মায়ের শাস্তি

লিখেছেন লিখেছেন শাহীন কবির ০৮ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৫:২৮:০৩ সকাল

বস বললেন। জামান সাহেব। আমার জরুরী কাজ পড়েছে। ড্রাইভারটাও আসে নাই। একটু কষ্ট করে আমার ছেলেটাকে মাদ্রাসা হতে নিয়ে আসবেন? জামান সাহেব বিনা বাক্যে রাজি হয়ে গেলেন। ছোট্ট বাচ্চা জামান সাহেবের খুব পছন্দ। আর হিরনকে জামান সাহেবের খুব ভালো লাগে। হিরন দেখতে খুব ফুটফুটে। সুন্দর করে কথা বলে। যে বিষয়ে কথা বলতে চায় তার আদিপান্ত পই পই করে বলার চেষ্টা করে। কচি মুখে এমন কথা শুনার মজাই আলাদা। হিরনরা দুই ভাই। হিরন ও মিরন। মিরন ছোট আর হিরন বড়। মিরনও খুব মিষ্টি। হিরনের পর মিরনের আগে রোকাইয়া নামে তার একটা বোন ছিলো। রোকাইয়া ছিলো খুব সুন্দরী। দেখতে এক্কেবারে সদ্য ফোটা লাল গোলাপের মতো। অতি অল্প বয়সে কোন এক কঠিন রোগে সুমাইয়ার মৃত্যূ হয়। এতে হিরনের বাবা-মা, আত্মীয়, স্বজন এমনকি জামান সাহেবও খুব কষ্ট অনুভব করেন। সুমাইয়া অসুস্থ হবার পর তার পিতা-মাতার সে যে কি কষ্ট তার বর্ণনা দেয়া সত্যি সুকঠিন।

[b]জামান সাহেব মাদ্রাসার সামনে গিয়ে হর্ণ বাজাতেই হিরন বেরিয়ে আসলো। নিজেই গাড়ির দরজা খুলে সালাম দিয়ে উঠে বসলো। আলাপচারিতার এক পর্যায়ে জামান সাহেব হিরনের হাতের উপর আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেলো। জামান সাহেব হিরনকে আঘাতের কথা জিজ্ঞাসা করা মাত্রই দৃশ্যপটে পরিবর্তন আসে। হিরনের মন খারাপ হয়ে যায়। অবুঝ চোখের পানি টল টল করে পড়তে থাকে। জামান সাহেবেরও মন খারাপ হয়ে উঠে। জামান সাহেব প্রসঙ্গ পরিবর্তন করে। হিরনও কিছুটা সাবাভিক হয়। কিন্তু তাতে কি। জামান সাহেব তার মনকে বুঝাতে না পেরে হিরনকে আবার হাতে আঘাতের কারণ জিজ্ঞাস করেন। হিরন খুব ফর্সা সুন্দর তাই আঘাতের দাগগুলোতে রক্ত জমাট হয়ে আছে বলে মনে হচ্ছে। এবার হিরন কিছুটা স্বাভাবিক ভঙ্গিতে জামান সাহেবের প্রশ্নের জবাব দিল। হিরন বল্ল আমার শরীরের অনেক জায়গায় এমন আরো আঘাতের দাগ আছে। যে অপরাধের জন্যে হিরনের মা তাকে এমন কঠিন শাস্তি দিলেন তাতে স্পষ্টতই জামান সাহেবের মনে হলো লঘু অপরাধে গুরুদণ্ড।

বিষয়: বিবিধ

১৩৯৮ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

292728
০৯ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৭
আফরা লিখেছেন : লেখা ভাল তবে ঘটনা ভাল ভাবে পরিস্কার হয় নাই মানে বুঝতে আরি নাই ।

আরো বেশি বেশি লিখুন ধন্যবাদ ।
০৯ ডিসেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৬
236382
শাহীন কবির লিখেছেন : মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ। মায়ের শাসনের সব কথাই কি বলা যায়।
292748
০৯ ডিসেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:৩৯
তোমার হৃদয় জুড়ে আমি লিখেছেন : খুব ভালো লাগলো পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে
292765
০৯ ডিসেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৭
শাহীন কবির লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
292767
০৯ ডিসেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২০
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : ভালো লাগা রেখে গেলাম।
১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৩:০৮
238225
শাহীন কবির লিখেছেন : ধন্যবাদ
294943
১৬ ডিসেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৫
ইবনে আহমাদ লিখেছেন : চলবে। এমন হলেও চলবে। নিয়মিত চাই। লিখতে হবে। আলহামদুলিল্লাহ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File