নারীরা পর্দা করেনা তাই ধর্ষিত হয়,পর্দা করে ধর্ষিত হলে বলবেন ঘর থকে বের হয় বলে,ঘরে ধর্ষিত হলে বলবেন নারীজাতি আছে বলে!!
লিখেছেন লিখেছেন নারী ২২ এপ্রিল, ২০১৫, ১১:০৬:৫৬ সকাল
এই কয়েকদিনের সবচেয়ে বেশি আলোচিত বিষয় হচ্ছে নববর্ষের নারীদের বস্ত্রহরন/যৌন নির্যাতন। নববর্ষের দ্বিতীয় দিনই শুনলাম এই এই কাহিনি।ফেসবুক,ব্লগ,টিভি সন খানে তোলপাড়। প্রথমে যখন ছবি দেখলাম আমি কেঁদে দিয়েছি। আমার স্বামী আমাকে সামলালো । কিছু মানুষ নারীদের পক্ষে কথা বলছে। আর অনেকেই বলছে বিপক্ষে। কিছু মানুষের কথা শুনে মনে হচ্ছে যেন নারীরাই তাদের জোর করে করিয়েছে। কিছু মানুষের মন্তব্য শুনে আমার ঘেন্না লাগলো। তাদের কথা হলো মেয়েরা এমনভাবে চলেছে যার কারনে ছেলেরা এমন করেছে। তারা ঠিক করেছে। যেমন কর্ম তেমন ফল।
এক্সকিউজ মি ভাইয়ারা,যারা এমন বলছেন!
না জেনেই ঢিল ছুড়া কি বোকামি নয়?আপনাদের কাছে হয়ত কিছু তরুণীদের খবরই পৌছেছে। সেখানে শুধু তরুণী নয়,বিবাহিত মহিলা,বাচ্চার মাও পর্যন্ত ঐ যুবকদের নির্যাতনে শিকার হয়েছে।
আপনাদের কথা তরুণীরা উশৃঙ্খল পোশাক পরলে ছেলেরা তো এই রকম করবেই?...মানলাম তরুণীরা এই ধরনের চলাফেরার কারণে তাদের যৌন আকাঙ্ক্ষা বেড়ে যায়। তাহলে মা বয়সি মহিলারা কি করল? তাদের দেখলেও কি যৌন আকাঙ্ক্ষা বাড়ে?নাকি তারাও উশৃঙ্খল চলছে? নিচে ভিডিও আছে। দেখে নিন।
নারীদের হিজাব অবশ্যক সেটা আমিও মানি। ইসলামে নারীদের হিজাবের(পর্দা) কথা বলা হয়েছে। আর হিজাব না পরলে কি ধর্ষণ করতে বলা হয়েছে?না? ইসলামে নারীদের পর্দা করতে বলা হয়েছে নিশ্চয়ই আর পুরুষদের বলা হয়েছে তাদের নিরাপদ রাখতে।ধর্ষণ করতে নয়! কিন্তু আপনারা তো একলা নারীদের উপরই দোষ দিচ্ছেন।মেয়েরা এমন বলে আজ এই অবস্থা। কেন?হিজাবি নারীরা কি ধর্ষিত হচ্ছে না?
সৌদি আরব এবং অনান্য মুসলিম দেশগুলোতে কি বেশির ভাগ মেয়েরা হিজাব পরে না?তারাও তো ধর্ষিত হচ্ছে?
ভিডিওতে কালো বোরকা পরা এক মহিলা এক যুবককে থাপ্পড় দিচ্ছে,
আরেক মহিলার সাথে তার বাচ্চা ছিল। বাচ্চাটাকে সরিয়ে মহিলার উপর যৌন নির্যাতন চালাচ্ছে।সে বার বার বলছিল তার সাথে বাচ্চা আছে।
আরেক জায়গায় বৌকে রিক্সা থেকে নামিয়ে নির্যাতন।স্বামী বেচারা চেষ্টা করেও কিছু করতে পারছে না।
এগুলোকে কি বলবেন?সব নারীদের দোষ?
