যে ৮ টি বিষয় আপনার দাম্পত্য জীবনকে অশান্তিময়, দুর্বল এবং অকার্যকর করতে থাকে

লিখেছেন লিখেছেন আবদুল্লাহ মাহমুদ ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৭:০৫:৫৩ সন্ধ্যা



১) খারাপ ব্যবহার করা : তাকে এমন কিছু নিয়ে ঠাট্টা করা যাতে সে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এমন ধমক দেয়া যা অন্যদের সামনে তার অসম্মান হয়ে যায়। তাকে অপমান করা আপনার প্রতি তার শ্রদ্ধাবোধকে কমিয়ে দিবে।

২) উপেক্ষা করা : তার পছন্দ, ভালোলাগা কিংবা তার কথাবার্তাকে গোণায় না ধরা বা পাত্তা না দেয়া। হয়ত সে সালাম দিয়েছেন আপনাকে, আপনি উত্তর দিলেন না। বেশ কিছুদিন যাবৎ খুব আগ্রহ নিয়ে হয়ত সে কিছু বলছে কিন্তু আপনি বিশেষ কারণ ছাড়াই তার কথার পাত্তা দিচ্ছেন না।

৩) মিথ্যা বলা : কিছুতেই মিথ্যা বলা সঠিক নয়। আল্লাহ মিথ্যাকে নিষিদ্ধ করেছেন। আল্লাহ আমাদেরকে শয়তানের এই ওয়াসওয়াসা থেকে রক্ষা করুন। মিথ্যা আপনাদের পারস্পারিক বিশ্বাসকে ভেঙ্গে চুরমার করে দিবে।

৪) কথা দিয়ে কথা না রাখা : কথা দিয়ে কথা রাখা বা ওয়াদা রক্ষা করা একজন মু’মিনের বৈশিষ্ট্য। বিষয়টি দাম্পত্য সম্পর্কের ক্ষেত্রেও খুব গুরুত্বপূর্ণ।

৫) এড়িয়ে চলা : অনেকদিন পর দেখা হলে বন্ধুদেরকে বা ভাইদের আমরা জড়িয়ে ধরি, কোলাকুলি করি। আপনার স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরতে পারেন না? পারবেন, অস্বস্তি লাগলেও তা ভেঙ্গে ফেলুন। ভালোবাসার প্রকাশ থাকা খুবই প্রয়োজন।

৬) সন্দেহ ও গীবত করা : কখনো সন্দেহ করতে যাবেন না। সন্দেহ সম্পর্ককে ধ্বংস করে। আপনার জীবনসঙ্গী আপনার খুব কাছের মানুষ এটা সত্যি। কিন্তু খুঁতখুঁত করে যদি তার বিষয়ে অনেক ঘাঁটাঘাঁটি করেন, আপনি নিঃসন্দেহে হতাশ হবেন। মানুষ কখনো নিখুঁত নয়। আর মনে রাখবেন, প্রত্যেকে তার নিজ নিজ হিসাব দিবে। তাই সন্দেহ দূর করুন। স্বামী বা স্ত্রী একে অপরের চাদরস্বরূপ, ছোট-খাটো ভুলত্রুটি বা সীমাবদ্ধতা নিয়ে অন্যদের কাছে বলে বেড়াবেন না, গীবত করবেন না।

কুরআনুল কারীমে আল্লাহ বলেছেন :

“হে মুমিনগণ, তোমরা অনেক ধারণা থেকে বেঁচে থাক। নিশ্চয় কতক ধারণা গোনাহ। এবং গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না। তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে। তোমাদের কেউ কি তারা মৃত ভ্রাতার মাংস ভক্ষণ করা পছন্দ করবে? বস্তুতঃ তোমরা তো একে ঘৃণাই কর। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু।” — [আল হুজুরাত, ৪৯ : ১২]

৭) খুব বেশি ব্যস্ততা : অপরজনের জন্য কিছু সময় রাখবেন। পারস্পরিক কথাবার্তা আর সময়গুলো সম্পর্ককে প্রগাঢ় করে। তার প্রতি আপনার কর্তব্য রয়েছে, আপনার কিছু দায়িত্ব রয়েছে। কিছুটা সময় তিনি পাওয়ার অধিকার রাখেন। এই বিষয়টি খেয়াল রাখুন।

৮) সালাত এবং অন্যান্য ইবাদাত না করা : যে ব্যক্তি আল্লাহর ইবাদাত না করে, নামাজ না পড়ে এবং আল্লাহর নির্দেশিত পথে না চলে, আল্লাহ তার প্রতি সন্তুষ্ট নন। নিয়মিত নামাজ না পড়া, অশ্লীল কাজ, হারাম উপার্জনগুলো থেকে সরে না আসার কারণে অনেক সংসার ভেঙ্গে গেছে। আল্লাহর প্রতি কর্তব্য পালনে অলসতা-উপেক্ষা করার কারণে মুসলিম সংসারে অত্যন্ত দ্রুত ভাঙ্গন ধরে যায়।

আল্লাহ আমাদেরকে ভুলত্রুটি ক্ষমা করুন এবং আমাদের সরল সঠিক পথে পরিচালিত করুন। আমাদের পরিবারগুলোতে রাহমাত এবং বারাকাহ দান করুন।

কুরআনের আলো

বিষয়: বিবিধ

১২১৬ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

292122
০৭ ডিসেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩০
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : অনেক ভাল লাগল লিখাটি। সত্যি সন্দেহ দাম্পত্য জীবন কে বিষিয়ে তুলতে পারে। আপনার সাথে একাত্মতা পোষণ করে বলছি, কোন মানুষ নিখুঁত নয়, ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখতে হবে।
ধন্যবাদ।
০৮ ডিসেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:০১
235938
আবদুল্লাহ মাহমুদ লিখেছেন : জি ভাইGood Luck
292152
০৭ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৩১
অনেক পথ বাকি লিখেছেন : আল্লাহ আমাদের এসব থেকে বিরত থাকার তৌফিক দান করুন আমিন। Praying
292156
০৭ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৫১
ক্ষনিকের যাত্রী লিখেছেন : প্রয়োজনীয় পোস্ট। অনেক ভালো লাগলো। Rose Rose Rose Good Luck Good Luck Good Luck
292162
০৭ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:৫৬
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : সুন্দর পোস্ট। অনেক ভালো লাগলো। শিখে রাখলাম, ভবিষ্যতে কাজে লাগবে ইনশাআল্লাহ্ Good Luck Good Luck যাজাকাল্লাহু খাইর Rose Good Luck Good Luck Rose
292163
০৭ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০৯:৫৮
হতভাগা লিখেছেন : এত সুন্দর একটা পোস্ট দিলেন , তবে শেষের ছবিটা দিয়ে সব কিছু নোংরা করে দিলেন । বউয়ের জুতা ঠিক করে দেওয়া কি স্বামী-স্ত্রীর গভীর ভালোবাসা বোঝায় ?

স্বামী-স্ত্রী একে অন্যের লিবাস । They are partners , not Masters . তবে স্বামীরা স্ত্রীদের উপর কর্তৃত্বকারী । বিয়ের অনুষ্ঠানেই যদি বউয়ের এরকম খেদমত করতে হয় তাহলে সে ছেলের জীবনে সাফারিংস আছে । এদের লাইফ সাইকেল এরকম হয়













এটাই আমাদের সমাজের বর্তমান হাল । ছেলেরা এমন হয় বা এমন হতে উদ্ভুত করা হয় যে মেয়েদের সেবা করলে নিজেদের সভ্য বলে বিবেচিত করা যায় এবং ভালবাসা এভাবে দেখালেই সেটা সেরা বহিঃপ্রকাশ ভালবাসা দেখানোর ।

এটার কনসিক্যুয়েন্স খুবই খারাপ এবং সুদূরপ্রাসারী । এর ফলে এই মেয়ে তার স্বামীকে কোনভাবেই কর্তৃত্ব করতে দেবে না যেটা শরিয়তেরই বিধান । আর ছেলেরাও ছ্যাবলা কিছিমের হওয়ায় মেয়েদের করতলগত হয়ে যায় ।
যেসব পরিবারে মেয়েরা কর্তৃত্ব করে স্বামীদের উপর সেসব পরিবারের সন্তানেরা বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে বেয়াদপ ও ডিরেইলড হয়ে যায়।
292223
০৮ ডিসেম্বর ২০১৪ রাত ০২:০৫
আফরা লিখেছেন :
আল্লাহ আমাদেরকে ভুলত্রুটি ক্ষমা করুন এবং আমাদের সরল সঠিক পথে পরিচালিত করুন। আমাদের পরিবারগুলোতে রাহমাত এবং বারাকাহ দান করুন । আমীন !
০৮ ডিসেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:০২
235939
আবদুল্লাহ মাহমুদ লিখেছেন : আমিনGood Luck
292401
০৮ ডিসেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:০৫
আবদুল্লাহ মাহমুদ লিখেছেন : ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File