মুসলমান যেন গিণিপিগ....
লিখেছেন লিখেছেন তাহেরা ফারুকি ০৯ এপ্রিল, ২০১৫, ১০:২৪:১৬ সকাল
ইহুদিরা মুসলমানদের মারলে সেটা নিয়ে সারাবিশ্বে মুসলমানেরা কতইনা কান্নাকাটি করে।
কিন্তু মুসলমান যখন মুসলমানদের হত্যা করে তখন নির্যাতিত মুসলমানদের জন্য মায়াকান্না করার লোক থাকেনা।
এই ধরুন গতবছর ইসরায়েল যখন ফিলিস্তিনের ওপর হামলা চালায় তখন আমরা সারা ফেসবুক কাঁপিয়ে ফেলেছিলাম। আমরা কয়েকজন মিলে একটা ইভেন্ট তৈরি করে ফিলিস্তিনের জন্য টাকা কালেকশন করে দিয়েছিলাম।
যাইহোক এখন মূল কথায় আসি..!!!
ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন যখন কুয়েতের ওপর হামলা চালিয়েছেন তখন সারা মুসলিমবিশ্ব সাদ্দাম হোসেনকে ধিক্কার দিয়েছে।
কিন্তু আজকে সৌদি আরব ইয়েমেনের ওপর যখন হামলা চালাচ্ছে তখন সৌদি বাদশা সালমানকে ধিক্কার দেওয়ার কোন মানুষ নেই।
ইয়েমেনের ওপর সৌদি আরবের কেন এই হামলা???
ইয়েমেন সৌদি আরবের পাশে গরীব একটি রাষ্ট্র।
ইয়েমেন সীমান্তবর্তী সৌদি আরবের শহর জিজান।
জিজান শহর ঘেষে গড়ে উঠেছে সৌদি আরবের খনিজ সম্মৃদ্ধ ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিটি।
সৌদি আরব ইয়েমেনের খনিজ সম্পদে ভরপুর কিছু অংশ দখল করে সেখানে পেট্রোল এবং গ্যাস প্লান্ট স্থাপন করতে শুরু করে কয়েক বছর আগে।
সৌদি আরবের এই জোর করে দখলবাজি নিয়ে ইয়েমেনের বেশিরভাগ নাগরিকরা ফুঁসে ওঠে এবং তারা তাদের প্রেসিডেন্টের কাছে সৌদি আরবের এই দখলবাজির বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে স্বারকলিপি পেশ করেন।
কিন্তু ইয়েমেন প্রেসিডেন্ট সৌদি সরকারকে তাদের জায়গায় কোনধরনের স্থাপনা করতে বাধাপ্রদানে অস্বীকৃতি জানায়।
এই নিয়ে ইয়েমেনের বেশিরভাগ জনগণ ইয়েমেন প্রেসিডেন্টের বিপক্ষে চলে যায় এবং তারা একপর্যায়ে আন্দোলন শুরু করে।
এই আন্দোলন বাধাগ্রস্ত করতেই মূলত সৌদি সরকার ইয়েমেনের ওপর হামলা চালানো শুরু করে।
কিন্তু এই যুদ্ধের নাম দেওয়া হয়েছে শিয়া নিধন অভিযান।
আজকে সৌদি সরকারের কারণে বিশ্ব মুসলমানদের সইতে হচ্ছে নানান নির্যাতন।
মিশরে মুহাম্মদ মুরসিকে অপসারণ করে সৈরাচার আব্দেল ফাত্তাহ সিসি ক্ষমতা দখল করেছে এর পেছনে মূল ইন্ধনদাতা সৌদি রাজপরিবার।
এছাড়া লিবিয়া ইরাক সিরিয়া সহ মুসলিম বিশ্বে প্রত্যেকটি যুদ্ধের জন্য দায়ী সৌদি রাজপরিবার।
collected
বিষয়: বিবিধ
১১৮৭ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আশা করি আপনার কলম চালনায় ব্লগপাড়া আরো উজ্জীবিত হবে ।
তাদের যুবরাজেরা নাইটক্লাবে নর্তকীর পেছনে প্রায় শত কোটি টাকা ঢালছেন । জনগন টাকা পেয়ে আপন সুখে বুদ হয়ে আছে ।
সুখের ঠেলায় কোন দিক দিয়ে যে সব কিছু একসময়ে বের হয়ে যাবে সে দিকে তাদের খেয়াল নেই ।
তারা কখনও ভবিষ্যতের কথা মাথায় আনে না ।
সম্পদ কখনও অফুরান না । এক সময়ে যখন শেষ হয়ে যাবে তখন তাদেরকে বাংলাদেশের মত ''মিসকিন '' দেশেই আসতে হবে কাজের জন্য ।
যেহেতু বেশীর ভাগ নবীই এসেছিলেন এতদ অন্চলে এবং শেষ নবী মু'হাম্মাদ (সাঃ) সৌদিতেই এসেছিলেন , তাই সৌদিকেই মুসলিম বিশ্ব সমীহ করে । এটাকেই কাজে লাগিয়েছে ইহুদী নাসারারা ।
তারা সৌদিতে এবং আশে পাশের আরব দেশগুলোতে তাদের বশংবদ , ইসলাম বিমুখ নেতাদের বসিয়েছে , সে দেশের মানুষকে টাকায় ভাসিয়ে নিজেদের স্বার্থ উসূল করে নিচ্ছে ।
আরাম ও বিনোদন প্রিয় সৌদি শেখদের তারা তাদের দেশের বিভিন্ন ধরনের বিনোদন সামগ্রী দিয়ে মশগুল করে রাখে এবং অভ্যস্ত করিয়ে ফেলে । এসব যে শয়তানের ছাতুরী তা তারা বেমালুম ভুলে বসে । অথচ তাদেরই বেশী সতর্ক হওয়া উচিত ছিল , কারণ নবী রাসূলরা বার বার তাদের এখানে এসে শয়তানের এসব ধোকাবাজি থেকে সতর্ক থাকতে অনুরোধ করেছিলেন এবং এর ফলে শাস্তির ভয়ের কথা বলেছিলেন ।
ইহুদী নাসারারা কখনই মুসলমানদের বন্ধু না । তারা সবস ময়ই চায় যে মুসলমানেরা বিপদে থাকুক । মুসলমানদের বিপদে এদের সুখ হয় এবং সাফল্যে হিংসা হয় ।
স্বার্থ যখন হাসিল হয়ে যাবে তখন এরা এসব পুতুল শাসকদের আমের ছোবড়ার মত ছুড়ে ফেলবে , জনগনের তখন বুঝ হয়েও কোন কাজ হবে না ।
জাযাকিল্লাহু খাইর!
মন্তব্য করতে লগইন করুন