২০০০-২০০১ সালে বাংলাদেশে জঙ্গীবাদ উন্থানকালে আহলেহাদীছ 'আন্দোলন ও যুবসংঘ'- এর সকল স্তরের নেতা ও কর্মীদের চরমপন্থীদের থেকে সর্তক থাকার জন্য কেন্দ্র থেকে জারী করা চূড়ান্ত বিজ্ঞপ্তি ২ টি

লিখেছেন লিখেছেন বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ ১২ নভেম্বর, ২০১৪, ১১:২২:৫৩ রাত

২০০০-২০০১ সালে দেশে জঙ্গীবাদদের উন্থাণকালে লেখনী ও বক্তব্যের পাশাপাশি সাংগঠনিকভাবে বার বার যেলা সভাপতি বরাবরে লিখিত নির্দেশের মাধ্যমে দেশব্যাপী 'আন্দোলন' ও 'যুবসংঘ'-এর সকল স্তরের সদস্য ও সমর্থকদের চরমপন্থী সংগঠন থেকে চূড়ান্ত ভাবে সর্তক করে দেওয়া হয়েছিল । যেগুলো পরবর্তিতে শায়খ মুযাফফর বিন মহসিন তাঁর ভ্রান্তির বেড়াজ্বালে ইক্বামতে দ্বীন বইয়ের ৭৮, ৭৯ পৃষ্ঠায় প্রমাণ হিসেবে পেশ করেছেন জাতির সামনে । যার দুটি উল্লেখ করা হলঃ

ক) ১৩-০৮-২০০০ তারিখে যেলা সভাপতিদের উদ্দেশ্যে ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সম্পাদক স্বাক্ষরিত পত্র, নং ৬৬/১-৩৮/২০০০:

“প্রতি,

সভাপতি/আহ্ববায়ক

বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ

............সাংগঠনিক যেলা ।

জনাব,

তাসলীম বাদ আশা করি সুস্থ থেকে সাধ্যমত দ্বীনি দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন । অতঃপর আপনি অব্যশই অবগত আছেন যে, ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ জিহাদের নামে কখনো সন্ত্রাসী কার্যক্রমে বিশ্বাসী নয় । অথচ সম্প্রতি ‘কিতাল ফী সাবীলিল্লাহ’ নামে বাংলাদেশে এক উগ্র ও সন্ত্রাসী গ্রুপের পদচারণা লক্ষ্য করা যাচ্ছে । যারা দেশের বিভিন্ন যেলায় আমাদের কর্মীদের মধ্যেও ঢুকে পড়ার চেষ্টা চালাচ্ছে । এমনকি তাদের প্রতি আমাদের সমর্থন আছে বলেও তারা অপ্রচার চালাচ্ছে । অথচ উক্ত ‘কিতাল ফী সাবীলিল্লাহ’ নামক সন্ত্রাসী গ্রুপের সাথে আমাদের কোন রকম সম্পর্ক বা সমর্থন নেই ।

এক্ষণে আপনার প্রতি আমাদের নির্দেশ আপনার যেলার কোন কর্মী যদি উক্ত গ্রুপের সাথে জড়িত হয়ে পড়ে তবে তাকে অবশ্যই বুঝাবেন । যদি তারা ফিরে না আসে তবে সাথে সাথে সে সম্পর্কে কেন্দ্রকে অবহিত করবেন । কেন্দ্রীয় সংগঠন তার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহন করবে । একই সাথে উক্ত গ্রুপের অপতৎপরতা থেকে আপনার যেলার সকল নেতা, কর্মী ও সর্বসাধারণকে সাবধান রাখার জন্য সর্বাত্নক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন । আল্লাহ আমাদের সহায় হউন । আমীন । ওয়াসসালাম-

মুহাম্মাদ জালালুদ্দীন

সাধারণ সম্পাদক

বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ

.............................................................................................................................................................



