স্লিপওয়াক এবং কিছু বাস্তব ঘটনা
লিখেছেন লিখেছেন নারী ৩০ জানুয়ারি, ২০১৫, ০৩:১১:২৬ দুপুর
স্লিপওয়াক-কে সোমনামবুলিজম বলা হয় যার অর্থ হলো স্বপ্নচারিতা।ঘুমন্ত অবস্থায় জাগ্রত ব্যক্তির ন্যায় চলাফেরা।এটাকে এক ধরনের ব্যধিও বলে।কাউকে ঘুমন্ত অবস্থায় হঠাৎ হাটাচলা করতে দেখলে যে কেউই ভয় পেয়ে যাবে।বলবে ওকে ভুতে ধরছে।যেহেতু সচারাচর স্লিপওয়াক দেখা যায় না।
প্রথমে নিজের দেখা অভিজ্ঞতাটা বলি……………
বাড়িতে একটা ছোট মেয়ে কাজ করত।আমরা মনি বলে ডাকি।সন্ধ্যায় পড়া শেষ হলেই ঘুমিয়ে যায়।ঠিক একদিন রাতে নয়টার মতো হবে।মনি বিছানা থেকে উঠে(ঘুমন্ত অবস্থায়)আমাদের রুমে ঢুকে আলমারির পাশে কিজানি করছিল।আমি আর আমার মামাত বোন পড়া রেখে দূর থেকে ওর কান্ড দেখছি।মামাত বোন মনি বলে কয়েকবার ডাক দিয়েছিল কিন্তু কোনো সাড়া নেই।মামি চলে এসেছিল।ওকে ঠেলে জিজ্ঞেস করছিল এখানে কি করে।কোনো উত্তর না দিয়ে মাথা চুলকাতে চুলকাতে চলে গেল।সকালে তাকে জিজ্ঞেস করলে সে বলে তার কিছুই মনে।মামির থেকে জানতে পারলাম সে প্রায়ই এরকম করে।
এবার বলি কিছু শীর্ষে স্থান করা ঘটনা,
রোবার্ট উড নামে একজন ৫৫ বছর বয়সি বাবুর্চি।তিনি ঘুমন্ত অবস্থায় রান্না ঘরে গিয়ে রান্না করতেন।অমলেট,স্টির ফ্রাইস আর চিপ্স ইত্যাদি বানাতেন।৪০ বছর ধরে তিনি এরকম সপ্তাহে ৪-৫ বার স্লিপওয়াক করেন।তার এই অবস্থা বাড়তে থাকে বলে তার স্ত্রী ভয় পান কোন দুর্ঘটনার ঘটে।মিঃ উড ভাবেন যে তিনি ক্ষুদার্থ থাকেন বলে হয়ত রান্না ঘরের দিকে যান এবং তিনি নিজের জন্য স্লিপ স্পেশালিস্ট দেখাচ্ছেন।………
একজন স্লিপওয়াকার যে তার বন্ধুদের ই-মেইল পাঠায়-
৪৪ বছরের এক মহিলার স্লিপওয়াক রোগ ছিল।তিনি রাত ১০ টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় অন্য রমে গিয়ে পিসি চালাত।নেট কানেক্ট করে তার ই-মেইল থেকে বন্ধুদের ই-মেইল করত।আমোত্রণ দিত।অদ্ভুত ভাষায়।তিনি তার পাসওয়ার্ড এবং নেট কানেক্ট করার কথা মনে করতে পারলেও অন্য কিছু মনে করতে পারেননি।
একজন স্লিপওয়াকার যে ১৪ মাইল গাড়ি চালায় এবং তার শ্বাশুড়িকে হত্যা করেন-
কেনেথ পার্ক্স একজন কানাডার নাগরীক যিনি ইন্সোমনিয়ার রোগি।অনেকদিন ধরে এই রোগ থাকায় তার চাকুরি চলে যায়।২৩ মে,১৯৮৭ সালে পার্ক্স বিছানা থেকে উঠে ১৪ মাইল ড্রাইভ করে তার শ্বশুরের বাসায় যান এবং তার শ্বাশুড়িকে হত্যা করেন ছুরি দিয়ে সাথে তার শ্বশুরকেও হামলা করেন।শ্বাশুর বেঁচে যান।তারপর তিনি নিজেই পুলিশের কাছে যান এবং বলেন, “আমি মনে হয় কিছু মানুষ খুন করেছি নিজের হাতে”।এটা তিনি বুঝতে পারেন যখন তিনি নিজের হাত কাটেন।পুলিশ তাকে এরেস্ট করেন এবং হাসপাতালে নিয়ে যান।
তিনি সাইক্রিয়েটিস্ট,সাইকোলজিস্ট এবং নিউরোলজিস্টের চিকিৎসায় থাকেন।তখন ইউ.কে তে তাকে ১ নাম্বার স্লিপওয়াকার হিসেবে জানত সবাই।
আরও অনেক শীর্ষ ঘটনা আছে এই স্লিপওয়াক ব্যাপারে।কিছু হাস্যকর থাকলেও ভয়ংকরের সংখ্যা বেশী।অনেক মানুষের মৃত্যু হয়।বয়ষ্কদের তুলনায় বাচ্চাদের এ সমস্যা বেশী।ঘুমন্ত অবস্থায় বাচ্চারা বিছানা ভেজায়।এটাও এক ধরনের স্লিপওয়াক বলা হয়।
কাউকে স্লিপওয়াক করতে দেখলে ভুত প্রেত না ভেবে বিষেশজ্ঞদের কাছে নিয়ে যান।
বিষয়: বিবিধ
১৪৪৯ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন