালা। বাসর রাতে তার সাথে আমার ভালোভাবে পরিচয়ই হয়নাই। যাওয়ার আগে শুধু বলে গেছেনঃ "যদি দেখা হয় তাহলে দেখা হবে দুনিয়ায়, আর যদি শহীদ হয়ে যাই তাহলে দেখা হবে জান্নাতে"

- মহিলা বললেন ইয়া রাসুলুল্লাহ যাওয়ার আগে আমার কপালে একটা চুম্বন করে গেছেন। লজ্জায় বলতেও পারি নাই আপনার জন্য গোসল ফরজ।

নবীজি তার কথা শুনে অঝোর ধারায় কাঁদতে শুরু করলেন। মহিলা বললেন ইয়া রাসুলুল্লাহ, শহীদদের তো আপনি গোসল দেন না আমার স্বামীকে আপনি একটু গোসল দিয়েন?

নবীজি সম্মতি প্রকাশ করার পর একজন সাহাবি দৌড়ে এসে বলল নবীজি সম্মতি প্রকাশ করার পর একজন সাহাবি দৌড়ে এসে বলল ইয়া রাসুলুল্লাহ হানজালা কে পাওয়া গেছে।

--- সবাই গেলেন। গিয়ে দেখলেন সাদা কাফনের ভিতর লাশের মাথায় পানি। নবীজি মাথা হাতায়ে দিলেন।

জিবরাঈল আসলো! ...এসে বলল; ইয়া রাসুলুল্লাহ হানজালার কুরবানিতে আল্লাহ্পাক এতটাই খুশি হয়েছেন যে তিনি জিব্রাইলের বাহিনিকে আদেশ করলেন তাকে নিয়ে আসতে। .

..ইয়া রাসুল্লাহ আমরা ফেরেশতারা তাকে তৃতীয় আসমানে এনে জমজমের পানি দিয়ে গোসল করিয়েছি এবং তার শরীরে যে সুগন্ধ দেখছেন এটা আল্লাহ পাকের বিশেষ খুসবু মিশক আম্বর আত।

বিষয়: বিবিধ

১৫৭৮ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

309441
১৭ মার্চ ২০১৫ সকাল ১১:১৯
জাইদী রেজা লিখেছেন : ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ।
১৭ মার্চ ২০১৫ সকাল ১১:২০
250397
রাজ্পুত্র লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ।-Good Luck
309443
১৭ মার্চ ২০১৫ সকাল ১১:২৫
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ।
আমরা ব্যাস্ত আমিন আর রাফায়ে ইয়াদাইন নিয়ে।
আর ব্যাস্ত খাটি ইমানদার মুমিনদেরকে কাফির মুশরিক ফতোয়া দিতে।
আর ব্যাস্ত নিজের মতবাদ কে অন্যের উপর চাপিয়ে দিতে।
এই আর কি!

১৭ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০২:১৩
250423
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : সত্যই বলেছেন।
309445
১৭ মার্চ ২০১৫ সকাল ১১:৩৪
রাজ্পুত্র লিখেছেন : সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই। ভাল থাকবেন।
১৭ মার্চ ২০১৫ সকাল ১১:৩৭
250398
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : জাজাকাল্লাহু খাইরান
309448
১৭ মার্চ ২০১৫ দুপুর ১২:০১
সাদা লিখেছেন : সোবহানাল্লাহ।মহান আল্লাহ্‌ আমাদের সঠিক দীন বুঝার তৌফিক দান করুক।
১৭ মার্চ ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৪২
250476
রাজ্পুত্র লিখেছেন : আমিন।
মহান আল্লাহ্‌ আমাদের সহায় হোন।
309455
১৭ মার্চ ২০১৫ দুপুর ১২:২৬
হতভাগা লিখেছেন : সুব'হান আল্লাহ !

এই যুদ্ধে তো আমির হামযা (রাঃ)ও শহীদ হয়েছিলেন । উনার হত্যা হওয়া নিয়ে একটা কাহিনী শুনেছিলাম ।

যদি জানা থাকে জানাবেন।
309457
১৭ মার্চ ২০১৫ দুপুর ১২:৩৬
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আপনার এই ঘটনার রেফারেন্স উল্লেখ হলে ভাল হত। যতদূর মনে পড়ছে এই ঘটনা হযরত হামযার(রাঃ) ক্ষেত্রে ঘটেছিল। তাকে ফেরেশতারা গোসল করিয়েছিল। ...সঠিক রেফারেন্স ব্যবহার করে আমার ভুল ভেঙ্গে দিলেই উত্তম হবে। জাজাকাল্লাহ খায়রান
309458
১৭ মার্চ ২০১৫ দুপুর ১২:৩৮
মোতাহারুল ইসলাম লিখেছেন : ত্য বলেছেন, অশ্রু সংবরণ করা যায়না।
১৭ মার্চ ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৪৮
250477
রাজ্পুত্র লিখেছেন : ইসলামের বীরপুরুষদের জন্য অন্তরের অন্তস্থল থেকে ভালবাসা জানাই । মহান আল্লাহ্‌ আমাদেরকে তাদের পথ অনুসরন করার তৌফিক দান করুন ।
১৭ মার্চ ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:১০
250483
মোতাহারুল ইসলাম লিখেছেন : আমীন, সুম্মা আমীন।
309459
১৭ মার্চ ২০১৫ দুপুর ১২:৩৯
মোতাহারুল ইসলাম লিখেছেন : সত্য বলেছেন, অশ্রু সংবরণ করা যায়না।
১৭ মার্চ ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৫৯
250480
রাজ্পুত্র লিখেছেন : আমাদের পরর্বতী প্রজন্মকে নিরাপদ করতে হলে সঠিক ইসলামের ছায়াতলে আসা ছাড়া কোন পথ খোলা নেই । মহান আল্লাহ্‌ আমাদের সহায় হোন।
১৭ মার্চ ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:১০
250484
মোতাহারুল ইসলাম লিখেছেন : আমীন, সুম্মা আমীন।
309464
১৭ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০২:১২
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : সত্যি চোখের কোণে পানি টলমল করছে। তখন তাদের ইমানী শক্তি এতো বেশি ছিল যে, দাম্পত্য জীবনের প্রথম সময়টা, যখন অফুরন্ত ভাললাগায় ভালবাসায় সব কিছু থাকে ভরপুর, তখন স্বামীর নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও নিজের সমস্ত কামনা বাসনাকে এক পাশে আল্লাহ রাহে স্বীয় স্বামীকে জিহাদে যেতে বাধা প্রধান করেন, কলিজা ভেঙ্গে খান খান হয়েছে, চোখে অশ্রুর প্লাবন হয়ে গেছে, তবু আল্লাহর উপর স্বামীর ভালবাসা অগ্রাধিকার দেন নি। সত্যি অবিশ্বাস্য, কতটা ইমানী শক্তিতে বলীয়ান হলে এমন অভূতপূর্ব ত্যাগের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেন!

অথচ আজ, আমাদের স্বজনেরা বলে, লোকের কি অভাব আছে? অন্যেরা মিছিল সমাবেশ করবে, তোমার ওওইসবে যাবার দরাকার নেই। তোমাকে হারিয়ে আমরা ভাল থাকতে পারব না। বাস্তবতা হচ্ছে, আজ আমাদের যতটা ইচ্ছে আছে লড়াই সংগ্রাম করার, কিন্তু পারিবারিক পিছুটান আমাদের ইচ্ছেটুকুও নষ্ট করে দেয়। তবুও সাহাবীরা আমাদের আদর্শ, আল্লাহ রাসূলের ভালবাসাকে অগ্রাধিকার দিতে গিয়ে তারা আর সবকিছুকে তুচ্ছ করেছেন, আমাদেরও তাই করা সময়ের দাবী।

ধন্যবাদ জানবেন অতীব সুন্দর পোস্ট করার জন্য।
১৭ মার্চ ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৫৩
250478
রাজ্পুত্র লিখেছেন : ভাই শুভেচ্ছা নিবেন আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। এখানে একটা কথা বলতে চাই সেটা হলো- পরিবার বা স্বজনদের দোহায় দিয়ে পার পাওয়া যাবেনা। কারন পরকালে আপনাকে বাঁচানোর জন্য কেউ আসবেনা। যার পরকালের প্রস্তুতি তাকেই নিতে হবে ।
১০
309504
১৭ মার্চ ২০১৫ বিকাল ০৫:০৪
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : এটা অনেকবার পড়েছি যতবারই পড়েছি ততবারই মুগ্ধ হয়েছি।
১৭ মার্চ ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৫৬
250479
রাজ্পুত্র লিখেছেন : এটা শান্তির র্ধম ইসলাম তাই সারা জীবনে আরো যতবার এই ঘটনাটি পড়বেন ততই মুগ্ধ হবেন।
ভাই ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File