এক্সকিউজ মি কিছু ভাইয়ারা!যারা পর্দা ছাড়াও বলছেন নারীরা ঘর থেকে বের হয় বলে এরকম হচ্ছে ।নারীরা ঘরে থাকাই ভালো"
সব নারীদের ঘরেই বসিয়ে রাখা হলো। আপনাদের কি মনে হয় পুরুষরাও বাহরে বসে থাকবে?ঘরে এসে কিছু করবে না?
হা হা হা...ভালোই রসিকতা হলো। আপনাদের কথা শুনলে মনে হয় আপনারা পৃথিবীর বাহিরে থাকেন। না হয় ঘটনার সময় কান বন্ধ করে রাখেন।
যুগ যুগ ধরেই দেখে আসছে সবাই,গৃহবধু ধর্ষণ,স্বামীকে আটকিয়ে রেখে ধর্ষণ,মা মেয়েকে ধর্ষণ করেছে।সব গৃহেই। সে আর নতুন?তখনকার সময়ও কি নারীরা উশৃংখল ছিল?
নারীরা পর্দা করেনা তাই ধর্ষিত হয়,পর্দা করে ধর্ষিত হলে বলবেন ঘর থকে বের হয় বলে,ঘরে ধর্ষিত হলে বলবেন নারীজাতি আছে বলে!! পাইছেনটা কি?
আসলে নারীদেরই দোষ। জন্মের দোষ।
পৃথিবীতে কোনো স্থানই নারীদের জন্য নিরাপদ নয়। হোক সেটা ঘরে বা বাহিরে।
হ্যাঁ বর্তমানে অনেক লুইচ্চা মেয়ে আছে তাই বলে সারাক্ষণ লুইচ্চা লুইচ্চা বলে নিজেকে লুইচ্চা বানানোর কি খবই দরকার?
কিছু ভাইয়া,যারা মেয়েদের পক্ষে কথা বলেছেন,যারা এরকম করল তাদের বোনকে এরকম করলে তখন তাদের কেমন লাগবে?
ভাইয়ারা?এসব কথা বলে কোনো লাভ নেই। ন্যায় হলেও।অন্য জন কেন? তারা হিংস্র হলে নিজের বোনকেও ধর্ষণ করতে দেরি করবে না।তাদের চোখে কোনো বোন নেই। সব নারীই তাদের ধর্ষিতা।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে ধিক্কার শব্দটি হাস্যকর লাগে।অপরাধিদের ধিক্কার জানিয়ে কি তাদের অপরাধ প্রবণতা কবে যাবে?নাকি যার ক্ষতি হলো তার ক্ষায় পূরণ হবে?
সব চেয়ে বড় দোষ হলো এই দেশের আইন ব্যবস্থা।কিসের আইন ব্যবস্থা?এদেশে কি কোনো আইন আছে নাকি?
পুলিশ ,মন্ত্রি,এই ঐ বলে আসামীদের খুঁজে কঠোর শাস্তি ব্যবস্থা করবে। কিসের কঠোর শস্তি? সকলের সামনে তাদের যৌনাঙ্গ কেঁটে মৃত্যুদন্ড দেওয়া উচিত।
সৌদি আরবের চেয়েও কঠোর আইন দরকার এদেশের। নাহলে জাতি অজাতিই থেকে যাবে।
দুই মন্ত্রিকেই বলছি(যদিও কেউই আমার পোস্ট পড়বে না) আপনারা হয় দেশে কঠোর আইন করুন নাহয় ক্ষমতা ছেড়ে দিন।আপনাদের জন্য মানুষেরে মধ্যে সংঘর্ষে প্রাণ যাচ্ছে হাজারও মানুষের।
বিষয়: বিবিধ
১৫৬১ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জ্বি।কোরয়ানেই দেওয়া আছে অপরাধির মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত তাকে আটকিয়ে রাখতে।
আপনার মতে যেটা সেটাই বলুন।
এক্সকিউজ মি কিছু আপুরা! বাংলাদেশের রাজনীতি ও শিক্ষানীতি আজ অমানুষদের জন্ম দিচ্ছে, যেমন অমানুষ ছেলে জন্ম দিচ্ছে তেমন অমানুষ মেয়েও জন্ম দিচ্ছে। এদের পরিবর্তন করতে হলে রাজনীতি ও শিক্ষানীতি দুটোই পরিবর্তন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভালো মানুষদের জায়গা হয় না, অধিকাংশ কূলটা ও বেজন্মারাই ভার্সিটি গুলো দখল করে আছে, ক্ষমতাশীনরা তাদের সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে, তাই ভালো কেউ সেখানে গেলে তারাও অমানুষ হয়েই বের হচ্ছে। আমার এই কথাগুলো কারাে অজানা নয়।
