ফ্রিয় দেশ-নোয়াখালী (ফ্রতিযোগিতা)
লিখেছেন লিখেছেন নারী ১৫ জুন, ২০১৫, ০৯:৪৭:৩১ রাত
খালের দেশ নোয়াখালি।নতুন খালের লই নোয়াখালীর উৎহত্তি।আগে নাম ছিল ভুলুয়া।
এবার কাহিনি কই,
এক নদীর মইদ্যে অনেক ডাকাতি অইত।নদীর নাম ডাকাতিয়া নদী।হে নদীর হানিতে ভুলুয়ার উত্তর-পূর্বমুই বইন্যা অই হসল জমি-জমার মেলা
ক্ষতি অইচিলো।এই হরিস্তিতির তুইন বাইচবার লাই ১৬৬০ হালে এক্কান মেলা বড্ডা খান বানাইল।এই খাল ডাকাতিয়া নদী অই রামগঞ্জ,সোনাইমুড়ি আর চমুনি অই মেঘনা আর ফেনী নদীর দিকে সলিগেসে।
এর হর দরি আঙ্গো বাষায় কইত নোয়াখাল(নতুন খাল)।বেডা বেডি ব্যাকের মুকে কইতে কইতে অন ব্যাকে কয় নোয়াখালী।
ছোড থাইকতে হাইজলামী করি হোলাহাইন মিলি চাইর লাইনের ছড়া কইতাম,
“আঙ্গো বাড়ি নোয়াখালী
যাইতে লাগে রেলগাড়ি,
রেলগাড়ির চাক্কা
হোন্দে মারি দাক্কা”
অন আর রেলগাড়ি দি আন আগেনা।মেগনা নদীর উরফে দি আন যায়।
আঁর ফ্রিয় দেশ নোয়াখালী আঁই ইয়ানে জন্মগ্রহণ কইচ্ছি।ল্যাদা কাল দরি ছোডকাল আঁই ইয়ানে কাডাইসি।বাফের চাকরি ডাকায় দিসিল এরলাই ডাকায় সলি আইসিলাম।নইলে হিয়ানেই থাইক্তাম।আঁর নানার বাড়ি সোমুনির কাসেদি।আর দাদার বাড়ি মাইজদি।আন্নেরা সোমুনির নাম না হুইনলেও মাইজদির নাম মনে অয় ব্যাকে ইনসেন।“ইন্নালিল্লা মাইজদির বাস!”
আঁই মাইজদির তুন সোমুনির সাইডেদি বেশি আছিলাম।নানার বাড়িত।চোরাস্তার কাসেদি বাসা।এই চোরস্তার এক মুই চমুনি,এক মুই মাইজদি,এক মুই লক্ষীহুর আর আরেকমুই ডাকা যায়।
আঙ্গো নোয়াখালীত গুরার যায়গা আসে।কাসেদিই সোনাইমুড়ি।হিয়ানে আসে বজ্রা মসজিদ।ব্যাকে কয় জ্বিনেরা বজ্রা মসজিদ বানাইসে।
নিঝুম দ্বীপ,আরেকখান।বল্লার চর,কমলার চর,চর ওসমান,চর মুরি এই চাইরখান দ্বীপ আরো কিছু ছোড চর লই ১৯৫০ হালের সময় অয়।নোয়াখালীর হাতিয়ার কাসেদি।অন এই এলাকায় হাঁচ হাজারের মত হরিন আর গাছে গাছে ভরা।২০০১ হালে বাংলাদেশ সরকার নিঝুম দ্বীপের বনরে জাতীয় উদ্দান কইয়া গোষনা দিছিল।আন্নেগো আইতে মুন চাইলে নোয়াখালী চলি আইয়েন।
সোনাইমুড়িতে একখান জাদুগর আসে নাম আমিন গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর ।আঙ্গো নোয়াখালীর বীর,বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল আমিন।১৯৩৪ হালের জুন মাসে নোয়াখালী জেলার সাবেক বেগমগঞ্জ থানার অন সোনাইমুড়ী উপজেলার বাগপাদুরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।হেতে নৌবাহিনীতে যোগ দেন ১৯৫৩ হালে। ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে মোহাম্মদ রুহুল আমিন হলাই পিএনএস বখতিয়ার নৌঘাঁটি ত্যাগ করি সীমান্ত হাড়ি দি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়।নোয়াখালী শহররের তুন ২০ কিলোমিটার দূরে সোনাইমুড়ী উপজেলা।হিয়ান তুন সাত কিলোমিটার হইচ্চিম মুই বাগপাঁচড়া গ্রামকে ব্যাকে আমিননগর নামেই চিনে।
গান্দী আশ্রম এডার নাম তো হুইনছেন।ইগাও সোনাইমুড়িতে।জমিদার প্রয়াত ব্যারিস্টার হেমন্ত কুমার ঘোষের বাড়িতে গান্ধী আশ্রম স্থাপিত অয়।শান্তি মিশনের অগ্রদূত অই নোয়াখালীতে ছুডি আইয়ে সহযোগ ও অহিংস আন্দোলনের পুরোধা মহাত্মা গান্ধী।হেতে প্রথম চমুনি রেলইস্টিশনে ১৯৪৬ হালের ৭ নভেম্বর নোয়াখালীর মাডিত হারা দেন।
আন আঁই সবচেয়ে মুল বিষয় নোয়াখালীর ভাষা,এইডা লই কিছু কই।যত যাই কন আঙ্গো বাষার মত সন্দর বাষা নাই।আঙ্গো বাষা হুইনলে মাইনসে কিসন্দর আশি দেয়।আঙ্গো মত কেউ এরুম আশাইতে হাইত্তনো।
কত মাইনসে হাগল আঙ্গো বাষা শিকবারলাই।অনেক মাইনসে মনে করে 'প' রে হ কই।আসলে এই কতা হুরাহুরি সত্য ন।আমরা পেঁপেঁ রে হেহে কইনা কই "হাবিয়া"
বেশির বাগ প রে হ কই কিন্তু বেগ্গিন না।
লালশাকরেও লালহাক কই না কই "ডুল্লা" শাক
আঙ্গো নোয়াখালীতে আন্নেগো দাওয়াত।
একদিন সময়ে তাড়াতাড়ি লিখলাম।চেষ্টা করলাম লিখার।ধন্যবাদ।বেশি বিস্তারিত লিখতে না পারায় দুঃখিত।
বিষয়: বিবিধ
২৯৯০ বার পঠিত, ৭৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আর চান্দের উপর ও নাকি আন্নেগো দেশি মানুষ মিলে!
হুদাই।
গান্ধিজি আঙ্গোলাই তো ছাগল আনে নো
আর ইজাও একখান প্রচলিত
কথা
চাঁদে ফাড়া দেয় নো।চাঁদে গেলেও হান যাইব।
দীর্গদিন বাচি থান
@ জারীর ভাই।
আই নিজেও কনফিউজড অই যাই।
কদিন হর হর দিলে কেউ হইড়ত নো
ব্যাকে বুজেও না
সবাইকেই ভালো পান দোয়া করি
নোয়াখালী আন্নার হ্রিয় দেশ নি?
কিয়া কন, আঙ্গো দেশত্তুন জুদা হই যাইতেন চান?
আন্নার ফ্রিয় জেলারা দেশ ক’ন কিল্লাই?
বাংলাদেশের একখান খন্ড দেশ(জেলা)
দইন্যবাদ
আচ্ছা আমি তোমাকে ভালোবাসি,, নখালির ভাষায় ট্রান্সেলট প্লিজ
নখাইল্যা হ্যাচ দিচি
নখাইল্যা হ্যাচ দিচি
সরম পাইছি পাবলিক প্রেসে এসবকি
হাপনারে ধন্যবাদ দিয়া বড় লোক করুম না
আমার বাড়ী ঝিনাইদাহ কিন্তু শ্বশুড় বাড়ী রামগন্জ ( পুরাতন নোয়াখালী)
নোয়াখালী ভাষা হইড়তে এবং হুইনতে থাকেন
তয় খুশি হইলাম যে আর অবদানে একখান নদীর নাম অইছে...
মন্তব্য করতে লগইন করুন