‘‘এক দেশে এক শিবির ছিলো’’
লিখেছেন লিখেছেন কিশোর পাশা ২৬ নভেম্বর, ২০১৪, ১১:৪৬:৩০ সকাল
জানো বাবা, এক দেশে এক ‘জামাতশিবির’ ছিলো।
ওরা ছিলো খুউব খুউব ভয়ংকর। বয়স কম হলে কী হবে? ওরা টাইম মেশিন দিয়ে অতীতে গিয়ে যুদ্ধাপরাধ করতে পারতো। আর বর্তমানে এসে সাধু হয়ে যেতো। ওরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের বাসায় ছাত্রীকে তালাবন্ধ করে রেখে শিক্ষককে রাস্তায় ফেলে মেরে ফেলতো। আর জানো? ওদের এত্তো এত্তো শক্তি ছিলো, ওরা পাঁচ হাজার স্কয়ার ফিটের বিশাল বিল্ডিং এর নিচতলার গেট আর খাম্বা নাড়িয়ে বিল্ডিং ফেলে দিতে পারতো। ওদের চলাফেরা, কথাবার্তা এমন ছিলো, দেখে শুধু ‘নাশকতার আশংকা’ হত মানুষের। কিন্তু কোনদিন সেই নাশকতার আশংকা সত্যি হত না। ওদের টেবিলে বই থাকলেও কেমন করে যেন খাটের নিচে রাম দা থাকতো, যেগুলো ঘরে আনার সময় অদৃশ্য করে আনা যেতো, কেউ দেখতো না। আর, কিভাবেই যেন, এতো বাজে কাজ করার পর ওরা পড়ারও সময় পেতো। বছরের পর বছর ধরে ঘরছাড়া হলছাড়া থেকেও প্রত্যেকটা নেতা হয় ডক্টরেট করতো আর না ফার্স্ট ক্লাস পেতো। কি ভয়াবহ, তাই না?
ওরা শুধু পারতো না... কি, জানো?
ওরা পারতো না ওদের ভাইদের জেল থেকে ছাড়িয়ে আনতে, পুলিশের নির্যাতনে একে একে পঙ্গু হয়ে যাচ্ছিলো যারা তাদের একটু ওষুধও পাঠাতে। পারতো না একের পর এক গুম হয়ে যাওয়া ভাইদের এনে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিতে। ওরা পারতো না নিজেদের সহপাঠী, বোনদের নেতাদের মনোরঞ্জনের জন্য রাতের ডিউটি করতে পাঠাতে। পারতো না বদমায়েশীর সেঞ্চুরিয়ান হয়েও সরকারী চাকরী করতে, পারতো না অন্তর্কোন্দলে এক পক্ষ আরেক পক্ষের মাথা ফাটাতে। পারতো না টেন্ডারবাজী, চাঁদাবাজী করতে। ক্যম্পাসে কনসার্টের মাঝে মেয়েদের গায়ে হাত দিতে পারতো না। অথচ, কী বোকা ওরা, মদ গাঁজা মেয়েমানুষ সব ভুলে রাত জেগে ‘জঙ্গী’ হওয়ার ট্রেনিং নিতো। কিন্তু ধরা পড়ার পর সেই জঙ্গী কোরআন-হাদীসের বইগুলা লুকিয়ে ফেলতে পারতো না।
এমন বোকাগাধা হয় দুনিয়ায়?
বাবা, বড় হয়ে এমন শিবির হতে পারবে?
বিষয়: বিবিধ
১১০৪ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
হ্যাঁ ভাই এই না পারার মাঝেই আছে তাদের সফলতা এই না পারার মাঝেই আছে তাদের আকাশ ছোয়ার প্রভুর সান্যিধ্য লাভের গোপন ফর্মুলা।
ধন্যবাদ এমন একটা পোষ্ট দেয়ার জন্য।
মন্তব্য করতে লগইন করুন