(খ) ৯-১১-২০০১ তারিখে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ ও ‘আহলেহাদীছ যুবসংঘ’-এর পক্ষ থেকে প্রদত্ত বিজ্ঞপ্তিঃ


“এতদ্বারা ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’-এর পক্ষ সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে জানানো যাইতেছে যে, বাংলাদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে সশস্ত্র বিপ্লবের ধূয়া তুলিয়া ‘জিহাদ’-এর নামে দেশের তরুণ ও যুবকদেরকে বিপথগামী করিবার জন্য একটি বিশেষ গোষ্ঠী অপতৎপরতা চালাইয়া যাইতেছে বলিয়া বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার খবরাখবরে প্রকাশ পাইতেছে ।

এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রের পক্ষ হইতে পরিষ্কারভাবে জানাইয়া দেওয়া যাইতেছে যে, কোন জঙ্গীবাদী চরমপন্থী ব্যক্তি বা দলের প্রতি ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ বা ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’-এর কোনরূপ সমর্থন বা সম্পর্ক নাই । ঐসব দলের সহিত কোনরূপ সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হইলে সংগঠনের যেকোন স্তরের যেকোন ব্যক্তি যেকোন সময় সংগঠন হইতে ‘বহিষ্কৃত’ বলিয়া গণ্য হইবেন ।

তাং রাজশাহী

৯.১১.২০০১ ইং

অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম

সাধারণ সম্পাদক

আহলে হাদীছ আন্দোলন

বাংলাদেশ

অনুলিপি প্রেরিত হইলঃ

‘আন্দোলন’ ও ‘যুবসংঘে’র

সকল যেলা সভাপতি

মুহাম্মাদ আমীনুল ইসলাম

সভাপতি

বাংলাদেশ আহলেহাদীছ

যুবসংঘ”

.............................................................................................................................................................

শায়খ মুযাফফর বিন মুহসিন এই বিজ্ঞপ্তিটি তাঁর 'ভ্রান্তির বেড়াজ্বালে ইক্বামতে দ্বীন' বইয়ের ৭৮-৭৯ পৃষ্ঠা উল্লেখ করেছেন ।

সুতরাং, তিনি জঙ্গীবাদে কিংবা মাওলানা ফারুকি হত্যার সাথে জড়িত হলে, কখনো তিনি জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে বই লিখতেন না আর সংগঠনের জারি করা জঙ্গীবাদ বিরোধী সার্কুলারগুলো সংগ্রহ করে জাতির সামনে পেশ করতেন না ।

আল্লাহ শায়খ মুযাফফর বিন মুহসিনকে হেফাযত কর এবং সসম্মানে মুক্তি দান কর, আমীন ।





বিষয়: বিবিধ

২০৫৬ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

283722
১৩ নভেম্বর ২০১৪ রাত ১২:১০
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : জেএমবি-র বেশীর ভাগ সন্ত্রাসী আহলে হাদিস বা ওহাবী বা লামাযহাবী বা রাফাদানী বা সালাফী । তারা আহলে হাদিসদের মতো নামাজ পড়ে আর জোড়ে আমীন বলে । আর সাধারণ মুসলিমদের মসজিদগুলোতে তারা নামাজ পড়তে পছন্দ করতো কমই । তারা এমন মসজিদগুলোতেই তারা নামাজ পড়তো যেগুলোর নামের সাথে আহলে হাদিস মসজিদ লেখা থাকতো ।


শায়খ রহমান আহলে হাদিসের লোক ছিলেন । তিনি সৌদি আরবের মদীনা বিশ্ববিদ্যালয় হতে হাতে কলমে আহলে হাদিস মতবাদ শিখে এসেছিলেন । তিনি বাংলাদেশের মানুষদের আহলে হাদিস মতবাদে দীক্ষিত করার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন । কিন্তু ব্যর্থ হয়ে বাংলা ভাই এবং জামায়াত-শিবিরের কিছু লোক নিয়ে সারা বাংলাদেশে বোমাবাজি করলেন ।

