নারী মুক্তি বনাম নারীর স্বাধীনতা
লিখেছেন লিখেছেন তাহেরা ফারুকি ১৭ এপ্রিল, ২০১৫, ০৫:৩৯:৪২ বিকাল
সন্তান মানুষ করার পিছনে মায়ের অবদানকে স্বীকৃতি দিতেই ‘রত্নাগর্ভা মা' পুরষ্কার চালু করেন আজাদ প্রডাক্টের প্রতিষ্ঠাতা-পরিচালক। আজকের দিনের মত দুই কি একটি সন্তানের মা নয় অনেকগুলি সন্তান থাকতো সেকালের মায়েদের। গোলাম ফারুক অভি তেমনি এক রত্নাগর্ভা মায়ের সন্তান। যতটুকু মনে আছে উনার নয়টি সন্তানের আটজন ছিল দেশ–বিদেশ থেকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত।
সর্ব কনিষ্ঠ সন্তানটি অভি। SSC ও HSC তে মেধা তালিকায় স্থান করে নেওয়া অভি প্রথমে নষ্ট রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ে। এরপর এমন কোন অপকর্ম নেই যা সে করেনি। অল্প সময়ে খ্যাতির শীর্ষে আসা মডেল তিন্নী অভির খপ্পরে পড়ে। নারী স্বাধীনতায় উজ্জীবিত হয়ে তিন্নি ছেড়েছিল স্বামীর ঘর, কন্যার মায়া, হয়েছিল অভির অপকর্মের সঙ্গিনী!
নষ্ট জীবন থেকে ফিরে আসতে চাইলে অভি প্রথমে হত্যা, এরপর মৃতকে বেওয়ারিশ হিসাবে চালিয়ে দিতে আঞ্জুমান মফিদুলে দেবার চেষ্টা করে। কিন্তু তিন্নির মামা পত্রিকায় ছবি দেখে সনাক্ত করেন। কি এক রহস্যজনক কারনে থেমে যায় তদন্ত।
অভির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল কোন এক সাক্ষাৎকারে –সে কেন মেধাবী হয়ে এই পথে এলো? উত্তরে অনেক কথার মাঝে একটি ছিল, পত্রিকাতে সে একেকটা ঘটনার এমন বর্ণনা পড়তো যা ছবির চাইতেও মারাত্মক। স্পর্শকাতর কিছু বিষয়ের কথার চিত্র অংকিত হয় তাতেই ক্রমশ সে এসব কাজে জড়িয়ে পড়ে।
আজকাল কিছু কিছু লেখক-লেখিকাদের বর্ণনা শুনে মনে হয় উনারা এই সব ঘটনার সময় স্পটে ছিলেন। হুজুররা অশ্লীল কথা বলেন মেয়েদের নিয়ে, আরেকজন সমাজ পরিবর্তন করতে চান প্রায় অশালীন কথা দিয়ে পোস্ট এবং পর্দার বিরোধিতা করে। ইনি আবার নবীজির হাদিস ও অস্বীকার করেন! মেয়েদের উস্কানি দিতে ও পিছপা হননা।
নাজমা বুয়ার কথা খুব মনে পড়ছে
নাজমা খালা ছিল আমাদের বুয়া। সারাদিন কাজ করতো তার সংসারের, আমার মায়ের বাড়ির ও। একদিন সন্ধ্যায় বুয়া কাঁদতে কাঁদতে এলো। স্বামী চ্যালা কাঠ দিয়ে পিটিয়েছে। বুয়ার গায়ে কালো দাগ দেখে বলেছিলাম-এমন স্বামীর কাছে থাকার দরকার কি, লাথি মেরে চলে আসো। নাজমা বুয়া বড় আপার কাছে নালিশ দিল আমার নামে তার স্বামীকে কেন মারতে বলেছি, স্বামী তাঁর মাথার উপর ছায়া, পায়ের নিচের মাটি!!!
মধ্যবিত্ত এক নারী তিনি স্বামীর কাছে মার খেয়েও বলেন মারলে কি হয়? আর যা বলেছিলেন তা না বলি।
উচ্চবিত্ত এবং উচ্চশিক্ষিত বুয়েট থেকে স্থপতি হওয়া জয়ন্তী রেজা লম্পট স্বামীর ঘর ছাড়েনি। স্বামীর হাতেই করুন মৃত্যু হয় তার।
সমাজ পরিবর্তনের নামে নারীকে স্বামীর অবিচারের বিরুদ্ধে যতোই প্রতিবাদি করা হোক না কেন কেউ ঘর ছাড়বে না। কারন দুনিয়াতে যারা এখনও মান -সম্মান নিয়ে বাঁচতে চায়, হাজার কষ্টেও মাথার উপর একটা ছাওনি, পায়ের নিচে মাটি মনে করে স্বামীর ঘরকে! স্বপ্ন দেখে সন্তান মানুষ করে অপূর্ণ জীবনে পূর্ণতা আনতে।
নারীবাদ ।। 'নারীমুক্তি ফ্যাশন এখন, কপাল জুড়ে টিপ'
তোমার চুলতো অনেক কালো লাগাও চুলে ক্লিপ
বুকের মধ্যে স্বপ্ন রেখো ক্লোজার এবং ডীপ
তুমি ঘরের বাইরে দেখো
কষ্টগুলো যত্নে রেখো
নারীমুক্তি ফ্যাশন এখন, কপাল জুড়ে টিপ।
(রফিক সুলায়মান)
বিষয়: বিবিধ
১২৫২ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
শ্লোগান দিয়ে নারিকে পন্য বানানই তথাকথিত নারিমুক্তিবাদিদের লক্ষ। বিপরিতে নারিদের প্রকৃত স্বাধিনতার জন্য কেউ নাই্।
এই অংশটা সবচেয়ে ভাল লেগেছে। আপু লেখাটা অসম্ভব সুন্দর।
মন্তব্য করতে লগইন করুন