সত্যিই কি ইন্ডিয়া বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছে???

লিখেছেন লিখেছেন একটি সকাল ১৫ মার্চ, ২০১৫, ০২:২৯:২৪ দুপুর

[/img]

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতির অনেক দিনের আশা আকাঙ্ক্ষার ফল। স্বাদীনতার স্বপ্ন বাংলাদেশের নেতারা অনেক দিন আগে থেকেই দেখেছিলেন। শেরেবাংলা একে ফজলুল হকের আত্মজীবনী পড়লে আমরা এ বিষয়ে ধারণা পেতে পারি। ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে ভারতীয় উপমহাদেশ ভাগ হওয়ার কথা থাকলেও তা না করে কায়েদে আযম মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ আমাদের অর্ধেক বাংলাকে ভারতের সঙ্গে যুক্ত করে দিয়ে নিজ দেশ পশ্চিম পাকিস্তানকে পাকাপোক্ত করে নেন। পরে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর অগণতান্ত্রিক শাসন, শোষন ও নির্যাতনের ফলে বাঙালি নেতারা স্বাধীনতার ডাক দিতে বাধ্য হন, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযু্দ্ধে ডাক দেন । পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীর নারকীয় তা-ব বিশ্ব বিবেককে নাড়া দেয়। পাকিস্তান বাহিনী ও স্বাধীনতাবিরোধী এ দেশীয় দোসরদের দ্বারা সংঘঠিত লুটতরাজ, অগি্নসংযোগ, ধর্ষণ, হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে বিশ্ববিবেককে জাগ্রত করে তোলে। বিভিন্ন দেশের বন্ধুপ্রতিম সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী এবং সাধারণ জনগণ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় এবং মুক্তিযুদ্ধ ও যোদ্ধাদের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করে। ২৫ মার্চের কালরাত এবং পরবর্তী সময়ের নারকীয় হত্যাযজ্ঞ সম্পর্কে বিশ্ব জনমত সোচ্চার হয়ে উঠে। সারা বিশ্বের জনগণ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন জানায়।

ভারতের ভূমিকা : বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত প্রথমে পরোক্ষ তারপর প্রত্যক্ষ বা সরাসরিভাবে অংশগ্রহণ করে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতের বীভৎস হত্যাকা- ও পরবর্তী ৯ মাস ধরে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী যে নারকীয় গণহত্যা, লুণ্ঠন ও ধ্বংযজ্ঞ চালায় তা সফল ভাবে বাংলাদেশের জনগণ মোকাবেলা করেছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায় যুদ্ধকে নিজের স্বার্থে ব্যাবহার করার জন্য এবং পাকবাহিনী ৩ ডিসেম্বর ভারতে বিমান হামলা চালালে পাকিস্তানের আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্ধিরা গান্ধী ৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা করে। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় এবং ১৯৭১ সালে ৪ ডিসেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাত্র ১০ দিনের যুদ্ধে করে। ১০ দিন যুদ্ধ না করলে হয়তো আমাদের আর ২ মাস লাগতো, কিন্তু আমরা সকল যুদ্ধ অস্ত্র সামরিক ট্যাঙ্ক, এবং আমাদের কলকারখানার মেশিনপত্র হারাতে হতনা। ভারত ১০ দিনের সাহায্য করে আজীবন ক্রেটর হবে এবং বারবার মনেকরিয়ে সুবিধা আদায় করবে??

বিষয়: বিবিধ

১৫৩৯ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

309066
১৫ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০৩:৪০
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
১৬ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০২:১৪
250227
একটি সকাল লিখেছেন : ধন্যবাদ
309093
১৫ মার্চ ২০১৫ বিকাল ০৫:৫৪
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : দাদারা আমাদের এতো বেশি অনুগ্রহ করেছে যে, ঘরের বউকে দান করে দিলেও সে দেনা কখনো শোধ হবার নয়!!!!!
১৬ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০১:০২
250212
একটি সকাল লিখেছেন : ভাল বলেছেন। ধন্যবাদ।
309116
১৫ মার্চ ২০১৫ রাত ০৮:৪৫
শেখের পোলা লিখেছেন : রাগ করে কি করবেন? আপনারা যে পাকিস্তানের কাছ থেকে বাংলাদেশকে ছিনয়ে এনেছেন তার কোন দলীল আপনাদের কাছে আছেকি? যা আছে তা দখল সত্ব৷ এ অবস্থা যারা চায়নী, তারাছিল দূরদর্শী৷ তাদের আমরা উঠতে বসতে গালি দিই, জেল জুলুম ফাঁসী দিয়েও ঝাল মেটাতে আজও পারিনি৷ ওদের হাতে দলীল আছে যে, ওরা এ ভূণ্ড যুদ্ধ করেই হাসিল করেছে৷আর গনিমতের মাল নিয়েছে, আজও নিচ্ছে, ভবিষ্যতেও নেবে৷
309263
১৬ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০১:১২
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : একদম ঠিক বলেছেন। স্বাধীনতা পেয়েছি আমরা, দলীল থাকবে তাদের কাছে, এতোবছর পরেও তা আমাদের হাতের নাগালের বাইরেই থাকবে, আজব বটে!

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File