আহলে হাদিসের একটা বড় অংশ নিজেদের পিঠ বাচাতের ইসলামে জিহাদ হারাম (নাউজুবিল্লাহ)- এমন ধরনের ফতোয়া প্রকাশ করা শুরু করলো । যেমন : আসাদুল্লাহ গালিব । আর অনেক নতুন নতুন ফতোয়া বের তারা করলেন ।


কিন্তু বাস্তবতা হলো , তারা তাদের গন্ডির মধ্যে থেকে বিভিন্ন সংগঠণের ব্যানারে সন্ত্রাস অব্যহত রাখলো । যেমন : সাইদীকে চাদে দেখা যাওয়ার পর চাপাই নবাবগঞ্জ ও বগুড়া সহ সারা বাংলাদেশে আহলে হাদিসভুক্ত লোকরাই বহুল পরিমানে সন্ত্রাস করেছিলো । কারণ সাইদী তাদের দৃষ্টিতে আহলে হাদিস । জামায়াতের নেতা কামালুদ্দীন জাফরী , তারিক মনোয়ার, কাজী ইব্রাহিম - আহলে হাদিস ।



আহলে হাদিসের সাথে যুক্ত বেশ কিছু লোক টিভিতে বাংলাদেশের প্রচলিত ইসলামের বিরোদ্ধে অবস্হান নিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করে যাচ্ছে ।


আমি মনে করি, আপনাদের অশুভ তৎপড়তা বন্ধ করা উচিত । জনগণের সেবক হওয়া উচিত ।

দয়া করে , আপনার অত্যাচারী সৌদি আরব রাজতন্ত্রের দালালী করবেন না - আমার সামান্য অনুরোদটুকু রক্ষা করার চেষ্টা করবেন ।
283733
১৩ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০১:০১
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আপনার উপর আল্লাহর আজাব ও গজব নাজিল হোক । কারণ -


আহলে হাদিসরা সৌদি আরবের পাচাটা গোলাম । তারা অত্যাচারী ও অত্যাচারীদের সমর্থনকারী । সৌদিরা বংশানুক্রমিক ভাবে রাজত্ব করছে। তাদের রাজতন্ত্র চালাতে সহায়তা করছে কট্টরপন্থী আবদুল ওয়াহাবের উত্তরসুরি ও অনুসারীরা। এদেরকে ওয়াহাবী বলা হয়।

এই ওয়াহাবীদের মতে শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ বা প্রতিবাদ করা ইসলামে নিষিদ্ধ। এই মতের সুযোগ নিয়ে রাজতন্ত্র নিরাপদ থাকলেও সৌদি নাগরিকরা কঠোর শরীয়া আইনে বন্দি।

দেশটির শাসকগোষ্ঠি মতপ্রকাশ, মানবাধিকার ও বিয়েসহ নাগরিক অধিকারের উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে।

ইসলামের এই অপব্যবহারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে তেমন একটা সমালোচনা করা না গেলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্মীয় নেতা ও তাদের বিভিন্ন ঘোষণা, ফাতওয়া নিয়ে বিদ্রুপ ও মজা করেন সৌদি নাগরিকরা।

তাদের এই বিদ্রুপের শিকার হয় সাধারণত এই সব ফতোয়া যে, ‘এক সাথে কাজ করা বৈধ করতে পুরুষ সহকর্মীকে বুকের দুধ খাওয়াবেন নারী’, ‘মিশরের স্বৈরশাসক আল সিসির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করা নাজায়েজ’, ‘ইসরাইলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভ করা নাজায়েজ’, ‘বোরকার ভেতর দিয়ে নারীর সুন্দর চোখ বেরিয়ে পড়া অপরাধ’।

এই সব হাস্যকর ফতোয়া নিয়ে সাধারণ মানুষ যে সমালোচনা বা বিদ্রুপ করেন তা পবিত্র ইসলাম সম্পর্কে মানুষকে বিমুখ করে দিচ্ছে। রাজতন্ত্র ও ওয়াহাবীদের সমালোচনা করতে গিয়ে অনেকেই ইসলামের বিশ্বাস ব্যবস্থাকেও আক্রমণ করছে। যা একটা পর্যায়ে নাস্তিকতায় রূপ নিচ্ছে।

দেখা যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন টুইটার, ব্লগ ও ফেসবুকে ধর্ম, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব ও রাজ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কড়া সমালোচনা হচ্ছে।

এক সৌদি তরুণ টুইট করেছেন, ‘প্রিন্স আবদুল আজিজ বিন ফাহাদ বিরতিহীন আল্লাহকে নিয়ে পোস্ট দিয়ে যাচ্ছেন। তার প্রতি করুণা হয় তিনি সাধারণ মানুষ থেকে কত দূরে আছেন। এটা ১৯৮০ এর দশক না। খুবই করুণ অবস্থা!’

সৌদির রাজকীয় টিভির একজন কর্মকর্তা বলছেন, ‘মসজিদগুলো এখনো জনাকীর্ণই থাকে কিন্তু সমাজ এর মূল্য হারাচ্ছে। এটা অনেক সময় একটা যান্ত্রিক চর্চার মত ব্যাপার যেমন খৃস্টানরা রবিবার গীর্জায় যায়। আমরা এখন আর আমাদের ধর্মকে বুঝতে পারছিনা তার কারণ এই নয় যে আমরা এটা বুঝতে চাচ্ছি না। রাজতন্ত্র ধর্মকে দূষিত করে রেখেছে। সৌদি রাজ যেটা চায় এবং যেগুলো রাজতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখবে সেগুলোই কেবল ধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি পায়।’

আরো বিস্তারিত তথ্য :

http://www.bdmonitor.net/newsdetail/detail/200/98216

আমার এসব লেখা পড়ুন , তাহলে সৌদি আরব ও ওহাবী মতবাদ সম্পর্কিত অনেক বিষয় আপনাদের স্পস্ট হয়ে যাবে -



১.http://www.bdmonitor.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/53800

আজ মুসলিমদের কাল দিবস

২. http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/50510

ভুয়া খলিফা আবু বাকর আল বাগদাদী, তার সন্ত্রাসী বাহিনীর তান্ডব ও যৌন জিহাদ এবং মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্বের অনত্র ওহাবী-সালাফিদের অশুভ কার্যক্রম

৩. http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/50358

ইসরাইল প্রতিষ্ঠায় সৌদি আরব ও মক্কার শাসক শরিফ হোসাইনের প্রধান ভূমিকা এবং ওহাবী-সালাফি মতবাদ (পর্ব : ১ )

৪. http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/49624

সৌদি আরবের রাজতান্ত্রিক শাসকদের উৎখাত করা মুসলিমদের ঈমানি দায়িত্ব

৫. http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/42639

মুসলিম অস্তিত্ববিরোধী ও ইসলামবিনাশী ইসরাইল ও ভারতের স্বাধীনতা লাভে সৌদি আরবের প্রধান ভুমিকা এবং মিশরের ইসলামী গণতান্ত্রিক সরকার উৎখাতে সৌদি আরব ও ওহাবী ধর্মব্যবসায়ীদের কার্যক্রম ( ১ম পর্ব )

৬. http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/32530

রাজতান্ত্রিক সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় ধর্ম বিশ্বাস হলো ওহাবীবাদ ও সেক্সীজম (১ম পর্ব)

৭. http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/27711

ইসলাম ও মানবতার দুষমণ এবং ইসলামবিনাসী শক্তির তাবেদার সৌদি রাজপরিবারের ইতিহাস

৮. http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/13231

রাজতন্ত্র ইসলামে হালাল বিশেষ করে সৌদি আরবের জন্য (৯৯% কপি পেস্ট)

৯. http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/1209#.U96ox6N3zSk

সৌদি আরবে বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী নারীদের উপর চলছে অত্যাচার ( নিউজপোস্ট )
283799
১৩ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:২৫
কাহাফ লিখেছেন :

'ঠাকুর ঘরে কে রে.....?
আমি কলা খাই না!'
কয়েক দিনের পোস্ট দেখে এমনই ধারণা জন্ম নিচ্ছে অনেকের!!!

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File