“এখনও একটা আবদার রয়েই গেল”
লিখেছেন লিখেছেন নারী ১৪ নভেম্বর, ২০১৪, ১১:৩১:৪৩ রাত
সর্বশেষ আবদার করে ছিলাম,
“আম্মু!কালকে টিফিনে নুডুলস মাংস দিয়ে রান্না করে দিও?”
তোমাকে প্রায়ই একটা খেলনার কথা বলতে চাইতাম।বুঝাতে পারতাম না।হাড়িপাতিল তো অনেক ছিল কিন্তু ঐ ধরনের হাড়ি পাতিল নেই।প্লাস্টিকের কড়াই দেয়,খুনতি দেয় সাথে কিছু প্লাস্টিকের খাবারও দেয়।কোনো খেলনার দোকানে চোখ পড়লেই……
“ইশ!বলতে পারলাম না।ঐ খেলনাটা আমি কিনব”
বারবি ডল ছিল কিন্তু বারবি ডল হাউজ ছিল না।কাকলিদের বাসায় দেখেছিলাম একটা ডল হাউজ।টিভিতেও প্রায়ই এড দেখলে কিনতে মন চাইত।আবার মনে হতো অনেক দাম হয়ত।থাক পরে কিনে দিতে বলব।
সাইকেল কিনার ইচ্ছা ছিল খুব।বড় সাইকেল।বিকেলে কাকলি সাইকেল চালাত।একদিন সাইকেল কিনতে গিয়ে ফিরে আসতে হয়।দামে হয়নি।
অন্যগুলা না হোক রান্নাটা করে যেতে পারতে?রাতে বলেছিলাম,
“কালকে টিফিনে নুডুলস মাংস দিয়ে রান্না করে দিও”
তিথির আম্মুর হাতের নুডুলস খেয়েছিলাম।তিথি টিফিন এনেছিল।মাংস সবজি কিছুই দিয়ে আগে খেতে পছন্দ করতাম না।সেদিন খেয়ে ভালই লাগল।
তখন তো বললে,
“মানুষের হাতের রান্না মজা লাগে নিজের মায়েরটা মজা লাগেনা?না?”
“আরে আমি তো বলিনাই মজা লাগেনা।সব সময় তো নরমাল খাই তাই বললাম”
“আচ্ছা কালকে আসুক।দিব”
এতই অভিমান ছিল?সকাল পর্যন্ত আর অপেক্ষা করলে না?না ফেরার দেশে চলে গেলে?যাওয়ার আগে নুডুলসটা রান্না করে দিয়ে যেতে?
এখনও একটা আবদার রয়েই গেল।
বিষয়: বিবিধ
১৪৫৮ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কষ্টের এক করুণ বীনা বেজে উঠল লেখনী পড়ে!
এতো অবলিলায় কষ্টের শিহরণ জাগিয়ে গেলেন!!!
আপনার প্রিয়জন কে আল্লাহপাক শান্তিতে রাখুন-আমীন।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
প্রিয় মানুষের কাছে আবদার করে পেয়ে যে আনন্দটা থাকে সেটা কি অন্য কেউ দিলে আনন্দটা পাওয়া যাবে? মামুন ভাই
মন্তব্য করতে লগইন করুন