এক্সকিউজ মি কিছু আপুরা। বাঙ্গালী সংস্কৃতির নামে হিন্দুয়ানা আয়োজন, সবাই জেনেও সেদিন ঘর দেখে বের হয়, কেউ বোরকা, কেউ জিন্স, কেউ বা সেলোয়ার কামিজ, কেউ শাড়ী, কেউ পায়জামা পাঞ্জাবী, কেউ স্যুট টাই, কেউবা আবার লূঙ্গী পড়ে বের হয়। বাংলাদেশের প্রশিদ্ধ TSC নামক জায়গাটিতে মহিলাদের বিশেষ করে ঐদিন না যাওয়াই যুক্তিগত করণ।
হোক সে মা, বোন, স্ত্রী, কন্যা বা অন্য কেউ, হোক সে বোরকা, সেলোয়ার কামিজ কিংবা জিন্স পরিহতা। কারণ হিন্দুয়ানা উৎসবে নিকৃষ্ট জায়গায়টিতে কি মহিলাদের যাওয়া উচিৎ?
আমি বলছি না যে, ঘরে থাকলে ধর্ষিতা হবে না। তাই বলে আমি বাহাদুর একথা প্রমাণ করার জন্য কি বাঘের সামনে গিয়ে দাড়িয়ে থাকবো?
আপনার লিখা দ্বারা আপনি কি বুঝাতে চাচ্ছেন আমি বুঝি নাই। ধন্যবাদ।
জাযাকাল্লাহ খাইর
আমি লিখা দ্বারা কি বুঝাতে চাচ্ছি তা আমি বার বারই বলছিলাম।একলা নারীদের দোষ দেওয়ার কারণে।
কোনো নারীই বাহাদুরি প্রমান করতে বাঘের সামনে যায় না।আর আমি এটা বলিনি।না বলছি বাঘের সামনে যেতে।
তাছাড়া কাদের উল্লেখ্য করে লিখেছি তাও লিখেছি।
আর বেশির ভাগ মানুষ যেনে নয়।না জেনেই যাচ্ছে।আমি নিজেও জানতাম না যে এটা হিন্দুদের উৎসব।তাদের এক ধরনের পুজা। ব্লগ ফেসবুক থেকে জানলাম।ইভেন আমার পরিবারের কাউকে জিজ্ঞেস করলে তারাও বলবে জানেনা।
হিন্দুয়ানা সংস্কৃতিতে নারী কি,পুরুষেরও যাওয়া উচিত নয়।
আপনি আমার কথা ভুল বুঝেছেন।
ভালো থাকবেন।
১.http://www.monitorbd.net/blog/blogdetail/detail/3557/warrior2013/64167#.VTdu1tjfSTo
২. http://www.monitorbd.net/blog/blogdetail/detail/3557/warrior2013/64084#.VTdvL9jfSTo
৩. http://www.monitorbd.net/blog/blogdetail/detail/3557/warrior2013/64298#.VTdvSNjfSTo
আর কিছু বলতে ইচ্ছা হচ্ছেনা। আমার লেখায় সন্ধাতারা আপুর কমেন্টটাকে সবচেয়ে ভাল লেগেছিল, তা হুবহূ উল্লেখ করলাম।
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ছোট্ট আপ্পি। ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে ও যৌক্তিক চমৎকার দৃষ্টিভঙ্গির উপস্থাপনে তোমার অসাধারণ লিখাটি যতই পড়ছি ততই মুগ্ধ হচ্ছি ছোট বোন। কার দোষ বেশী কিংবা কম বা কে কতোটুকু শরীয়তসম্মতভাবে চলাফেরা করছে না, না করলে কেন করছে না? এরজন্য বিধিবিধানসহ যার সদুত্তর ও সমাধান স্পষ্টভাবে কোরআনেই বিবৃত করা আছে। অথচ সে পথে না গিয়ে আমরা অহেতুক বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত রয়েছি।
আমরা কাকে পণ্ডিত বলবো সেটাও প্রশ্ন সাপেক্ষ। কোন বিষয়ে যার পাণ্ডিত্য আছে সেই তো পণ্ডিত হওয়ার যোগ্যতা রাখে কিন্তু আমাদের অবস্থা ঠিক তার বিপরীতে। তাই তো এই বেহাল করুণ দশা! একে অপরকে সন্মান ও শ্রদ্ধা করার পরিবর্তে উপহাস করছি। কোরআন ও হাদীসের আলোকে সমস্যা সমাধানের কথা না বলে বিদ্রুপাত্মক ও উস্কানিমূলক পরিবেশ সৃষ্টি করে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছি!!
তোমার এই শাণিত কলম যেন কখনই থেমে না যায়। জাজাকাল্লাহু খাইর।
আমিও বলব আমাদের উচিত নিজেদের আবেগকে সংযত করা। মানুষের মুখ আছে মানুষ বলবে অনেক কথা কিন্তু আমাদের এসব থেকে বেরিয়ে এসে কোরান-হাদিসের দিকেই নারী পুরুষকে ডাকা উচিত। নিজেরাই যদি এসবে জড়িয়ে পরি তবে পথ দেখাবে কে? ভাল থাকবেন আপু।
একটি পোস্টের মধ্যে লিখা যে একটা নারী বলল ছেলে সন্তান কখনই নিবে না।
আমার হয়েছে উল্টা।নারী সন্তান জন্ম দেওয়াই এখন আমার বিপদ মনে হয়।
বাবা মা ঠিক থাকলে ।ইসলাম অনুযায়ী চললে ঠিক থাকবে।
ভালো থাকবেন।
সেটা দেখা যাবেনে।
আপনি আবেগ প্রবন হয়ে ,
অনেক কিছুই লিখলেন,
কিন্তু যেই জঙ্গি-লিগ এমন বর্বর আকাম করলো
তার কিছুই লিখলেন না,
আপনি অন্তত কৌশলে কিংবা ইঙ্গিতে ও কিছু লিখতে পারতেন , তাহলে নারীরা জঙ্গি-লিগ হতে কিছুটা সাবধানতার চিন্তা করতে পারতো,
যারা এই ধর্ষণ বা অধম কাজটি করলো আপনি তাদের নাম ও নিলেন না,
অথছ যারা ফেসবুকে নারীদের সমালোচনা করলো আপনি তাদের প্রতি বেশি মর্মাহত হয়ে পোস্ট লিখে ফেললেন,
আপনার নিকনামের ছবি দেখে এবং লিখা পড়ে বুঝলাম, আপনি ইসলামে নারীর অধিকার ও নারি অসন্মানের কঠরতা সম্পর্কে তেমন অবগত নন,
কুরআন পড়ে দেখুন নারীরা কত সন্মানিত আল্লাহ ও তার রাসুল ও মুসলমানদের কাছে,
তাই তো মুসলমানরা জানে ও মানে, মায়ের পায়ের নিচে জান্নাত,
আর প্রত্যেক নারীই ১ দিন মা হয়,
অনেক ধন্যবাদ
ইসলামে তো পুরুষদের থেকে নারীদেরই সম্মান বেশী
সম্মান তো দেয় না মানুষ।
মানুষের জন্য আমি কেন ইসলামের দোষ দিব?
আর আমি লিখাটি মুলত সমাজের বেশীর ভাগ মানুষের আচারণের কথা বলেছি।
নারী পুরুষ উভয়ই
তার কিছুই লিখলেন না,
আপনি অন্তত কৌশলে কিংবা ইঙ্গিতে ও কিছু লিখতে পারতেন , তাহলে নারীরা জঙ্গি-লিগ হতে কিছুটা সাবধানতার চিন্তা করতে পারতো,
যারা এই ধর্ষণ বা অধম কাজটি করলো আপনি তাদের নাম ও নিলেন না
মন্তব্য করতে লগইন করুন