নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসলাম
লিখেছেন লিখেছেন শাহীন কবির ২৩ আগস্ট, ২০১৫, ০৫:০১:৩৬ সকাল
৩য় পর্ব
মাতৃত্বের অধিকারঃ
পৃথিবীর ইতিহাসে ইসলামই একমাত্র জীবন বিধান যা নারী জাতিকে মর্যাদার শীর্ষে বসিয়েছে। রাসূল (সাঃ) ঘোষনা করেছেন নারী ভোগের বস্তু নয় জান্নাতে পৌঁছার সিঁড়ি। এব্যপারে মুয়াবিয়া বিন জাহিমা (রাঃ)ববর্না করেন- আমার পিতা নাবী (সাঃ) এর কাছে গিয়ে বলেন- হে আল্লাহর রাসূল (সাঃ) আমি জিহাদে যেতে চাই। রাসূল (সাঃ) জিজ্ঞাস করলেন তোমার মা কি বেঁচে আছেন? তিনি বললেন হ্যাঁ ইয়া রাসুলাল্লাহ (সাঃ) আমার মা বেঁচে আছেন। রাসুল (সাঃ) বললেন- তাহলে তুমি তার খেদমত করো। তোমার জান্নাত তাঁর পায়ের নীচে। অন্য হাদীছে আছে এক ব্যক্তি রাসূল (সাঃ) কে প্রশ্ন করেছিলেন ইয়া রাসুল্লাহ (সাঃ) কে আমার কাছে উত্তম ব্যবহার পাওয়ার সর্বোত্তম অধিকারী? রাসুল্লাহ (সাঃ)বললেন তোমার মা, লোকটি আবার প্রশ্ন করলেন তারপর কে? রাসুল্লাহ (সাঃ) বললেন তোমার মা। লোকটি আবার প্রশ্ন করলেন তারপর কে? রাসুল্লাহ (সাঃ) বললেন তোমার মা। লোকটি আবার প্রশ্ন করলেন তারপর কে? রাসুল্লাহ (সাঃ) বললেন তোমার পিতা। এতে প্রমাণিত হয় মায়ের খেদমত জান্নাত লাভের উপায়।
সতীত্বের মর্যাদাঃ
ইসলাম নারীদের ইজ্জত-আব্রুর উপর সতর্ক দৃষ্টি রাখে। নারীদের ইজ্জত-সম্মান নষ্ট করা ইসলামী শরয়ী আইনের লঙ্গন।নারীর ইজ্জত তাদের কাছে তাদের জীবনের চেয়েও অধিক মূল্যবান। তাই নারীর সতিত্বের প্রশ্নে অভিযোগ প্রমাণ করার জন্যে ৪ জন স্বাক্ষী উপস্থিত করা প্রয়োজন। বিশেষ করে ব্যবিচার প্রমান করার জন্যে ৪ জন সাক্ষীই পুরুষ হওয়া জরুরী। ফলে ইচ্ছে করলেই কারো বিরুদ্ধে ব্যবিচারের অভিযোগ প্রমান করা সহজ নয়।অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হলে অভিযোগকারীর জন্যেও ইসলাম স্ব্যাস্থীর ব্যবস্থা রেখেছে। এতে নারীর মর্যাদা কথায় কথায় ভূলূণ্ঠিত হওয়া হতে নিষ্কৃতি পায়।
চলবে
বিষয়: বিবিধ
১৩১৮ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
০ ব্যভিচার যেই করুক কোন সাক্ষী রেখে কি করে ? তার উপর আবার ৪ জন পুরুষ সাক্ষী !!
মানে কোন স্ত্রী তার স্বামীর অগোচরে যদি অন্য কারও সাথে মিলিত হয় - এটা যদি স্বামী প্রমান করতে চায় তাহলে তাকে ৪ জন পুরুষ সাক্ষী আনতে হবে তার পক্ষে বলার জন্য যারা কি না তার স্ত্রীকে পর পুরুষের সাথে মিলিত হতে দেখেছে !!! এটা না পারলে যথেষ্ট সন্দেহ ও ইভিডেন্স থাকা সত্ত্বেও একজন মেয়ে পরকীয়া করে যাবে !! তার বিপক্ষে কিছুই বলা যাবে না !!! ঐ পরকীয়া বাজরা কি লোকজনকে সামনে রেখে বিছানায় মিলিত হয় !!
এ ব্যাপারেও পবিত্র ক্বুরআনে আল্লাহই এরকম বলে দিয়েছেন যে - তারা পরপর ৪ বার বলবে যে সে সত্য কথা বলছে , আর ৫ম বার বলবে তার কথা যদি মিথ্যা হয় তাহলে তার উপর আল্লাহর গজব পড়বে ''
আল্লাহ তো আমাদের সব কিছুই দেখেছেন এবং জানেন যে কার মনে কি চিন্তা আছে ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন