আর্দশ নারীর নমুনা
লিখেছেন লিখেছেন মোমিন হোসেন ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০২:১৩:২০ দুপুর
সদ্য বিবাহিত 'হাসান মুরাদ' সাহেব। সারাজীবন সাধনা করেছেন যেন একটি ধার্মিক নারী তার ঘরে আসে যার যত্ন, কোমল আচরন, যার মহানুভবতা, শিষ্টাচারিতা, যার তাকওয়া মুখরিত করে রাখবে তার সংসার। নশ্বর এই জগত সংসারে তার ঘরটি হবে বেহেশতের একটি টুকরোর মত! বিয়ের কিছুদিন পরঃ এক রাতে কামরুল তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার জন্য জাগলেন। দেখলেন বিছানাতে তার স্ত্রী নেই। তিনি তেমন অবাক হলেন না। ভাবলেন- হয়ত ওয়াশরুমেই গিয়ে থাকবে। তিনি ঘরের লাইট
জ্বালালেন। লাইট জ্বালাতেই তিনি দেখলেন-
নামাজের জায়গায় কেউ
একজন নামাজরত অবস্থায়। একটু
খেয়াল করেই বুঝতে পারলেন এটা তার স্ত্রী।
মূহুর্তেই শিহরন বয়ে গেল উনার শরীরে।
স্বপ্ন না তো?
নিজেই নিজের
গায়ে চিমটি কাটলেন। না, ব্যথা লাগল। তাহলে স্বপ্ন নয়, বাস্তব! তারপরও বিশ্বাস হয়না। এটা কি চোখের ভুল? বিছানার
দিকে দৃষ্টি দিলেন! না,বিছানা খালি…
তাহলে বাস্তব! বাস্তব? তবুও তো মনে হচ্ছে কল্পনা! কিছুক্ষণ এভাবে সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে হঠাৎ একটি মৃদূ, কাপাঁ কন্ঠস্বর কানে এল।
কান্না বিজড়িত কন্ঠে একটি মহিলা কন্ঠ দু'হাত
তুলে বলছে- হে পরওয়ারদেগার! আমার হাতে যে আমানত তুলে দিয়েছেন তা যথাযথ ফেরত দেওয়ার শক্তি, সাহস দান করুন আমাকে'। বার বার একই কথা, একই বাক্য, একই
আবেদন। কামরুল ভাবলেন- কি সেই
আমানত? কি হতে পারে এটা যেটার জন্য এভাবে করুণ, অনুতপ্ত হৃদয়
গভীর রাতে হাহাকার
করতে পারে কারো অন্তর?
না,আমাকে জানতে হবে!
নামাজ শেষ করতেই কামরুল সাহেবের চোখা-
চোখি হয়ে গেল তার স্ত্রী।
তার দৃষ্টি সংযত,অবনত।
মাথা নিচু করে তার
স্ত্রী বললেন-
আমাকে খুঁজছিলেন?
কামরুল সাহেব বললেন- নামাজ পড়তে উঠলাম।
- আপনি অপেক্ষা করুন, আমি অজুর পানি নিয়ে আসছি।
কামরুল সাহেব বললেন-
একটি কথা জানার ছিল!
- বলুন?
- আপনি মুনাজাতে বার বার
একটি আমানতের
কথা বলছিলেন। এটার
যাতে খিয়ানত না হয় সে জন্য করুণা ভিক্ষা করছিলেন মহান
রবে'র দরবারে।
জানতে পারি কি সেই
আমানত?
তার স্ত্রী একটু সময় নিল।
বলল- আপনি কি আমার
দ্বারা কষ্ট পেয়েছেন?
- না, পায়নি।বলুন কি সেই
আমানত?
এবার তার স্ত্রী বলতে লাগলেন- সেই
আমানত হলেন আপনি।
অবাক হয়ে কামরুল সাহেব বললেন- আমি?
- জ্বী,আপনি'।
- কি রকম?
- রাসুল(সা) বলেছেন-
'দুনিয়াতে যখনই কোন
স্ত্রী তার স্বামীকে কষ্ট
দিতে থাকে তখনই
জান্নাতের
আয়তলোচনা হুরদের মধ্যে তার
স্বামীর সম্ভাব্য
স্ত্রী বলে উঠে,
হে অভাগিনী, তাকে কষ্ট
দিওনা।আল্লাহ
তোমাকে ধ্বংস করুক।
সে তোমার কাছে একজন
মেহমান মাত্র। অচিরেই
সে আমাদের
কাছে চলে আসবে'।
কামরুল সাহেবের
চোখে মুখে বিস্ময়ের ঘোর
তীব্র থেকে তীব্রতর হল।
তিনি ভাবলেন- এটা কি কোন মানবী?
না,মানবী না।
তাহলে কি? অতিমানবী? নাকি তার থেকেও বেশী কিছু?
মনে পড়ল কুরআনের সেই আয়াত-
'নিশ্চয়,মুমীন পুরুষের জন্য মুমীন
নারী'।
ভাবতে ভাবতে আবারও হঠাৎ
একই কন্ঠের আওয়াজ- 'আপনার
অজুর
পানি বাইরে রাখা আছে'।
বিষয়: বিবিধ
১২৮৩ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
নামটা ইনভার্টেড কমার ভেতর রাখলেন আর ব্যবহার করলেন আরেক নাম !
পুরাই মাথা নষ্ট ম্যান !
তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া সওয়াবের তবে এটা ফরজ নয় । আজকাল দেখি অনেকেই নিজের/ অন্যের ধার্মিকতার গভীরতা বোঝাতে তাহাজ্জুদের জামাজের রেফারেন্স টানে । এটা কি লোক দেখানোর মত হয়ে যায় না ?
জ্বী ভাই এরকম জান্নাতি মেয়ে আপনি সারা দেশের এই একটা জায়গাতেই পাবেন - টুডে/টুমরো ব্লগে ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন