!! সংস্কৃতি পরিবর্তনে বিজ্ঞাপনের ভুমিকা!! (পোষ্ট ২১+)
লিখেছেন লিখেছেন একটি সকাল ০৯ মে, ২০১৫, ০২:৫৬:১৩ দুপুর
ইংরেজি Culture-এর প্রতিশব্দ হিসেবে সংস্কৃতি শব্দটি ১৯২২ সালে বাংলায় প্রথম ব্যবহার করা শুরু হয়। কোন স্থানের মানুষের আচার-ব্যবহার, জীবিকার উপায়, সঙ্গীত, নৃত্য, সাহিত্য, নাট্যশালা, সামাজিক সম্পর্ক, ধর্মীয় রীতি-নীতি, শিক্ষা-দীক্ষা ইত্যাদির মাধ্যমে যে অভিব্যক্তি প্রকাশ করা হয়, তাই সংস্কৃতি। উক্ত বিষয়গুলোকে আবার দু’ভাগে ভাগ করা যায়। প্রথমভাগ নিত্যদিনকার জীবনযাপনের সাথে সরাসরি সম্পর্কিত। আর দ্বিতীয়ভাগ জীবন উপভোগের ব্যবস্থা এবং উপকরণের সাথে সম্পকির্ত।
সমাজের যে প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে আমরা সামাজিক রীতি-নীতি ও আচার-আচরণ শিখে থাকি, তার মধ্যে অত্যন্ত শক্তিশালী হলো গণমাধ্যম। বহুধা বিস্তারের ফলে গণমাধ্যম এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ। জীবন-যাপনের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য ও শিক্ষার সিংহ ভাগই এখন মানুষ গণমাধ্যম থেকে পায়।
সমাজ গঠন, সুস্থ সংস্কৃতি চর্চা ও ধরে রাখার জন্য গণমাধ্যমের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে তেমনি গণমাধ্যমের মধ্য দিয়েই একটি সমতামূলক সমাজ ভঙ্গে অপসংস্কৃতি ছড়িয়ে দিতে পারে ।
ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে নারী: আজ বিজ্ঞাপনে নারীর উপস্থিতি নিয়ে কিছু বলার চেষ্টা করবো- নব্বইয়ের দশকে ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে যে সব বিজ্ঞাপন প্রচার করা হতো বর্তমানে তার তুলনায় আরও আকর্ষণীয়, জৌলুসপূর্ণ ভাবে প্রচারিত হয়ে থাকে, বদলে গেছে উপস্থাপনের ধরন। তবে তারপরও বিজ্ঞাপনে নারীর প্রতি যে দৃষ্টিভঙ্গি দেখা যায় তা সাধারণত নেতিবাচক। একটি বিজ্ঞাপনে দেখা যায়,বিশেষ একটি ব্র্যান্ডের টিভি স্বামীর (!) বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিয়ের অনুষ্ঠানেই জেদ ধরে মেয়েটি। এধরনের বিজ্ঞাপন যৌতুকের মতো ঘৃণ্য প্রথাকে প্রকারান্তরে সমর্থন করে। আবার মুখের ক্রিমের বিজ্ঞাপন গুলোতে দেখানো হচ্ছে মেয়ে কালো বলে বিয়ে ভেঙ্গে যাচ্ছে, আর সেই নির্দিষ্ট ক্রিম মাখার কারণে রং ফর্সা হওয়াতে নতুন উদ্যমে বিয়ে সম্পন্ন হচ্ছে। এখানে মেয়ের গুণ নয় বরং রূপকেই প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। অথচ আমাদের দেশের খ্যাত অভিনেত্রী সূবর্ণা মুস্তফা, রোকেয়া প্রাচী, ভারতের কাজল, বিপাশা বসু, হলিউডের হ্যলবেরি বা জেনিফার লোপেজের গায়ের রং তাদের পথ চলার ক্ষেত্রে কোন বাধা হতে পারেনি। আর এসব বিজ্ঞাপন প্রকারান্তরে বর্ণবাদকেই উসকে দেয়। যত মসলার বিজ্ঞাপন আছে তার সবটা জুড়ে থাকে নারী, যেখানে সুবিধাভোগী হিসেবে পুরুষকে উপস্থাপন করা হচ্ছে। এমনও দেখা যায় স্বামী –স্ত্রী উভয়েই সারাদিন অফিস করে এসে স্ত্রী ঢুকলেন রান্না ঘরে আর স্বামী সংবাদপত্র পড়ে, টিভি দেখে সময় পার করছেন এবং টেবিলে এসে রান্না মুখরোচক কম হওয়াতে স্ত্রীকে বকাবকি করছেন। এবং সেই মসলায় রান্নার মুখরোচক হওয়া খাবারে সংসারে শান্তি ফিরে আসে। এই বিজ্ঞাপনে কি শিখাতে চায়? ।
এই সব বিজ্ঞাপনে আসলেই কি সমাজ পরিবর্তনে কোন ভূমিকা রাখছে?
বস্তুত যারা বিজ্ঞাপন নির্মাণ করেন এবং করান তাদের কেউ কেউ মনে করে থাকেন, বিজ্ঞাপনে নারীকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয় তা সমাজেরই প্রতিচ্ছবি।
আসলেই কি তাই?।
সংস্কৃতি পরিবর্তনে বিজ্ঞাপনের ভুমিকা
এখন বাংলাদেশ সেই অপসংস্কৃতির মধ্য দিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে। এটা খুব সহজেই বলা যায়, আমাদের যা কিছু শুভ ও সুন্দর তার বিপরীতে যে-সংস্কৃতির অবস্থান, সেটাই অপসংস্কৃতি। এখন বিশ্বায়নের যুগের কথা বলে আমাদের প্রাচীন এবং আধুনিক সংস্কৃতিকে বিশ্বের মোড়লেরা সম্পূর্ণরূপে বিলীন করে দিতে চাইছে। যদি আমাদের প্রাচীন ও বর্তমান বস্তুগত সংস্কৃতির কথা বলি, তা হলে দেখা যাবে, সে-জায়গাটি দখল করে নিয়েছে অপসংস্কৃতির ধারক এবং বাহকেরা। দীর্ঘকা-জায়গাটি আমাদের মধ্যে যে সামন্ত সংস্কৃতির বিকৃতি আমরা লক্ষ্য করেছি, তার জন্যে দায়ী আমাদের সমাজের ধনীক শ্রেণী। তারা পাশ্চাত্যের অপসংস্কৃতিকে তাদের অন্দর মহলে ঢুকিয়ে দিয়েছে। এই ক্ষেত্রে আমাদের সংবাদপত্র এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ারও একটি বিশাল ভূমিকা রয়েছে। রয়েছে বহুজাতিক কোম্পানীগুলোর আগ্রাসী থাবা। এরা কীভাবে আত্মগত প্রাণশক্তিকে ধ্বংস করে দিয়ে আমাদের সংস্কৃতিতে এমন একটি সংস্কৃতির মিশিয়ে দিতে চাইছে, যার বিকৃত বাস্তবায়ন বহু আগে থেকেই শুরু হয়ে গেছে। যদি সার্বিকভাবে না বলেও শুধু দু একটি দিকের কথাও বলি, তা হলেও দেখা যাবে, আমাদের অবস্তুগত কিংবা অপ্রত্যক্ষ সংস্কৃতির মধ্যে বিকৃত রুচির ছাপ।
এ-জন্যে বহুজাতিক কোম্পানীগুলো আমাদের সংস্কৃতিতে অবস্থানরত ব্যক্তি ও ব্যক্তিত্বকে এমনভাবে বিকৃত ক্রীতদাসে পরিণত করছে, যা শুধু অগ্রহণযোগ্যই নয়, একে প্রতিরোধ না করলে আমাদের মৌলিক সংস্কৃতিই ধ্বংস হয়ে যাবে।আজকে আমাদের নাচ-গান ‘ফাইট্টা যায়’ সংস্কৃতিকে আঁকড়ে ধরে থাকতে চাইছে এবং তার জন্যে বহুজাতিক কোম্পানীগুলো যথেচ্ছ খরচ করতে একটুকু দ্বিধাবোধ করছে না। বরং তারা এদের পেছনে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে আমাদের লোকসংস্কৃতিকে হটিয়ে দিতে চাইছে। তাকিয়ে দেখুন আমাদের ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং বিজ্ঞাপন গুলোর দিকে। তারা এখন হলিউড-বলিউডের অনুকরণে পোশাক সংস্কৃতিকে হাঁটুর ওপর পর্যন্ত তুলে দিতে একটুও কসুর করছে না। এ-ব্যাপারে তাদেরও একটা যুক্তি আছে, তারা বলতে চাইছে, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে না চলতে পারলে আমরা অনেক পিছিয়ে যাবো। আমাদের বস্তাপচা নাচ-গান কিংবা মান্ধাতা আমলের পোশাক-আশাক দিয়ে বর্তমান যুগে পৃথিবীর সঙ্গে পাল্লা দেয়া যাবে? সময়ের সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার বিরোধী আমরা নই। আমরা যেটা বলতে চাই, সেটা হলো, আধুনিকতা আসুক, কিন্তু তা যেন নগ্নতাকে সঙ্গে করে আমাদেরকে লজ্জার মধ্যে ফেলে না দেয়। এখন তো আমাদের চারদিকে তারই তোড়জোড় দেখছি।
একজন পপ গায়ককে প্রতিবছর ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ক্রয় করে নিয়েছিলেন তাদের বিজ্ঞাপনের মডেল হিসেবে তাকে ব্যবহার করার জন্যে। অথচ আমাদের এখানে লোকসঙ্গীতের এমন গায়ক-গায়িকাও আছেন, যারা এইসব পপ গায়ক-গায়িকার চেয়ে অনেক ভালো গান করেন, কই, তাদের ব্যাপারে তো এইসব বহুজাতিকের হাতের মুঠো খুলতে দেখি না।
কিছু নারী বান্দব পুরুষ নারীদের অধিকারের নামে তাদের ব্যাবসা টিকিয়ে রাখার জন্য অর্থ, শ্রম, মেধা সবই এভাবেই লাগিয়ে থাকেন।
পশ্চিমবঙ্গের সিপিআইএম (কমিউনিস্ট পার্টি অব ইণ্ডিয়া, মার্কসবাদ) বিধায়ক ও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রেজ্জাক মোল্লা মেয়েদের সম্পর্কে একটি মন্তব্য করেছেন রেজ্জাক মোল্লা বলেছেন, ‘জিনস আর টপ পরে বেরোলে মেয়েদের নিগ্রহ অনিবার্য, ধর্ষণ বা শ্লীলতাহানির শিকার হবে এবং পোশাকই মেয়েদের বিপদ ডেকে আনে’।
জনৈক সমালোচক বলেন “মেয়েদের যৌন হেনস্থার জন্য মেয়েদের পোশাককে দায়ি করা মানে মেয়েদের পছন্দ মতো কাপড় চোপড় পরার স্বাধীনতাকে ধর্ষণ করা। সত্যি কথা বলতে, সেদিন রেজ্জাক মোল্লা মেয়েদের স্বাধীনতা আর অধিকারকে জনসমক্ষে ধর্ষণ করেছেন”।
সমালোচক আর বলেন “আধুনিক পোশাকের বদলে রবীন্দ্র-যুগের ঠাকুরবাড়ির পোশাকের পক্ষপাতী রেজ্জাক মোল্লা। বলেছেন, ‘রবীন্দ্রনাথের আমলে যে ড্রেস-কোড ছিল তা সঠিক বলে মনে করি৷’ রবীন্দ্রনাথের বাড়িতে মেয়েরা শাড়ির সঙ্গে লম্বা হাতের ব্লাউজ পরতেন, কেউ কেউ মাথায় ঘোমটাও দিতেন। সেই পোশাকই রেজ্জাক চাইছেন এখনকার মেয়েরা পরুক। আধুনিক মেয়েরা ফিরে যাক উনবিংশ শতাব্দির পোশাকে” ।
সমালোচকের মনের কথা বের হয়েছে নিম্নউক্ত লাইনে “মেয়েদের শরীরকে অর্থাৎ মেয়েদের যৌনতাকে শেকল দিয়ে বেঁধে ফেলার আরেক নাম পুরুষতন্ত্র। এই শেকল যতদিন না ভাঙা হবে, ততদিন মেয়েদের সত্যিকার মুক্তি নেই, ততদিন তাদের পোশাক আশাক আর তাদের চলাফেরার ওপর নিষেধাজ্ঞা চলতে থাকবে”।
সমালোচকের জবাব হিসাবে এই দুটি লিঙ্ক দিলাম( যা পূর্বে আপনারা দেখেছেন) কষ্ট করে ভিডিও দুইটি দেখতে পারেন।
https://www.youtube.com/watch?v=mgw6y3cH7tA
https://www.youtube.com/watch?v=FnTTIv22U9Q
রক্ষণশীলতার ব্যানারে ‘নারী অধিকার’ ধ্বজাধারীদের নারী ব্যবসা:
