'অসম্ভবকে সম্ভব করাই বাংলাদেশের কাজ' নাকি 'সম্ভবকে অসম্ভব করাই বাংলাদেশের কাজ'
লিখেছেন লিখেছেন রাজ্পুত্র ০৮ ডিসেম্বর, ২০১৪, ১০:৫১:৪৩ রাত
আমি যখন প্রথম বিভাগে এসএসসি পাশ করি তখন অনেকেই আমাকে সাধুবাদ জানিয়েছিল। তা আজ থেকে কম বেশী ২০ বছর আগে। আর ঐসময় যারা স্ট্যান্ড করত তদের ছবি পত্রিকায় আসত। যা দেখে অনেক উতসাহ পেতাম। ছোটদেরকে তাদের উদাহরন দেওয়া হতো। স্ট্যান্ড অনেক বড় কিছু ছিল সেসময় । সেই সময়ের সাথে বতর্মান সময়ের তুলনা করলে অনেক কষ্ট হয়।
কারন এখন পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হলে পরেরদিন সেরা কারো ছবি পত্রিকার পাতায় আসেনা। এখন ফলাফল প্রকাশের পরের দিন দেখা যায় কিছু উশংখল ছবি। যেখানে সকলে এক সংগে নাচানাচি করছে। পত্রিকায় ছবি ছাপবার মতো কােন ভাল ছাত্র খুজে পাওয়া যায়না! এখনকার বাবা মা কোন ভাল ছাত্রের উদাহরনও দিতে পারেননা। বড় আপসোস!
আগে স্ট্যান্ড করত ২০ জন হিসাবে সকল বোর্ড মিলে ৮০ জন আর এখন স্ট্যান্ড করে মানে এ+ পায় লক্ষাধিক! অনন্ত জলিলের সংলাপের মত বলতে হয় 'অসম্ভবকে সম্ভব করাই বাংলাদেশের কাজ'? কিন্তু হটাৎ বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের উন্নতির কারন কি?
নিশ্চয় আলাদিনের চেরাগ আছে বাংলার ঘরে ঘরে! আর সে চেরাগ আর কিছু নয় 'প্রশ্নপত্র' মানে 'প্রশ্নপত্র ফাঁস'। 'প্রশ্নপত্র ফাঁস' মানে আগামীকাল পরীক্ষায় কি আসবে তা আপনি আগের দিনই জানতে পারবেন।
১৯৭১ সালে বুদ্ধিজীবি হত্যাকরে দেশ মেধা শুন্য করা হয়েছিল বলে শুনেছি আর এখন তা হচ্ছে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাধ্যমে। ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের উদ্দেশ্য ছিল 'প্রশ্নপত্র ফাঁস' ?
কার স্বার্থে এসব করা হচ্ছে? কেউ কি জানেন?
বিষয়: বিবিধ
১৩০৮ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন