গুলশান হত্যায় সাপোর্ট করা ফেসবুকার(এরকম আরো আছে)

লিখেছেন লিখেছেন নারী ০৩ জুলাই, ২০১৬, ০৫:২৭:১১ বিকাল







আমাকে রিকোয়েস্ট পাঠানোর মধ্যে একজন যিনি তার লাস্ট পোস্টে এই হত্যার গভীর ভাবে সমর্থন করেছেন এবং বলছেন তাদেন জঙ্গি বলছেন তারাই সাচ্চা মুসলমান।

কোরআনের অনেক আয়াত নিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা যে তাদের হত্যা মুসলমানদের কাজ অথচ তার উল্লেখ্য কিছু আয়াতেই বলা আছে তারা হত্যা করতে আসলে তোমরাও তাদের হত্যা করবে।নিজ থেকে হত্যা করতে মানা করেছে।

এবং ইসলামের ব্যাপারে জোরিজোরি করতে নিষেধ করেছে।

কোরআনে এই যুগ,নবীজিদের যুগ আগে পরে ঘটনার অবলম্বে সুরা আছে।কোনো সূরা সম্পূর্ণ না বুঝে,আগে পরে না পড়ে,কখনকার কথা বুঝিয়েছে সেটা না বুঝে দুই একটি আয়াত দিয়ে মুসলিমদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা।

এমন যদি বলি,There is no god..

এখানে But Allah ধরলাম না তাহলে কি হবে?

সূরার প্রথম আয়াতে ঈশ্বর বলতে কেউ নেই বলেছে আর কি লাগে।আর বাকিটুকু দেখার প্রয়োজন নেই।তার মানে ঈশ্বর বলতে কেউ নেই চালিয়ে গেলাম।

ঠিক এভাবেই তারা করছে ইসলামকে ধ্বংশ।অমুসলিমরা ইসলাম ধর্মকে ঘৃণা করার শুরু করে।

সুন্নি শিয়া যেমনটা মুসলমান ভাগাভাগি শুরু করলো,

তেমনটা হচ্ছে বর্তমানে জিহাদি এবং দাওয়াতী।

অমুসলিমরা তো অবাক হবেই।তারা ভাবে মুসলিমরাই বলে ধর্মের ব্যাপারে কারো সাথে জোরাজোরি করা নিষেধ আবার তারাই বলে মানলে হত্যা করো।মানুষকে বিভ্রান্ত করে এরা মুসলিমদেরও নাস্তিক বানিয়ে ফেলছে।

তার যুক্তি এবং সন্ত্রাসীদের সমর্থন দেখে থতমত খেলাম।

এই ধরনের মানুষদের বের করেই মারা উচিত।কোন দিন এরাও যোগ দিয়ে হামলা করে তা বলা যায় না।

আইডি লিংক- https://m.facebook.com/miju.miju.184

এদের ব্যবস্থা করি উচিত।

বিষয়: বিবিধ

১৬০২ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

373846
০৩ জুলাই ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:২২
মোস্তাফিজুর রহমান লিখেছেন : বানান রীতির দিকে লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন উনি হিজবুত তাওহীদের পান্না'র অনুসারী।
০৩ জুলাই ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:২৫
310225
নারী লিখেছেন : তাও হতে পারে।
এদের কি করা উচিত?
373847
০৩ জুলাই ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:২৫
শফিউর রহমান লিখেছেন : এরা পুরাই পাগল। কোন সময়ের আয়াতকে কোথায় ব্যাবহার করছে। এদের না আছে ইসলামের জ্ঞান আর না আছে জাগতিক জ্ঞান। কুরআনের আয়াতগুলোকে কিভাবে ভুল ব্যাখ্যা করে ভুল জায়গায় প্রয়োগ করলো।
এরা হয়তো নিজেরা অজ্ঞ, অথবা পরিকল্পিতভাবে তাদেরকে অজ্ঞ বানিয়ে ফায়দা হাসিল করা হচ্ছে তাদেরকে ব্যাবহার করে।
দুনিয়ার অন্য ধর্মাবলম্বীদেরকে ধরে ধরে হত্যা করতে হবে কোন কারণ ছাড়া? যে আয়অতগুলোর উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলো যুদ্ধক্ষেত্রের কথা, যারা সরাসরি মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ তাদের জীবন অতিবাহিত করছে তাদের মতো করে। কে বলেছে কুরআন বলছে তাদেরকে ধরে ধরে হত্যা করো, গলা কাট, অথবা বোমা মেরে উড়িয়ে দাও?
কত বড় সাংঘাতিক অপব্যাখ্যা কোরানের বিরুদ্ধে!!!
০৩ জুলাই ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:৩০
310226
নারী লিখেছেন : একদম ঠিক বলেছেন
সহমত।এটাই বুঝিয়য়েছি।কিন্তু এরা যে ববাকিদের বিভ্রান্ত করছে সেটা কি করা হবে?
373848
০৩ জুলাই ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:৪২
শফিউর রহমান লিখেছেন : একটাই উপায়ঃ
এদেরকে সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করা।
কোথায় থেকে এরা শিক্ষা গ্রহণ করছে? যেখান থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেছে সেখানে সঠিক ইসলামী শিক্ষা দেয়া হোক, তাহলেই সমাধান।
০৩ জুলাই ২০১৬ রাত ০৯:৫৮
310237
নারী লিখেছেন : কথা হচ্ছে এরা তো শিক্ষা গ্রহণ করতে চায় না।নিজেদেরই শিক্ষক ভাবে।
০৯ জুলাই ২০১৬ দুপুর ১২:২০
310474
শফিউর রহমান লিখেছেন : স্কুল লেভেল থেকে যদি ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা এবং এর উদ্দেশ্য সম্পর্কে যদি বাচ্চাদের শিক্ষা দেয়া হয় তাহলে তারা চিনবে প্রকৃতপক্ষে ইসলাম কি এবং কি চায়। তাহলে তাদেরকে সহজে কেউ বিভ্রান্ত করতে পারবে না খোঁড়া ব্যাখ্যা দিয়ে।
১০ জানুয়ারি ২০১৭ রাত ১২:৫৭
315332
নারী লিখেছেন : সন্তানের জন্য সব চেয়ে বড় স্কুল হলো পরিবার
373850
০৩ জুলাই ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:৫৭
হতভাগা লিখেছেন : এরা ইসলামের আয়াতকে ব্যবহার করে নিজেদের ইচ্ছানুসারে ব্যাখ্যা করে । মূলত আক্রান্ত না হলে মুসলমানেরা কারও উপর আঘাত করে না শুধু শুধু ।
০৩ জুলাই ২০১৬ রাত ১০:০১
310238
নারী লিখেছেন : তাও ঠিক Worried Worried
373861
০৩ জুলাই ২০১৬ রাত ১১:৫২
আব্দুল গাফফার লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ
০৪ জুলাই ২০১৬ রাত ১২:৪৪
310243
নারী লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ
373887
০৪ জুলাই ২০১৬ রাত ০১:২২
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : এই ধরনের পোষ্ট অনেক শাহবাগিই দেয়!!!
০৪ জুলাই ২০১৬ রাত ০৩:০৭
310266
নারী লিখেছেন : শাহবাগি বা হিজবুত যেই হোক মানুষদের তো ঠিকই বিভ্রান্ত করছে
376388
১৭ আগস্ট ২০১৬ সকাল ১০:১২
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : আমি বুঝতে পারছিনা আমার কি করা উচিত তাই বাধ্য হয়ে সাহায্য চাওয়া। প্লিজ আপু যদি সম্ভব হয় সাহায্য করবেন। যাহরাহ এর বাবা ইসলামকে গুরুত্ব দেননা, গতানুগতিক জীবন তার। পারিবারিক কলহের জন্য যাহরাহ এর চাচাদের সাথে সম্পর্ক নেই। মামা,খালা-খালু অর্থাৎ মায়ের দিকের আত্নীয়রা অধিকাংশই ব্যাংকার। মামা, খালারা নিত্যনতুন ব্যাংকার ছেলের প্রস্তাব নিয়ে হাজির হয় যাহরাহ এর বাবার কাছে। যাহরাহ তার বাবাকে বোঝাতে পারেনা যে, সুদ রিলেটেড কাজকর্ম কত জঘন্য ব্যাপার, আর ইসলামের দৃষ্টিতে কত ভয়ানক। "আরে এত ইসলাম মেনে এই যুগে চলা যায় নাকি? সরকারী ব্যাংকার ছেলের পাওয়ার, টাকা পয়সা, পরিচিতি কোনটার অভাব? জীবনে টাকা পয়সা ছাড়া চলা যায় নাকি? এমন ভাবেই তার বাবা ভাবেন।" সপ্তাহখানেক আগেই বাবা তাকে এক ব্যাংকার পাত্রকে দেখানোর জন্য বাধ্য করেই নিয়ে যায়। আমাকে বলল, কি করণীয়? বলেছিলাম, নিকাব পরে যেতে। যদি বরের পুরুষ কোন আত্নীয়-স্বজন সাথে আসে তবে তাদের সরাসরি বলতে যে, ইসলাম এটা এলাউ করেনা যে, আপনাদের সামনে আমি মুখ খুলব আর আপনারা আমাকে দেখবেন, তাই আমি শুধু বরের সামনে মুখ খুলতে রাজি আছি। বর যখন তোমার সাথে কথা বলতে চাইবে বা মুখ খুলতে বলবে, তখন বরকে বলবে, "নেকাব খোলার আগে আমার কিছু কথা আছে। আমার আপনার ব্যাংক জব নিয়ে আপত্তি আছে। দেখেন আল্লাহ বলেছেন, যারা সুদের পক্ষ অবলম্বণ করে তারা যেন আল্লাহ ও তার রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নেয়। সুদের দ্বারা ৭০টির বেশি গুনাহ হয় তার মাঝে নিম্নতম গুনাহ হল নিজ মায়ের সাথে ব্যভিচার। সুদ দাতা, সুদ গ্রহীতা, সুদের লেখক ও তার সাক্ষী সকলেই সমান অপরাধী এবং জাহান্নাম তাদের আবাস। নামাজ কবুলের ফরজ হল-পবিত্র শরীর, পবিত্র কাপড়, পবিত্র নামাজের স্হান, পবিত্র কাপড় দ্বারা সতর ঢাকা। কিন্তু ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত হল হালাল ইনকাম। হারাম ইনকামের টাকায় কেনা খাবারে যে শরীর গড়ে ওঠে তা অপবিত্র ও হারাম, যে কাপড় কেনা হয় তা অপবিত্র ও হারাম, যে ঘর তৈরী করা হয় সেই জায়গাও অপবিত্র সেই জায়গায় নামাজও হারাম। তাই আপনার সুদের সাথে জড়িত থেকে আপনার নামাজ, রোজা, হজ্জ কোন ইবাদতই কবুল হবেনা। আপনার সাথে আমার বিয়ে হলে আমিও আপনার হারাম উপার্জনের ভাগিদার, হারাম ভক্ষণকারীণী হব, জাহান্নামের আগুন আমার জন্যও বৈধ হয়ে যাবে। তাই আমি রাজি হতে পারছিনা।"
আমি জানতাম ও পারবে কারণ ওর যে পরিমাণ সাহস তা আজকালকার দীনি ছেলেদের মাঝেও খুব কম দেখা যায়। আর ও সত্যি সত্যি বরের সামনে আর তার ফ্যামিলির সামনে আমার কথাগুলো মুখস্ত বলে গেছে। পাত্র তার মা বাবা আর চাচা, ভাইকে নিয়ে আসছিল ওকে দেখার জন্য। পরে ওকে পাত্রও নেকাব খুলতে বলার সাহস পায়নি তারা চলে গেছে। এরপর থেকেই যাহরাহ এর বাবা ওর উপর মারাত্নক রেগে গেছে। আর রাগটা এমন পর্যায়ের যে তার চিন্তাভাবনা এমন হয়ে দাড়িয়েছে, আমি তোকে চরম শিক্ষা দিব। আমি তোকে ব্যাংকার পাত্রের সাথেই বিয়ে দিব দেখি তুই কি করতে পারিস? তার মামা, খালা, খালুরাও কাজে লেগে গেছে। এবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ছেলে ঠিক করা হয়েছে। তার খালাও এমন কিছু পাত্র নিয়ে হাজির হয়েছে। আমি আমার পরিচিত মানুষজনের কাছে বেশ কিছুদিনব যাবত দীনি পাত্রের ব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছি কিন্তু এখন পর্যন্ত পাইনি। যাদের পাই সবাই গতানুগতিক। ভাল চেহারা, ভাল চাকরি এখন সুন্দর বউ চাই। দীনি পাত্র দাবিদার একজন দুজন পেলেও তারাও ইসলামের নানান অনুষঙ্গ পালনে অজুহাত পেশ করে। আবার অন্যরা একদম বেকার। জানিনা কি হতে যাচ্ছে? যেন তামাশা হচ্ছে। যাহরাহ দীনের ব্যাপারে খুবই কড়া। ইসলামের এটা মানছি কিন্তু ওটা মানতে রাজিনা- এমন ব্যাপারগুলো সে মানতে রাজিনা। দীনি পাত্র বলতে সে দীনি ছেলেই মিন করে, যারা অজুহাত পেশ করেনা। আপনার পরিচিতদের মাঝে এমন কেউ কি আছে, যে দীনি,হালাল ইনকাম করেন আর দীনি পাত্রী খুঁজছেন? যাহরাহ বিবিএ ২য় বর্ষের ছাত্রী, চট্টগ্রামের স্হানীয়।
১০ জানুয়ারি ২০১৭ রাত ১২:৫৬
315331
নারী লিখেছেন : কেমন আছেন আপনি?
ব্লগিং করা ছেড়ে দিয়েছি বলে আসা হয়নি
খোঁজ খবর নিতে পারিনি

যাই হোক পাত্র খুঁজছেন যাহরার জন্য
আমাকে অনেক আগে একজন পাত্রী
পেয়েছিলেন
সেও দীনই, ছাত্রীয় এমন চাচ্ছে।
সে এক রকম ডক্টর।পারমেসিতে বসে।
তার সাথে কি কথা বলব?

যেহেতু অনেক মাস হয়ে গেছে।পাত্র পেয়েছে কি পায়নি তা জানিনা।
জানাবেন।
ধন্যবাদ
১২ জানুয়ারি ২০১৭ দুপুর ০১:০২
315356
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : ব্লগিং আমিও একরকম ছেড়ে দিয়েছি অনেকদিন পর বসা। আপু কোনভাবে কি ঠিকানায় পাত্রের বায়োডাটা দেয়া যায়? আমার মন্তব্যটা মুছে দিবেন যেহেতু মেইল আইডি দিয়েছি।
384541
০৮ ডিসেম্বর ২০১৭ রাত ১২:৩৩
মনসুর আহামেদ লিখেছেন : ঘুম ভাঙাতে চাই ,আপু, আপনি খুব ভাল লিখেন, কোরান ও সূন্নাহ সম্পর্কে ভাল সঠিক জ্ঞান রয়েছে। http://islamisomaj.org/ আমি বাংলাদেশের বাহিরে থাকি , ওনাদের সূধী। ওনারা আপনার চিন্তার কাছাকাছি। সারা পৃথিবী সূদ ব্যবস্থায় চলে। আমরা সমাজ বদলানোর জন্য কি করতে পারি।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File