★ এসো হে বৈশাখ! ★ •••>>> মানসূর আহমাদ
লিখেছেন লিখেছেন জেলপেন ১৪ এপ্রিল, ২০১৫, ১০:৫৩:১৩ সকাল
____________________
১.
— কি রে! তুই যাবি না?
— না, তোরা চলে যা।
— কেনো?
— এমনিই!
— কি যা তা বলছিস? তুই যাবি না কেনো? সমস্যাটা কী?
— কোনো সমস্যা নেই। তোকে যেতে বলেছি, তুই যা।
— না গেলে ঘাড় ধরে বের করে দিবি নাকি?
— না! ঘাড় ধরে বের করে দেওয়ার প্রশ্ন আসছে কেনো? তোর ভালো লাগলে যাবি, না লাগলে যাবি না।
— ঠিকাছে! - বলে একটি দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো সাবিনা। তারপর হাইহিলের
ঘটঘট আওয়াজ তোলে বেরিয়ে গেলো এলাদের বাসা থেকে।
____________________
২.
আজ পহেলা বৈশাখ! বাংলা নববর্ষ। এ উপলক্ষে শহরে বড় বড় পার্টির আয়োজন করা হয়েছে। আজ যে যাকে ইচ্ছে, রং ছিটিয়ে ইচ্ছেমতো রাঙিয়ে দেবে। বিভিন্ন রকমের দোকান বসিয়ে, মেলা বসিয়ে পান্তা-ইলিশ খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। হুজুগে একটি গরীব জাতি বেহুদা কাজে কতোটুকু খরচ করতে পারে, বাঙালীরা হচ্ছে তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ।
এলা সাবিনার বান্ধবী। একটি পার্টিতে তাদের সব বান্ধবীর যাওয়ার কথা ছিলো। পান্তা-ইলিশ খাওয়ার পর পার্টিতে নাচ গান হবে। নববর্ষ উৎযাপন হবে। সবশেষে থাকবে দর্শক শ্রোতার সম্মিলিত ড্যান্স।
— কি রে! এলা আসে নি? -প্রশ্ন করলো মোহনা।
— না, সে আসবে না।
— আচ্ছা, সমস্যা নেই। চল আমরা যাই।
স্টেজে উদ্দাম নাচ হচ্ছে। শুভ্র বসনা তিনজন বাজনার তালে তালে নাচছে। মাঝের মেয়েটির গলায় লাল কলার। সে মনে হয় তাদের নেত্রী। নাচ শেষ হতেই হাততালিতে মুখরিত হয়ে ওঠলো হলঘর। এরপর অনেক রাত পর্যন্ত ধারাবাহিক নাচ গান চললো। সম্মিলিত ড্যান্সের একপর্যায়ে হলঘরের সব লাইট নিভে গেলো। মেয়েরা চিৎকার করে ওঠলো।
____________________
৩.
মিলি লজ্জায় আত্মহত্যা করেছে। গতকাল সম্মিলিত ড্যান্সের সময়
লাইট নিভে যাওয়ার পর ছেলেরা তাকে
আক্রমণ করেছিলো। ওই রাতে ছেলেগুলো মিলি আর আরেকটি
মেয়েকে ধর্ষণ করে। ওই মেয়েটি
আত্মহত্যা করে নি। তবে সে পাগলের মতো হয়ে গেছে। উষ্কখুষ্ক চুল নিয়ে বাগানে হাঁটাহাঁটি করে। বাড়ি থেকে বের হয় না। পুরুষ মানুষ দেখলেই ভয়ে কুঁকড়ে যায়। তার ভাইকে দেখলেও চমকে ওঠে।
____________________
৪.
এলা সেই আগের মতোই আছে। বান্ধবীদের এসব ঘটনা তাকে স্পর্শ করতে পারছে না। সাবিনা কেমন যেনো নিরব হয়ে গেছে। তাকে আর আগের মতো উচ্ছল দেখা যায় না। সারাক্ষণ একা একা বসে থাকে। পৃথিবীর কোনো কিছু তার আর ভালো লাগে না। কোনো পার্টিতে যায় না। চারিদিকে কেমন যেনো এক বিষাদমাখা পরিবেশ।
____________________
৫.
বাঙালি সংস্কৃতির নামে এসব হিন্দুয়ানী
অপসংস্কৃতির কারণে আজ হাজার
হাজার মা বোন তাদের সতীত্ব হারাচ্ছে। কেউ করছে বিষপান। করছে
আত্মহত্যা! কেউ লজ্জায় সমাজে মুখ দেখাতে পারছে না। আগামী দিনের কাণ্ডারী যারা, সেই যুবকেরা হচ্ছে? চরিত্রহীন। কলুষতায় ভরে যাচ্ছে সমাজ!
আসুন- আমরা এসব কুসংস্কৃতি এবং
অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই!
আল্লাহ আমাদেরে তাওফীক দিন! আমীন!
বিষয়: বিবিধ
১৩৮৪ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমিও আমার বোনদেরকে নিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রায় নিয়ে যেতে ভয় পাই ৷ শেষে সম্ভ্রম নিয়ে ফিরতে পারবো কিনা এই আশঙ্কায় ৷
ভেরার পাল এর মত তথাকথিত ফ্যাশন এর দিকেই ছুটে যায়।
আমরা কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে ইসলামী নববর্ষ পালন করছি । এবার আমরা ১৫ অক্টোবর ২০১৫ খৃস্টাব্দ মোতাবেক ১ লা মহররম ১৪৩৭ হিজরী তারিখ ইসলামী নববর্ষ পালন করবো । আশা করি আপনারাও আমাদরে সাথে একাত্মতা ঘোষনা করে নিজেদের ইমান ও আমলকে সুদৃঢ় করার পাশাপাশি দুনিয়া ও আখিরাতের কামিয়াবী হাসিল করবেন । বিস্তারিত জানার জন্য আমার এই লেখাটা পড়ুন : http://www.today-bd.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/63998#.VSySy_D4bCA
সবাইকে ধন্যবাদ!
মন্তব্য করতে লগইন করুন