স্বভাবগতভাবে নারীরা সৌন্দর্য সচেতন, আর পুরুষেরা নারীর এই সৌন্দর্যের প্রতি দুর্বল। এই স্বাভাবিক প্রবৃত্তিকে প্রাধান্য দিয়ে গড়ে উঠেছে পণ্য বাজারজাত করণের পলিসি। এজন্য শুরু হয়েছে নারীদেরকে আরো কত যৌন আবেদনময়ী করা যায় তার বিকৃত ও অসুস্থ প্রতিযোগিতা। শুরুতে এই মানসিকতাকে ছি ছি করলেও মিডিয়ার মাধ্যমে বোম্বার্ডেড হতে হতে তারা এখন এটিকেই সমাজিক ভ্যালু হিসেবে মেনে নিয়েছে। সেই সাথে সামাজিক যে সমস্ত ভ্যালু মেয়েদের মডেস্টিকে প্রমোট করত সেগুলোকে নারী স্বাধীনতার প্রতিবন্ধকরূপে মিডিয়াতে এমনভাবে সুকৌশলে উপস্থাপন করা হলো যে নারীরা নিজে থেকেই লোলুপ পুরুষদের সংজ্ঞায়িত ‘মুক্তি’র স্বাদ পেতে ও প্রগতিশীল হতে গিয়ে সেসব ভ্যালুগুলোকে আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করেছে। যার ফলে নারীরা নিজেদেরকে আরো কত যৌনাবেদনময়ীরূপে উপস্থাপন করা যায়, চেতন বা অবচেতনভাবে সে প্রচেষ্টায় বিভোর থাকে। চেয়ার-টেবিল, ক্রিকেট খেলা থেকে শুরু করে এমনকি কল মেরামত করার বিজ্ঞাপনেও যোগসূত্রহীনভাবে নারীদেরকে ব্যবহার করা হচ্ছে। উদ্দেশ্য হচ্ছে নারীর দেহকে প্রদর্শন করে প্রডাক্টটি অন্তরে গেঁথে দেয়া। এভাবে নারীকে বস্তু বা পণ্যের মতো ব্যবহার করা হচ্ছে। বর্তমানে ইন্ডিয়ান ফিল্ম যত না কাহিনী-নির্ভর তার চেয়ে বেশী বরং যৌনাবেদনকে ফোকাস করা হয়। এতে তরুণরা সেক্সুয়ালি এক্টিভ বা চার্জড হয়ে থাকে। অন্যদিকে সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত ধর্মীয় মূল্যবোধকে মিডিয়াতে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য বা সেকেলে বা গোঁড়া আখ্যা দিয়ে তরুণ-তরুণীদের মগজ ধোলাই করে বাঁধনহারা মুক্তির স্বাদ নিতে প্রতিনিয়ত অনুপ্রাণিত করা হচ্ছে। এর ফলে প্রতিনিয়ত দেখা যায় উঠতি বয়সের তরুণরা ইভ টিজিং থেকে শুরু করে ধর্ষণ ও গণধর্ষণের মতো মানবতা বিরোধী অপরাধে প্ররোচিত হচ্ছে। গত বছর ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের পুলিশের ডিরেক্টের জেনারেল দীনেশ রাডি টিভির লাইভ অনুষ্ঠানে নারীদের অশালীন পোষাক ধর্ষণ প্রবণতাকে প্ররোচিত করতে পারে মন্তব্য করায় তার উপর নারীবাদী ও প্রগতিশীলদের সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়।
বাস্তবতার নিরিখে ইসলামিক মূল্যবোধ ইভ টিজিং সহ ধর্ষণের মতো সমাজিক ব্যাধির প্রতিরোধে কতটুকু কার্যকরী তা আলোচনার দাবী রাখে। ইসলামিক মূল্যবোধ অনুযায়ী পুরুষ ও নারীকে ভদ্র ও শালীনভাবে পোষাক-পরিচ্ছদ পরিধান ও প্রাত্যহিক জীবন অতিবাহিত করার উপদেশ দেয়া হয়েছে। নারী-পুরুষ উভয়কে বাহ্যিক সৌন্দর্য্যে লালসার দৃষ্টি নিক্ষেপে নিষেধ করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন কি?
প্রত্যেকটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্যের বিক্রি বাড়ানোর উদ্দেশ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার করে থাকে। এছাড়া মানুষকে সচেতন করে তোলার জন্যে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন রকমের বিজ্ঞাপন প্রচার করে। মাঝে মাঝে দেখা যায়, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এমন বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয় যা দর্শকদের মাঝে বিতর্কের সৃষ্টি করে
বিজ্ঞাপন সম্প্রচার সংক্রান্ত নীতিমালা (২০১৩) কি বলা হয়েছে?
৪.২.৫ বিজ্ঞাপনের অডিও মানস্মমত এবং শ্রুতিমধুর হতে হবে, অতি কোলাহলপূর্ণ ও কর্ণপীড়াদায়ক হবে না। বিজ্ঞাপনে নোংরা ও অশ্লীল শব্দ, উক্ত, সংলাপ, জিঙ্গেল ও গালিগালাজ ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না।
৪.৩.৩ বাংলাদেশের সংস্কৃতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এবং যা শিশু কিশোর এবং যুব সমাজের মধ্যে হতাশা বা সংস্কৃতিকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে সেই ধরণের বিজ্ঞাপন গ্রহণযোগ্য হবে না। কিশোর বা যুব সমাজ অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় হয় এবং শারিরীক অক্ষম বা দৈহিক বর্ণকৈ কেন্দ্র করে কোন বিজ্ঞাপন প্রচার করা যাবে না এবং শ্রমের মর্যাদা থেকে বিরত রাখার কোন ধারণাকে গ্রহণ করা যাবে না।
৪.৩.৪ বেতার এবং টেলিভিশন বিজ্ঞাপন দেশের প্রচলিত আইন, রীতি-নীতি, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সাথে সামঞ্জস্য পূর্ণ হতে হবে। বিজ্ঞাপনে রাষ্ট্রীয় অখন্ডতা বা সংহতি বিনষ্ট হয় এমন কোন মনোভাব প্রদর্শন করা যাবে না।
৪.৩.৫ অংশ গ্রহণকারী মডেলদের পোষাক-পরিচ্ছদ শালীনতাপূর্ণ ও সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।
নিচের বিজ্ঞাপন চিত্রে কি আকর্ষণীয় করে তোলা হয়েছে?
উপরুক্ত বিজ্ঞাপন চিত্রে কি নারীদের পণ্য করা হয়নি ? যদি তাই করা হয়ে থাকে তাহলে নারী অধিকার আন্দোলন কারীরা চুপ কেনও?
উৎসর্গ নারীবাদী আন্দোলন কারীদের ।
বিষয়: বিবিধ
২২২২ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তথাকথিত নারিবাদিরাই এই নারিকে বানাচ্ছে ভোগ্য পন্য।
এখানে স্বেচ্ছায় নারীরা নিজেদের ভোগ্যপন্য বানাচ্ছে আরো দশজনের চরিত্র নষ্ট করছে!
সচেতনতা মূলক পোস্টের জন্য শুকরিয়া! যাদের জন্য লিখেছেন তাদের চোখে কি এটা আদৌ নজরে আসবে ? আসলেই কাজে লাগতো!
তেতুল তত্ত্ব এক ধ্রুব সত্য!!!!! পন্যে তেতুল দেখলে সে পন্য মানুষ না কিনে পারবে?
আর এখন বিশ্বব্যাপী লেসবিয়ানদের সংখ্যা ব্যাপকহারে বাড়ছে, তাই নারীরাও বিজ্ঞাপনে অন্যা নারী তথা তেতুল দেখে জিব্বার মাদকতা সাম্লে রাখতে পারে না!
আপনি লিখেছেন ভালো, যুক্তিও দিয়েছেন ভালো কিন্তু যে তিন টা ছবি পোস্ট করেছেন, তাতে পাঠকের সংযত চোখের বারোটা বাজিয়ে ছাড়ছেন সেদিকে খেয়াল আছে????? এইসব এড়িয়ে যাবেন!
নারীবাদিদের নারীবাদ প্রতিষ্ঠিত করবার জন্য নারীদের আদা খোলা ও খোলা করে উপস্থিত করলেই তাদের স্বাদ মিটে।
নারীরাও চাই তারা উপস্থিত হতে রঙিন হয়ে.......।
বিজ্ঞাপন মানুষকে দোকা ছাড়া আর কি দিতে পেরেছে?
বিজ্ঞাপনে ১০০তে ৯৯টি মিথ্যা কথা থাকে সুতরাং
বিজ্ঞাপনে.... নিন্দা ছাড়া আর কিছুই জানাবার নেই।
এখন থেকে বলবো,সব সহার মহাশয় পাবলিক।
আজকের যুগের নাস্তিক্যবাদী হলুদ মিডিয়া নারী জাতীকে ভোগ্যপণ্যে রুপান্তরিত করেছে। আধুনিকতার নামে কৌশলে ইজ্জত হরণ করতেছে! স্বাধীনতার নামে নারী সমাজকে উলংগ করে রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছে।ক্রমান্বয়ে নারীদের কে জাহিলিয়াতের দিকে নিয়ে যাচ্ছে, যেখানে কন্যা সন্তানদেরকে জীবন্ত কবর দেওয়া হত। জাহেলিয়াতের যুগে কন্যাসন্তানদের অন্তত দুনিয়াতে আসার সুযোগ দেওয়া হত, কিন্তু বর্তমানে আধুনিক জাহেলিয়াতের যুগে মাতৃগর্ভের মধ্যেই কন্যা সন্তানদেরকে হত্যা করা হচ্ছে, দুনিয়াতে আসার সুযোগ টুকুও দেওয়া হচ্ছেনা!!!
সন্মানীত বোনেরা, তোমাদের কে আল্লাহ এতবেশি সন্মানীত করেছেন যে, তোমাদেরকে শুধু স্বামী ও পিতার সম্পত্তিতে অধিকারী বানিয়ে ক্ষান্ত হননি বরং আল্লাহ জান্নাত তোমাদের পায়ের নিচে ঘোষনা করে দিয়েছেন। ইসলাম নারীদের যে বিপুল মর্যাদা ও অধিকার দিয়েছে তা যদি তারা পুরোপুরিভাবে বুঝতে পারতো, তাহলে হয়তো তারা সেই অধিকার ও মর্যাদা আদায় করার জন্য আন্দোলন করতো! হে আপুরা, তোমরা তো আমার মায়ের জাতি, তোমরা কি চাওনা সমাজের সকল মানুষ তোমাদেরকে সন্মান করুক???
সুতরাং আপুদের অনুরোধ করবো, দয়া করে ইসলামকে পরিপূর্ণ ভাবে বুজার ও মেনেচলার চেষ্টা করুন। হিজাব কে মন থেকেই কবুল করুন, আপনার নিরাপত্তার জন্য হিজাবই যথেষ্ট।
মন্তব্য করতে লগইন করুন